ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ সুপার লিগ পর্বের তৃতীয় রাউন্ডে ৭ উইকেটে জিতেছে সোহানের দল। ১৬০ রানের লক্ষ্য ৯৯ বল বাকি থাকতে পেরিয়ে যায় তারা।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে শুক্রবার টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি মোহামেডানের। ইরফান শুক্কুরকে দ্রুত ফিরিয়ে দেন নাসির হোসেন। নিজের পরপর দুই ওভারে অভিষেক মিত্র ও রকিবুল হাসানকে বিদায় করে দেন খালেদ আহমেদ।
আরও একবার ইনিংস বড় করার সুযোগ হাতছাড়া করেন লিটন দাস। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া এই তরুণ ওপেনার দুই চারে ৩৩ বলে ২৬ রান করে ইলিয়াস সানির বলে বোল্ড হয়ে যান।
এক প্রান্ত আগলে রেখে দলকে এগিয়ে নেন তুষার। খানিকটা সঙ্গ পান মোহাম্মদ আশরাফুল ও রাহাতুল ফেরদৌসের কাছ থেকে। সাবধানী ব্যাটিংয়ে ৮৫ বলে ৫৬ রান করা তুষারকে ফিরিয়ে শিকার ধরেন তানবীর। এই লেগ স্পিনারের ছোবলে মাত্র ৮ রানে শেষ চার উইকেট হারিয়ে ফেলে মোহামেডান।
তানবীর ১৬ রানে নেন ৪ উইকেট। পেসার খালেদ ২ উইকেট নেন ৩২ রানে।
রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি শেখ জামালের। দুই চার হাঁকিয়ে ফিরে যান সানি। কাজে লাগেনি তাইজুল ইসলামকে তিনে খেলানোর ফাটকা। বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ফিরে যান ১ রান করে।
ইমতিয়াজ হোসেনের সঙ্গে ১২০ রানের জুটিতে দলকে পথ দেখান সোহান। দুই জনের জুটিতে দ্রুত এগোয় শেখ জামাল। ৮৮ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় ৫৪ রান করে ইমতিয়াজ ফিরলে ভাঙে জুটি।
দিলশান মুনাবিরাকে নিয়ে বাকিটা সহজেই সারেন সোহান। শেখ জামাল অধিনায়ক ৮৫ বলে ৯ চার এ ওক ছক্কায় অপরাজিত থাকেন ৮৩ রানে। চমৎকার এই ইনিংসের জন্য ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন তিনি।
১৪ ম্যাচে নবম জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে আছে শেখ জামাল। সুপার লিগে টানা তৃতীয় ম্যাচে হারা মোহামেডান ১২ পয়েন্ট নিয়ে আছে ছয় নম্বরে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৪৪.৪ ওভারে ১৫৯ (লিটন ২৬, শুক্কুর ১, অভিষেক ২, রকিবুল ৮, তুষার ৫৬, আশরাফুল ২১, রাহাতুল ১৬, সোহাগ ১১, শফিউল ২, অনিক ২, সাকলাইন ৩*; খালেদ ২/৩২, নাসির ১/২০, তাইজুল ১/৩৫, সানি ১/২৩, মুনাবিরা ০/১, সাকিল ০/৬, এনামুল হক ১/২৩, তানবীর ৪/১৬)
শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব: ৩৩.৩ ওভারে ১৬৩/৩ (ইমতিয়াজ ৫৪, সানি ৮, তাইজুল ১, সোহান ৮৩*, মুনাবিরা ১৫*; শফিউল ১/১২, সোহাগ ১/২২, রাহাতুল ০/৫৭, সাকলাইন ১/৩৬, অনিক ০/১৭, আশরাফুল ০/১০, অভিষেক ০/৯)
ফল: শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব ৭ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: নুরুল হাসান সোহান