শঙ্কার যে চোরাস্রোত বইয়ে দিয়েছিল সিলেটের টি-টোয়েন্টি, সেটি থামিয়ে দিয়েছে মিরপুরের ম্যাচ। সিরিজে ফেরা দুর্দান্ত জয়ে বাংলাদেশ দলে বইছে আত্মবিশ্বাসের জোয়ার। দারুণ চনমনে হয়ে তাই সিরিজ নির্ধারণী শেষ টি-টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলতে নামছে বাংলাদেশ।
Published : 21 Dec 2018, 04:40 PM
এই ম্যাচে বাংলাদেশকে হাতছানি দিচ্ছে দারুণ এক অর্জন। কোনো এক দলের সঙ্গে এক সিরিজে তিনটি সংস্করণেই জয়ের স্বাদ কখনও পায়নি বাংলাদেশ। শেষ টি-টোয়েন্টি জিতলে বাংলাদেশের ক্রিকেট উঠবে সেই নতুন উচ্চতায়। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি শুরু শনিবার বিকেল ৫টায়।
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে জয়ের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুতেও বাংলাদেশ ছিল এগিয়ে। তবে সংক্ষিপ্ত সংস্করণের শুরুটায় যেন নিজেদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন সত্তা জেগে উঠেছিল ক্যারিবিয়ানদের। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সিলেটে ব্যাটে-বলে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশকে। তাদের পাওয়ার ক্রিকেটের সামনে বাংলাদেশকে মনে হয়েছিল অসহায়।
মিরপুরে বাংলাদেশ সেই হারের জবাব দিয়েছেন দারুণভাবে। টি-টোয়েন্টিতে বড় স্কোরের জন্য কখনোই খুব পরিচিত ছিল না বাংলাদেশ। কিন্তু এ দিন নিজেদের ব্যাটিংকে যেন অন্য উচ্চতায় তুলে নিয়েছিল ব্যাটসম্যানরা। প্রথমবারের মতো আগে ব্যাট করে তুলেছে দুইশর বেশি রান, দেশের মাটিতেও দু্ইশ ছুঁয়েছে প্রথমবার। সেই বড় রানের ভিত্তিতে দাঁড়িয়ে বোলাররা এনে দিয়েছেন জয়।
সিরিজে ফেরা সেই জয়ের আবেশ মেখেই বাংলাদেশ নামছে সিরিজ জেতার লড়াইয়ে। দলের স্পিন বোলিং কোচ সুনীল যোশী শুক্রবার জানালেন, ম্যাচ জিতে মানসিকভাবে দারুণ চাঙা হয়ে আছে দল।
“গতকাল আমরা দারুণ খেলেছি। খেলার ধরনই কালকে ভিন্ন ছিল। সিলেটের ম্যাচের চেয়ে মিরপুরে আমাদের যে মানসিকতা দেখা গেছে, তা ছিল অসাধারণ। জয়ের পর দল দারুণ চনমনে হয়ে আছে।”
“বাংলাদেশ দলের জন্য মিরপুর দারুণ সৌভাগ্যের ভেন্যু। এখানে আমরা অনেক ম্যাচ জিতেছি। এখানকার দর্শকও দলকে প্রবলভাবে অনুপ্রেরণা জোগায়। আমি বলছি না, সিলেটের দর্শকেরা তা পারেনি। তারাও ভালো ছিল। কিন্তু মিরপুরেই ঘরের মাঠের সুবিধা সবচেয়ে বেশি নিতে পারে বাংলাদেশ।”
আগের ম্যাচে বাংলাদেশ যেভাবে ব্যাট করেছে, তার চেয়ে ভালো কিছু করা কঠিন। পরে বোলিং করতে হওয়ায় শিশির ভেজা বল সামলে বোলারদের কাজ ছিল কঠিন। তবে উন্নতির অবকাশ আছে এখানে। যোশীর চাওয়া গত ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে, প্রাপ্তিগুলো সঙ্গে নিয়ে সিরিজ জয়ের ম্যাচে ঝাঁপিয়ে পড়া।
“আমাদের জিততে হবে। গতকাল যে ব্যাপারগুলো আমরা ভালো করেছি, সে সব ধরে রাখায় জোর দিতে হবে। ঘাটতিগুলো শুধরে নিতে হবে। যেখানে শেষ করেছি, সেখান থেকেই শুরু করে সিরিজটি ভালোভাবে শেষ করতে হবে। ইতিবাচকভাবে শেষ করতে পারলে আমাদের সবার জন্য সেটি হবে বড়দিন ও নতুন বছরের উপহার।”