কোন ইনিংসকে এগিয়ে রাখবেন মুশফিকুর রহিম? বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে গল টেস্টে করা ডাবল সেঞ্চুরি নাকি রেকর্ডের মালায় সাজানো মিরপুর টেস্টের ডাবল সেঞ্চুরিকে? কিপার ব্যাটসম্যান জানালেন, কোন সেঞ্চুরি কোথায় থাকবে, নির্ভর করবে ম্যাচের ফলের ওপর।
Published : 12 Nov 2018, 07:22 PM
২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে ২০০ রান করে আউট হয়েছিলেন মুশফিক। শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার টেস্টের দ্বিতীয় দিন মাহমুদউল্লাহ ইনিংস ঘোষণা করার সময় তিনি অপরাজিত ছিলেন ২১৯ রানে।
দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক জানান, আপাতত এই ডাবল সেঞ্চুরিকে কেবল একটি ভালো ইনিংস হিসেবে দেখতে চান তিনি।
“এই সেঞ্চুরিকে এগিয়ে রাখার সময় আসেনি। যদি এই ম্যাচ জিততে পারি তাহলে এটাই এগিয়ে থাকবে। কারণ, আমরা গলে টেস্ট জিততে পারিনি, ড্র করেছিলাম। ওটাও কঠিন ছিল। কারণ, ওরা ৫৭০ রান করেছিল। মানসম্পন্ন একটা বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে ব্যাট করা সহজ ছিল না।”
“আবার এই উইকেটে শুরুতে বোলারদের জন্য যথেষ্ট সহায়তা ছিল। আর বোলাররাও খুব ভালো করছিল। গলের তুলনায় এই ইনিংসকে অনেক কম্প্যাক্ট বলতে পারেন। আমি এখানে বলও অনেক খেলেছি। আমার মনে হয় এটা ভালো ইনিংস। সেরা বলবো না, তবে ভালো ইনিংস ছিল।”
২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০৬ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড নিজের করে নেন তামিম ইকবাল। গত বছর ওয়েলিংটনে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ২১৭ রানের ইনিংস খেলে বাঁহাতি এই ওপেনারকে পেছনে ফেলেন সাকিব আল হাসান। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অপরাজিত ২১৯ রানে আবার চূড়ায় উঠলেন মুশফিক। তিনি মনে করেন, স্বাস্থ্যকর এই প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি লাভ হচ্ছে দলের।
“দুটি ইনিংসই আমার জন্য স্পেশাল। আমাদের তামিম, সাকিব ডাবল সেঞ্চুরি করেছে। আমরা দেখিয়েছি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ডাবল সেঞ্চুরি করতে পারে। অবশ্যই মনের গভীরে বিশ্বাস ছিল যে, আমি আমার জায়গাটা আবার ফিরে পাব। আমি মনে করি, এটা স্বাস্থ্যকর একটা প্রতিযোগিতা। এটা খেলোয়াড়দের মধ্যে সবসময় থাকা খুবই জরুরি।”