সাকিব আল হাসান সেরা ট্যাকটিকসে। মাশরাফি বিন মুর্তজা অতুলনীয় অনুপ্রেরণায়। প্রাথমিক ধারণায় মাহমুদউল্লাহও দারুণ। অল্প কদিনের মধ্যেই বাংলাদেশের তিন অধিনায়কের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে স্টিভ রোডসের। বাংলাদেশ কোচ মুগ্ধ তিনজনকে দেখেই। শোনালেন কোন অধিনায়কের কোন দিকটি তার বেশি মনে ধরেছে।
Published : 01 Nov 2018, 04:38 PM
বাংলাদেশ কোচ হিসেবে রোডসের পথচলা শুরু সাকিবের নেতৃত্বের সঙ্গে জুটি বেঁধে, ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট সিরিজে। ওয়েস্ট ইন্ডিজেই কাছ থেকে দেখতে পেলেন ওয়ানডে সিরিজে মাশরাফির নেতৃত্ব। পরে আরও গভীরভাবে দেখেছেন এশিয়া কাপে ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে। এবার সাকিবের চোটে টেস্ট সিরিজের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। এখনও ম্যাচে দেখা হয়নি। তবে অনুশীলনে ও ছক কাটার টেবিলে কোচ দেখছেন মাহমুদউল্লাহকে।
বৃহস্পতিবার সিলেটে অনুশীলন শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রোডস নিজের নিক্তিতে মাপলেন তিন অধিনায়ককে। না থাকা সাকিবকেই সবার আগে মনে পড়ল কোচের, তিনি নিজেও শেখেন যার কাছ থেকে।
দায়িত্ব নেওয়ার পর ম্যাচ ও বাইরের সময়গুলো মিলিয়ে অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গেই সবচেয়ে বেশি কাজ করার অভিজ্ঞতা হয়েছে রোডসের। অধিনায়ক মাশরাফির সবচেয়ে বড় গুণ বলে প্রচলিত যেসব, কোচের কণ্ঠেও মুগ্ধতা বেশি সেসব নিয়েই।
“ম্যাশও একসঙ্গে কাজ করার জন্য অসাধারণ একজন মানুষ। সাকিবের চেয়ে ও আলাদা, অনেক প্যাশন ও গর্ব নিয়ে খেলে সে। এমন নয় যে সাকিব তা করে না, তবে ম্যাশ বেশি ফুটিয়ে তুলতে পারে। দলের কাছ থেকে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে সে এবং সবার কাছ থেকে সেরাটা বের করে আনে। সে একজন যোদ্ধা, দারুণভাবে নেতৃত্ব দিচ্ছে দলকে। ওর সঙ্গে কাজ করতে উপভোগ করি আমি।”
অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে সত্যিকার অর্থে মূল্যায়নের মতো যথেষ্ট এখনও দেখেননি রোডস। তবে শুরুর পদক্ষেপগুলোয়ে মিশে থাকল ভালো লাগা।
“এখন রিয়াদ আমার জন্য নতুন অধিনায়ক। প্রাথমিক অভিজ্ঞতা দারুণ। দল নির্বাচন ও অন্যান্য ভাবনা নিয়ে ছোট্ট একটি মিটিং হয়েছে ওর সঙ্গে। আশা করি নির্বাচকেরা সেই পথেই এগোবে। তবে সবকিছুই দ্রুত হয়েছে, আমার মনে হলো, বাহ, ভালো তো! আজকে রিয়াদ, আমার ও অ্যানালিস্টের আরেকটি মিটিং আছে। আরও ভালো বুঝতে পারব।”
কোচ নিজেও মানছেন কাজটি চ্যালেঞ্জিং। তবে সেই চ্যালেঞ্জ তিনি উপভোগ করছেন পেশাদারিত্বের দাবি মেটানোর চাহিদা থেকে।
“সেটিই তো আমার ম্যানেজমেন্ট স্কিলের পরীক্ষা। আমি অবশ্যই বিশেষজ্ঞ নই। তবে আশা করছি, যে-ই থাকুক, তার ধরনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারব। চ্যালেঞ্জিং অবশ্যই, তবে অসম্ভব নয়। আমি পেশাদার কোচ। যদি ওই মানুষটির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে না পারি, তাহলে আমি নিজের কাজ ঠিকঠাক করছি না। ওরা সবাই আলাদা। শুধু অধিনায়ক নয়, সব ক্রিকেটারই আলাদা। কোচিং তো কোনো একভাবে করা যায় না। সবার ধরনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়, কারণ সবাই আলাদা।”