তুষার-রাজ্জাকের কাছে যা শিখেছেন মিঠুন

অনেক বছর ধরেই তারকায় ঠাসা দল খুলনা। নিজ বিভাগের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেকের সৌভাগ্য তাই হয়নি মোহাম্মদ মিঠুনের। তবে লড়াই করেই অর্জন করে নিয়েছেন খুলনা দলে জায়গা। নিজেও এক সময় হয়ে উঠেছেন দলের ভরসা। দীর্ঘ পথচলায় সতীর্থ হিসেবে পেয়েছেন তুষার ইমরান, আব্দুর রাজ্জাকের মতো অভিজ্ঞদের। শিখেছেন অনেক কিছু। সেই অভিজ্ঞতা ও শিক্ষা মিঠুন কাজে লাগাতে চান টেস্ট ক্রিকেটে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 Oct 2018, 10:24 AM
Updated : 31 Oct 2018, 10:24 AM

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রায় এক যুগের বিচরণের পর অবশেষে প্রথমবার টেস্ট দলে জায়গা পেয়েছেন মিঠুন। ২০০৬ সালের নভেম্বরে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক। তবে কুষ্টিয়ার ছেলে খেললেন সিলেট দলে। এক বছর পর লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে অভিষেকও সিলেটের হয়েই। খুলনার তারকাসমৃদ্ধ দলে জায়গা করে নিতে সময় লেগেছে বেশ।

শুরুর সেই লড়াই মিঠুনের অনুপ্রেরণা হয়ে থেকেছে পরের প্রতিটি পদেক্ষপে। একেকটি ধাপ পেরিয়ে আজ তিনি ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আঙিনায় পা রাখার অপেক্ষায়। খুলনায় চ্যালেঞ্জ জয়ের যে অভিজ্ঞতা তার হয়েছে, সেটি তাকে বিশ্বাস জুগিয়ে যাচ্ছে এখনও। বুধবার সিলেটে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে টেস্ট দলের অন্যতম নতুন মুখ শোনালেন সেই গল্প।

“আমি যখন শুরু করি, খুলনা দলে প্রায় সবাই সুপারস্টার। জাতীয় দলেরই অন্তত ৬-৭ জন থাকত খুলনা একাদশে। সেখানে লড়াই করে শিখেছি। বড় ক্রিকেটারদের সঙ্গে খেললে অনেক কিছু শেখার থাকে। সেদিক থেকে আমি ভাগ্যবান যে খুলনা দলের হয়ে অনেক দিন খেলেছি। এটা অবশ্যই সাহায্য করবে টেস্টে। জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গে খেলার অভিজ্ঞতাও কাজে দেবে।”

জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারের ভিড়েও মিঠুন আলাদা করে বললেন দুজনের কথা, যারা আপাতত জাতীয় দলের বাইরে। খুলনা বিভাগীয় দলের একরকম প্রতীক হয়ে উঠেছেন তুষার ইমরান ও আব্দুর রাজ্জাক। মৌসুমের পর মৌসুম পারফর্ম করে গেছেন অসাধারণ ধারাবাহিকতায়। কাছ থেকে তাদের দেখে মিঠুন শিখেছেন, কিভাবে জয় করতে হয় প্রতিকূলতা।

“তুষার ও রাজ ভাইয়ের কাছ থেকে কমন একটা জিনিস শিখেছি। দুজনই দারুণ সফল। একজন ঘরোয়া ক্রিকেটে (প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে) আমাদের সর্বোচ্চ রান স্কোরার, আরেকজন সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি। পারফর্ম করার তাগিদটা তাদের মধ্যে দেখেছি। তুষার ভাই যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, যত কঠিন পরিস্থিতিই হোক, যত কঠিন কন্ডিশন হোক, উনি ঠিকই কোনো না কোনোভাবে মানিয়ে নেন। রাজ ভাইও একইরকম। উইকেটে কিছু না থাকলেও চেষ্টা করেন এবং ভালো করেন।”

“উনাদের কাছ থেকে এই চেষ্টাটাই শিখেছি আমি। একজন খেলোয়াড় হিসেবে আমার হাতে আছে শতভাগ চেষ্টা করা। সেটা আমি করতে পারি। সফল হতে পারব কিনা, সেটি হাতে নেই। ভালো একটি ডেলিভারিতেও আমি আউট হয়ে যেতে পারি। কিন্তু চেষ্টার কমতি রাখা যাবে না। উনাদের মধ্যে যে চেষ্টা দেখেছি, সেটিই আমাকে অনুপ্রাণিত করে দারুণভাবে যে সফল হতে গেলে কতটা পরিশ্রম করতে হয়।”