এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৩৭ রানে হারিয়েছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
Published : 15 Sep 2018, 05:03 PM
রেকর্ড গড়া জয়
এই জয় দেশের বাইরে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয়। বাইরে আগের সবচেয়ে বড় জয় ছিল ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়েতে ১২১ রানের জয়।
ঘরে-বাইরে মিলিয়েও বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জয় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। গত জানুয়ারিতে মিরপুরে ১৬৩ রানে জিতেছিল বাংলাদেশ।
১২৪ রানে অলআউট বাংলাদেশের বিপক্ষে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে কম রানে আউট হওয়ার রেকর্ড। আগের সর্বনিম্ন ইনিংস ছিল ২০০৯ সালে ১৪৭।
শেষ করলেন সাকিব
বাকিদের উইকেট শিকারের মেলায় বাকি ছিলেন কেবল সাকিব আল হাসান। শেষ উইকেট তুলে নিয়ে তিনিও সামিল হলেন। ফিরিয়ে দিলেন আমিলা আপোন্সোকে। ৩৫.২ ওভারেই শ্রীলঙ্কা গুটিয়ে গেল মাত্র ১২৪ রানে। বাংলাদেশের জয় ১৩৭ রানে।
উইকেট শিকারে মোসাদ্দেকও
হাত ঘোরালেন মোসাদ্দেক। ধরলেন শিকার। ফিরিয়ে দিলেন একপ্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকা দিলরুয়ান পেরেরাকে।
ওভারের প্রথম বলে বেরিয়ে এসে মোসাদ্দেককে খেলতে চেয়েছিলেন দিলরুয়ান। বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে করতে পারেননি ব্যাটে-বলে। বাকি কাজ সেরেছেন কিপার লিটন দাস, স্টাম্পড।
ইনিংসের সর্বোচ্চ ২৯ রান করে ফিরলেন দিলরুয়ান। শ্রীলঙ্কা ৩৪.১ ওভারে ৯ উইকেটে ১২০।
ভাঙল লাকমলের প্রতিরোধ
লোয়ার অর্ডারে একটি প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করেছিলেন সুরাঙ্গা লাকমল। জুটি গড়ার চেষ্টা করেছিলেন দিলরুয়ান পেরেরাকে নিয়ে। সেই চেষ্টার ইতি টানলেন মুস্তাফিজ। অফ কাটারে বোল্ড করে দিলেন লাকমলকে।
লাকমল বিদায় নিলেন ২০ রানে। ভাঙল ২৭ রানের জুটি, ইনিংসের যা সর্বোচ্চ। ২৫.২ ওভারে শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে ৯৬।
থিসারার ঝড় উঠল না
আগের বলেই রিভিউ নিয়ে সফল হয়নি প্রতিপক্ষ। তবে থিসারা পেরেরা নিজেই উইকেট উপহার দিলেন। মিরাজকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়লেন পয়েন্টে রুবেলের হাতে।
বাংলাদেশকে অনেকবার ভোগানো বিপজ্জনক থিসারার বিদায় ৬ রানেই। বড় হারের পথে শ্রীলঙ্কা। ১৮.৫ ওভারে রান ৭ উইকেটে ৬৯।
রিভিউ হারাল বাংলাদেশ
মিরাজের স্কিড করা বল ঠিকমতো খেলতে পারেননি থিসারা পেরেরা। বোলারের মনে হলো বল লেগেছিল প্যাডে। আম্পায়ার আবেদনে সাড়া না দিলে রিভিউ নিল বাংলাদেশ। রিপ্লেতে দেখা গেল, বল প্যাডে লাগেইনি। লেগেছে ব্যাটে। বাংলাদেশ হারাল রিভিউ।
রুবেলের শিকার ম্যাথিউস
উইকেট উৎসবে যোগ দিলেন রুবেল হোসেন। নিজের প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসকে। লেংথ থেকে অ্যাঙ্গেলে একটু ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউ। ধারাভাষ্যকক্ষে কুমার সাঙ্গাকারা বললেন, “শ্রীলঙ্কার শেষ আশাও হয়ত শেষ হয়ে গেল।”
ম্যাথিউস আউট হলেন ১৬ রানে। ১৭.২ ওভারে শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে ৬৩।
রান আউট শানাকা
ক্যাচ দিয়ে বেঁচে গেলেও রান আউট থেকে বাঁচতে পারলেন না দাসুন শানাকা। পানি বিরতির পর প্রথম বলেই বাংলাদেশ তুলে নিল আরও একটি উইকেট।
মিরাজের বল লেগ সাইডে ঠেলে রানের জন্য ছুটছিলেন ম্যাথিউস। তখন ছুটতে শুরু করেন শানাকাও। কিন্তু থমকে যান ম্যাথিউস। সময়মতো ফিরতে পারেননি শানাকা। সাকিবের থ্রো ধরে বেলস ফেলেছেন বোলার মিরাজ।
৭ রানে ফিরলেন শানাকা। ১৬.১ ওভারে শ্রীলঙ্কা ৫ উইকেটে ৬০।
মিরাজের শিকার কুসল পেরেরা
মেহেদী হাসান মিরাজের বল শুরু থেকেই ঠিকমতো খেলতে পারছিলেন না কুসল পেরেরা। শেষ পর্যন্ত বিপজ্জনক বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে বিদায় করেই দিলেন মিরাজ।
স্টাম্পের একটু দূর থেকে করা বলে মিরাজ পরাস্ত করলেন কুসলকে। বল লাগল পায়ে। আম্পায়ারের আঙুল উঠতে সময় লাগেনি। এমনিতে আক্রমণাত্মক পেরেরা এদিন করেছেন ২৪ বলে ১১।
৯.২ ওভারে শ্রীলঙ্কা ৪ উইকেটে ৩৮।
মাশরাফির আরেকটি
থারাঙ্গার পর এবার শ্রীলঙ্কার মিডল অর্ডারের অন্যতম ভরসা ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকেও ফেরালেন মাশরাফি। দারুণভাবে ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ। বিপদে শ্রীলঙ্কা।
অফ স্টাম্পে পিচ করে হালকা ভেতরে ঢোকা বল ঠিকমতো খেলতে পারেননি ধনাঞ্জয়া। আবেদনের সঙ্গে সঙ্গেই আঙুল তোলেন আম্পায়ার। শ্রীলঙ্কা রিভিউ নিয়েছিল। তাতে কাজ হয়নি। উইকেটের পাশাপাশি হারাতে হয়েছে রিভিউটিও।
শূন্য রানে ফিরলেন ধনাঞ্জয়া। ৪.৩ ওভারে শ্রীলঙ্কা ৩ উইকেটে ৩২।
মাশরাফির প্রতিশোধ
ইনিসের দ্বিতীয় বলেই মাশরাফিকে ছক্কা। চতুর্থ বলে চার। পরের ওভারে মুস্তাফিজকে দুটি চার। উপুল থারাঙ্গা শুরু করেছিলেন ঝড়ের বেগে। সেই ঝড় থামিয়ে মাশরাফি নিলেন মধুর প্রতিশোধ।
জায়গা বানিয়ে খেলতে পছন্দ করেন থারাঙ্গা। সেই জায়গাই দেননি মাশরাফি। ভেতরে ঢোকা বল থার্ডম্যানে পাঠাতে গিয়ে থারাঙ্গা টেনে আনলেন স্টাম্পে।
১৬ বলে ২৭ রানে বোল্ড থারাঙ্গা। ৩ ওভারে শ্রীলঙ্কা ২ উইকেটে ২৮।
মেন্ডিসকে ফেরালেন মুস্তাফিজ
শুরু থেকেই ঝড় তুলেছেন উপুল থারাঙ্গা। তবে আরেক পাশে কুসল মেন্ডিসকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম উইকেট এনে দিলেন মুস্তাফিজ।
এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার ইরাসমাস। রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। মূল প্রশ্ন ছিল বল লাইনে পিচ করেছে কিনা। সেটি ছিল ঠিক। রিভিউ পক্ষে আসে বাংলাদেশের। মেন্ডিস আউট হলেন তার খেলা প্রথম বলেই।
২ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কা ১ উইকেটে ২২।
তামিমের বীরত্ব, মুশফিকের ঝড়
কবজির চিড় নিয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে স্রেফ একটি বল খেলেছেন তামিম। কিন্তু তার চেয়ে বেশি যেটা করেছেন, এক প্রান্তে থাকা। মুশফিককে সঙ্গ দেওয়া। মুশফিক সেটি কাজে লাগালেন অসাধারণভাবে। তুললেন ঝড়। থিসারা পেরেরার এক ওভারে দুটি চার একটি ছয়। শেষ ওভারে আবারও থিসারাকে টানা দুটি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ৩ বল বাকি থাকতে আউট হলেন লং অনে মেন্ডিসের দুর্দান্ত এক ক্যাচে।
ততক্ষণে বাংলাদেশ পৌঁছে গেছে দারুণ অবস্থানে। তামিম কেবল এক বল খেললেও জুটিতে ১৬ বলে এল মহামূল্য ৩২ রান।
৪৯.৩ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট ২৬১ রানে।
ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে মুশফিক আউট হলেন ১৫০ বলে ১৪৪ রান করে। ইনিংসে ছিল ১১ চার ও ৪ ছক্কা। ওয়ানডেতে তার আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৪ সালের এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ১১৭।
১০ ওভারে ২৩ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার সেরা বোলার লাসিথ মালিঙ্গা।
বিস্ময় ছড়িয়ে ব্যাটিংয়ে তামিম
একটু আগেও টিভি পর্দায় দেখা গেছে স্লিংয়ে হাত ঝোলানা অবস্থায়। মুস্তাফিজ আউট হওয়ার পর সেই তামিমকেই দেখা গেল ব্যাটিংয়ে! সবাইকে চমকে দিয়ে শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আবার ব্যাটিংয়ে নামলেন তামিম। ব্যাট করেলেন এক হাতে। বাঁহাতের কবজিতে চিড়, ব্যাট ধরলেন শুধু ডানহাতে।
মুশফিকের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি
এক পাশ থেকে নিয়মিত উইকেট পড়লেও আরেকপাশে অটল মুশফিক। তাকে স্পর্শ করেনি যেন কিছুই। আপন গতিতে খেলে পূরণ করলেন দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি। ওয়ানডেতে তার ষষ্ঠ। দেশের বাইরে তৃতীয়। এশিয়া কাপে দ্বিতীয়। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম।
লাকমলকে ফ্লিক করে ১২৩ বলে মুশফিক স্পর্শ করলেন সেঞ্চুরি। ৪৩.৩ ওভারে বাংলাদেশ ৮ উইকেটে ২০৯।
রিভিউয়ে বিদায় রুবেলের
আগের ওভারে রিভিউ নিয়ে বেঁচেছিলেন রুবেল। এবার রিভিউ নিয়েই তাকে ফেরাল শ্রীলঙ্কা। সোজা বল ক্রস ব্যাটে খেলেছিলেন রুবেল। এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে সফল হয় শ্রীলঙ্কা। পার্ট টাইমার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা নিলেন দ্বিতীয় উইকেট।
রুবেলের বিদায় ২ রানে। বাংলাদেশ ৪২.৪ ওভারে ৮ উইকেটে ২০৪।
রিভিউয়ে রক্ষা রুবেলের
মালিঙ্গার ইয়র্কার ঠিকমত খেলতে পারেননি রুবেল। এলবিডব্লিউয়ের আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। ক্রিজ থেকে ড্রেসিং রুমের পথে হাঁটা ধরেছিলেন রুবেল। কিন্তু তাকে থামান মুশফিক। নিতে বলেন রিভিউ। রিপ্লেতে দেখা যায়, প্যাডে লাগার আগে পরিষ্কারভাবে বল লেগেছিল ব্যাটে।
বাংলাদেশের দুইশ
একশ রান ছোঁয়ার সময় যতটা সম্ভাবনা ছিল বাংলাদেশের, পরের একশ হতে হতে সেই সম্ভাবনা মিলিয়ে গেছে অনেকটাই। ৪১তম ওভারে ২০০ স্পর্শ করল বাংলাদেশ, উইকেট নেই ৭টি। আসলে উইকেট নেই ৮টি, তামিম আর ফিরতে পারবেন না ব্যাটিংয়ে।
এশিয়া কাপ শেষ তামিমের
বাংলাদেশের ব্যাটিং যখন ধুঁকছে, তামিম ইকবালকে দেখা গেল ড্রেসিং রুমে। স্লিঙ্গে হাত ঝোলানো গলার সঙ্গে। এই ম্যাচে তো বটেই, তামিম খেলতে পারবেন না গোটা টুর্নামেন্টেই। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর যা খবর, অন্তত ৬ সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে দেশের সফলতম ব্যাটসম্যানকে।
পারলেন না মাশরাফিও
মুশফিকুর রহিমকে লম্বা সময় সঙ্গ দিতে পারলেন না মাশরাফিও। থিসারা পেরেরাকে দারুণ দুটি চার মেরেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ভালো কিছুর। কিন্তু পারলেন না তেমন কিছু করতে। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়লেন উপুল থারাঙ্গার হাতে।
১১ রানে ফিরলেন মাশরাফি। মুশফিকের সঙ্গে জুটি ছিল ২০ রানের। বাংলাদেশ ৩৯ ওভারে ৭ উইকেটে ১৯৫। ৯০ রানে উইকেটে মুশফিক।
আবারও বেঁচে গেলেন মুশফিক
১০ রানে জীবন পাওয়ার পর থেকে দারুণ খেলছিলেন মুশফিক। কিন্তু মুহূর্তের অমনোযোগিতায় ক্যাচ দিয়েছিলেন আবার। সেই ক্যাচ নিতে পারেননি বোলার ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। বল এসেছিল তার সোজাসুজি, ছিল না জোর। সহজ সেই ক্যাচ নিতে পারেননি ধনাঞ্জয়া। মুশফিক জীবন পেলেন ৮৫ রানে।
লাকমলের দুর্দান্ত ক্যাচ
মুশফিক ও মিরাজের ব্যাটে যখন আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশ, জমে উঠতে শুরু করেছে জুটি, তখনই আবার শ্রীলঙ্কার আঘাত। এবার সুরাঙ্গা লাকমলের দুর্দান্ত ফিরতি ক্যাচে ফিরলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
লাকমলের বলে স্ট্রেইট ড্রাইভ খেলেছিলেন মিরাজ। বল নিচু হয়ে ভেসেছে বাতাসে। ফলো থ্রুতে অসাধারণ রিফ্লেক্স ক্যাচ নেন লাকমল।
মিরাজ ফিরলেন ১৫ রানে। ভাঙল ৩৩ রানের জুটি। ৩৩.৪ ওভারে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৭৫।
আবারও মালিঙ্গার ছোবল
প্রথম স্পেলে বাংলাদেশে বিপকে ফেলেছিলেন ওক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে। লাসিথ মালিঙ্গা বাংলাদেশকে ভোগালেন দ্বিতীয় স্পেলেও। গুছিয়ে ওঠা বাংলাদেশকে নাড়িয়ে দিলেন এবার পরপর দুই ওভারে উইকেট নিয়ে।
শর্ট বলে মোসাদ্দেকের দুর্বলতা নিয়ে কথা হয়েছে অনেক। সেই শর্ট বলেই হলেন আউট। মালিঙ্গার বলটিতে পুল করতে চেয়েছিলেন। ব্যাটের কানায় লেগে বল কিপারের গ্লাভসে।
মালিঙ্গা পূর্ণ করলেন ৪ উইকেট। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৪ ওয়ানডেতে প্রথমবার ৪ উইকেট। ৬ ওভার শেষে ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট।
১ রানে ফিরলেন মোসাদ্দেক। ২৮ ওভার শেষে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ১৪২।
বাজে শটে মাহমুদউল্লাহর বিদায়
বড় জুটির পর আবারও দ্রুত দুটি উইকেটের পতন। মিঠুন উইকেট উপহার দেওয়ার পর বাজে শটে ফিরলেন মাহমুদউল্লাহও।
বাঁহাতি স্পিনার আমিলা আপোন্সোর ঝুলিয়ে দেওয়া নিরীহ বল গায়ের সমস্ত শক্তিতে স্লগ করতে চাইলেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটের কানায় লিগে বল উঠল আকাশে। কাভারে দারুণ ক্যাচ নিলেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা।
১ রানে বিদায় মাহমুদউল্লাহর। ২৬.২ ওভারে বাংলাদেশ ৪ উইকেটে ১৩৬।
মালিঙ্গা ফিরেই ফেরালেন মিঠুনকে
যে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলছিলেন, সেটিই হয়তো কাল হলো মিঠুনের জন্য। খেসারত দিলে অতি আত্মবিশ্বাসী শট খেলার। প্রয়োজনের সময় আবারও দলকে উইকেট এনে দিলেন সেই মালিঙ্গা।
জুটি ভাঙতেই তাকে আক্রমণে এনেছিলেন অধিনায়ক ম্যাথিউস। দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই ফেরালেন মিঠুনকে। এবারও স্পেলের প্রথম ওভারে উইকেট; যদিও সেটি ব্যাটসম্যান মিঠুনের উপহার।
অফ স্টাম্পের লেংথ বল ক্রস ব্যাটে মিড উইকেটে উড়িয়ে মারতে চেয়েছিলেন মিঠুন। বল উঠে যায় আকাশে। ক্যাচ নেন কিপার কুসল পেরেরা।
৬৮ বলে ৬৩ রান করে ফিরলেন মিঠুন। ভাঙল তৃতীয় উইকেটে ১৪২ বলে ১৩১ রানের জুটি। ২৫.৩ ওভারে বাংলাদেশের রান তখন ৩ উইকেটে ১৩৪।
মুশফিকের পঞ্চাশ
ক্যারিয়ারে অনেকবার দলকে বিপদ থেকে উদ্ধার করা ব্যাটসম্যানের ব্যাট আবারও চওড়া দলের প্রয়োজনে। প্রথম ওভারেই দুই উইকেট হারানোর পর উইকেটে গিয়েছিলেন মুশফিক। উপহার দিলেন আরও একটি ফিফটি।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩০তম ফিফটি মুশফিক পেয়েছেন ৬৭ বলে। ৩টি চারের সঙ্গে মেরেছেন একটি ছক্কা।
জুটির শতরান
মুশফিক-মিঠুনের ব্যাটে বাংলাদেশের ইনিংস এগিয়ে চলেছে দারুণ গতিতে। দুজনে গড়েছেন শতরানের জুটি।
১০ রানের মধ্যে ২ উইকেটে হারানোর পর তৃতীয় উইকেটে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরি জুটি এটিই। আগের সর্বোচ্চ ছিল ২০১৪ সালে সেন্ট কিটসে মুশফিক ও তামিম ইকবালের ৯৯ রানের জুটি।
বাংলাদেশের একশ
প্রথম ১০ ওভারে রান ছিল ২৪। সেখান থেকে বাংলাদেশ দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়াল পরের ১০ ওভারে। ২০তম ওভারেই দলের রান ছাড়িয়ে গেল একশ।
মুশফিক-মিঠুনের ব্যাটে এই ঘুরে দাঁড়ানো দলের। ২০ ওভার শেষে দলের রান ২ উইকেটে ১০২। ৫১ রানে অপরাজিত মিঠুন, ৪৩ রানে মুশফিক।
মিঠুনের প্রথম ফিফটি
দলের বিপর্যয়ে উইকেটে গিয়েছিলেন। তার শুরুটাও ছিল নড়বড়ে। জীবন পেয়েছেন ১ রানে। কিন্তু উইকেটে সময় কাটিয়ে পেয়ে গেলেন আত্মবিশ্বাস। ব্যাটে দেখা গেল স্ট্রোকের ছটা। পৌঁছে গেলেন পঞ্চাশে। প্রথম আন্তর্জাতিক ফিফটি!
ফেরার ম্যাচে দলের ভীষণ প্রয়োজনের সময় দারুণ এক ফিফটি উপহার দিলেন মিঠুন। চতুর্থ ওয়ানডে খেলতে নামা ব্যাটসম্যান ৫২ বলে ছুঁয়েছেন পঞ্চাশ।
প্রথম ২০ বলে তার রান ছিল ১০। এরপর খেলেছেন দুর্দান্ত সব শট। আপোন্সোকে ছক্কা মারার পর দিলরুয়ান পেরেরার অফ স্পিনে প্রথম ওভারেই বল পাঠিয়েছেন গ্যালারিতে। পরের দুই বলেও মেরেছেন বাউন্ডারি। সুরাঙ্গা লাকমলের বলে থার্ডম্যান দিয়ে চার মেরে ফিফটি ৫২ বলেই।
মুশফিক-মিঠুন জুটির পঞ্চাশ
নড়বড়ে শুরুর পর ক্রমেই আত্মবিশ্বাসের ছাপ দেখা যাচ্ছে মিঠুন ও মুশফিকের ব্যাটে। আপোন্সোকে প্রিয় সুইপে চার মেরেছেন মুশফিক। ওই ওভারেই বেরিয়ে এসে আপোন্সোকে লং অফ দিয়ে ছক্কা মেরেছেন মিঠুন। আপোন্সোকেই পরে রিভার্স সুইপে চার মেরেছেন।
এই পথচলায় জুটিতে পঞ্চাশও তুলেছেন দুজন। ৭৩ বলে এসেছে এই অর্ধশত রানের জুটি। জুটিতে মুশফিকের অবদান ২২, মিঠুনের ২৫।
১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৫৩।
মন্থর পাওয়ার প্লে
প্রথম ওভারে দুই উইকেট। দলের সফলতম ব্যাটসম্যানের দ্বিতীয় ওভারে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়া। বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দুঃস্বপ্নের মতো। শুরুর ধাক্কায় অনেকটাই মিইয়ে গিয়েছে দল। রানের চাকা ঘুরছে খুবই মন্থর গতিতে। প্রথম বাউন্ডারি এসেছে অষ্টম ওভারে।
দলের অবস্থা আরও সঙ্গীন হতে পারত, যদি মিঠুন ও মুশফিকের ক্যাচ নিতে পারত লঙ্কানরা। জীবন পাওয়া দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটেই এখন তাকিয়ে দল।
প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ২৪।
বাঁচলেন মুশফিকও
মিঠুনের পর এবার জীবন পেলেন মুশফিকুর রহিমও। ইনিংসের দশম ও থিসারা পেরেরার প্রথম ওভারেই বেঁচে গেলেন ক্যাচ দিয়ে।
বলটি ছিল নিরীহ। কিন্তু ফ্লিক করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ তুলে দিলেন মুশফিক। বাংলাদেশকে স্বস্তি দিয়ে সেটি হাতে জমাতে পারেননি দিলরুয়ান পেরেরা।
১০ রানে নতুন জীবন পেলেন মুশফিক।
'নো' বলে ক্যাচ মিস
মিড অনে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়ার পর ওই ওভারে আবার ক্যাচ দিয়েছিলেন মিঠুন। ফাইন লেগে ফিল্ডার ক্যাচ মিস করেন এবারও। তবে এটি নিয়ে আফসোসে পড়তে হয়নি লঙ্কানদের। উচ্চতার কারণে মালিঙ্গার ডেলিভারিটি ছিল 'নো' বল।
৫ ওভারে শেষে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ১০। আসেনি কোনো বাউন্ডারি।
বেঁচে গেলেন মিঠুন
দলে ফেরার ম্যাচে শুরুতেই ফিরতে পারতেন মোহাম্মদ মিঠুন। বেঁচে গেলেন মালিঙ্গার বলে ক্যাচ দিয়েও।
লেগ-মিডলে থাকা বলটি মিড উইকেটের দিকে খেলতে চেয়েছিলেন মিঠুন। কিন্তু ব্যাটের কানায় লেগে বল গেল মিড অনে। বাতাসে ভেসে ছিল বেশ কিছুক্ষণ। ফিল্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস বলটি দেখতে পেরেছিলেন হয়ত মুহূর্তখানেক দেরিতে। পরে সামনে ডাইভ দিয়ে চেষ্টা করেছেন। বলে হাত ছোঁয়ালেও মুঠোয় জমাতে পারেননি।
১ রানে জীবন পেলেন মিঠুন।
হলো না হ্যাটট্রিক
ওয়ানডেতে তিনবার হ্যাটট্রিকের স্বাদ পেয়েছেন লাসিথ মালিঙ্গা। টি-টোয়েন্টিতে হ্যাটট্রিক করেছেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। ফেরার ম্যাচে সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন আরেকটি হ্যাটট্রিকের। তবে হলো না।
প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে পরপর ফিরিয়েছেন লিটন ও সাকিবকে। পরের ওভারের প্রথম বলটিও ছিল বেশ ভালো। মিডল স্টাম্পে ফুল লেংথ। তবে একেবারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বলের দিকে চোখ রেখে মুশফিকও বলটি খেলেছেন মাঝ ব্যাটেই।
হ্যাটট্রিক না হলেও ওভারটি মালিঙ্গা নিয়েছেন মেডেন। ২ ওভার শেষে তার ২ উইকেট মাত্র ১ রান দিয়ে।
৩ ওভার শেষে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ৩।
চোট নিয়ে মাঠের বাইরে তামিম
আঙুলের চোট পুরোপুরি সেরে ওঠার আগেই ম্যাচ খেলছেন তামিম। তাকে নিয়ে শঙ্কার জায়গা একটু ছিলই। বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই শঙ্কা সত্যি হলো দ্বিতীয় ওভারেই। চোট নিয়ে মাঠ ছাড়লেন তামিম।
সুরাঙ্গা লাকমলের বাউন্সের পুল করতে চেয়েছিলেন তামিম। বল লাগে তার গ্লাভসে। মুখে ফুটে ওঠে যন্ত্রণার ছাপ। ছুটে আসেন ফিজিও। একটু পর ব্যথা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।
শুরুতেই ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বড় আঘাত। ২ রানে আহত হয়ে মাঠ ছাড়লেন তামিম।
গোল্ডেন ডাক সাকিব
দীর্ঘ বিরতির পর প্রথম ওভারে পাওয়া উইকেট যেন দারুণভাবে উজ্জীবিত করল মালিঙ্গাকে। লিটনকে আউটের পরের বলেই দেখালেন তার সেরা সময়ের ঝলক। সুইঙ্গিং ফুল লেংথ বলে প্রথম বলেই বোল্ড সাকিব!
সুইং করে ভেতরে ঢোকা বলটি যেন চমকে দিয়েছিল সাকিবকে। প্রথম বলেই এমন ডেলিভারিতে ব্যাটসম্যানের করার থাকে সামান্যই।
এই নিয়ে ৯ বার ওয়ানডেতে শূন্য রানে ফিরলেন সাকিব। ৫ বারই গোল্ডেন ডাক।
প্রথম ওভার শেষে বাংলাদেশ ২ উইকেটে ১।
শূন্যতে শেষ লিটন
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরাটা বুঝি এর চেয়ে ভালো হতে পারত না লাসিথ মালিঙ্গার। এক বছর পর ফিরে প্রথম ওভারেই উইকেট। আউট করলেন লিটন দাসকে।
অফ স্টাম্পে পিচ করা বল একটু বেরিয়ে যাচ্ছিল। লিটন চেষ্টা করেছিলেন জোড়া পায়ে ডিফেন্স করার। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে যায় প্রথম স্লিপে মেন্ডিসের হাতে। শূন্য রানেই আউট লিটন।
বাংলাদেশের রান ১ উইকেট ১।
মালিঙ্গার ফেরা
এক বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামছেন লাসিথ মালিঙ্গা। ৩৫ বছর বয়সী লঙ্কান পেস কিংবদন্তি সবশেষ ওয়ানডে খেলেছিলেন গত বছরের ৩ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে।
শ্রীলঙ্কার একাদশে বিশেষজ্ঞ স্পিনার দুইজন। দুজনই লম্বা সময় পর ফিরেছেন দলে। গত বছরের জুনের পর প্রথম ওয়ানডে খেলছেন বাঁহাতি স্পিনার আমিলা আপোন্সো। টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য দিলরুয়ান পেরেরা আরেকটি সুযোগ পেয়েছেন রঙিন পোশাকে নিজেকে মেলে ধরার। সবশেষ ওয়ানডে খেলেছেন তিনি গত বছরের এপ্রিলে।
সেরা দল নিয়েই বাংলাদেশ
চোট সমস্যা থাকলেও অনুমিতভাবেই বাংলাদেশের একাদশে আছেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। ম্যাচের আগে পুরোনো পাঁজরের ব্যথা মাথাচাড়া দিলেও আছেন মুশফিকুর রহিম।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে বাংলাদেশের সবশেষ ওয়ানডের দল থেকে দুটি পরিবর্তন অবধারিতই ছিল। এনামুল হক ও সাব্বির রহমান নেই স্কোয়াডেই। তামিমের সঙ্গে ইনিংস শুরু করবেন লিটন দাস। সাব্বিরের জায়গায় স্কোয়াডে জায়গা পাওয়া মোহাম্মদ মিঠুন আছেন একাদশেও।
বাংলাদেশ একাদশ: মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান।
ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
টস জিতে ব্যাটিং নিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। উইকেট দেখে বাংলাদেশ অধিনায়কের মনে হয়েছে যথেষ্টই ব্যাটিং সহায়ক। পরের দিকে মন্থর হতে পারে বলে ধারণা তার, করতে পারে একটু টার্ন।
টস জিতলে ব্যাটিংই নিতে বলে জানালেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। শ্রীলঙ্কান অধিনায়কেরও ধারণা, পরের দিকে একটু মন্থর হবে উইকেট।
ব্যাটিং সহায়ক উইকেট?
দুবাই আন্তর্জান্তিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেটে ঘাসের ছোঁয়া নেই বললেই চলে। প্রায় ন্যাড়া। পিচ রিপোর্টে রমিজ রাজা বললেন, “উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ। স্পিনারদেরও খুব একটা সহায়তা করবে না। উইকেটে হালকা কিছু ফাটল আছে, তবে সেটি ব্যাটসম্যানদের কোনো সমস্যাই করবে না।”
শ্রীলঙ্কা পাচ্ছে না সেরা দল
চোটের কারণে টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই শ্রীলঙ্কা হারিয়েছে দলের অন্যতম বড় ভরসা দিনেশ চান্দিমালকে। দুবাইয়ে যাওয়ার পর চোট নিয়ে দেশে ফিরেছেন ওপেনার দানুশকা গুনাথিলাকা। এই দুজনের চেয়েও বড় ক্ষতি হয়ত আকিলা দনাঞ্জয়াকে না পাওয়া। সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে থাকার জন্য গ্রুপ পর্বে খেলতে পারবেন না লঙ্কানদের বোলিং আক্রমণের মূল অস্ত্র এই স্পিনার। সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কা পাচ্ছে না প্রথম পছন্দের একাদশের অন্তত তিনজনকে।
শ্রীলঙ্কা স্কোয়াড: অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (অধিনায়ক), কুসল পেরেরা, কুসল মেন্ডিস, উপুল থারাঙ্গা, নিরোশান ডিকভেলা, শেহান জয়াসুরিয়া, থিসারা পেরেরা, দাসুন শানাকা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, আকিলা দনাঞ্জয়া, দিলরুয়ান পেরেরা, আমিলা আপোন্সো, কাসুন রাজিথা, সুরাঙ্গা লাকমল, দুশমন্থ চামিরা, লাসিথ মালিঙ্গা।
চোট জর্জর বাংলাদেশ
আঙুলের চোট নিয়েই এই টুর্নামেন্ট খেলবেন সাকিব আল হাসান। তাকে কতটুকু ফিট পাওয়া যাবে, সেটি নিয়ে আছে শঙ্কা। তামিম ইকবাল দুবাই গেছেন আঙুলের চোট নিয়ে। শেষ পর্যন্ত যদি মাঠে নামেন, তার কাছ থেকেও শতভাগ পাওয়া নিয়ে আছে সংশয়। নতুন দুশ্চিন্তার নাম মুশফিকুর রহিম। তার পুরোনো পাঁজরের ব্যথা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে ম্যাচের আগে। তবে ব্যথা নিয়েই খেলবেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ স্কোয়াড: মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ-অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, মোহাম্মদ মিঠুন, লিটন কুমার দাস, মুশফিকুর রহিম, আরিফুল হক, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল ইসলাম অপু, রুবেল হোসেন, মুস্তাফিজুর রহমান, আবু হায়দার।
মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের এগিয়ে চলার প্রতিচ্ছবি মিলবে এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পারফরম্যান্স দিয়েও। টুর্নামেন্টে এই দুই দলের প্রথম ১০ লড়াইয়েই হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে শেষ তিন লড়াইয়ে বাংলাদেশ জিতেছে দুটিতেই। দুই আসরে ফাইনালও খেলেছে বাংলাদেশ।
২৩ বছর পর
সংযুক্ত আরব আমিরাতে যখন সবশেষ খেলেছে বাংলাদেশ, তখনও ওয়ানডে মর্যাদা পায়নি তারা। বিশ্বকাপ খেলাও ছিল স্বপ্ন। সেই ১৯৯৫ এশিয়া কাপে তিন ম্যাচই হেরেছিল বাংলাদেশ। ২৩ বছর পর মরুর বুকে আরেকটি এশিয়া কাপ খেলবে বাংলাদেশ, এবার সমীহ জাগানিয়া দল হিসেবে।
১৯৯০ সালের অস্ট্রেলেশিয়া কাপ ও ১৯৯৫ এশিয়া কাপ মিলিয়ে আমিরাতে ৫টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। সেভাবে লড়াইও করতে পারেনি কোনো ম্যাচে। আগের সবকটি ম্যাচ অবশ্য ছিল শারজাহতে। এবার গ্রুপ পর্বের দুই লড়াই দুবাই ও আবু ধাবিতে।