সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ৩০ ওভারে ১০৯/২ (ওয়ার্নার ৭৫*, রেনশ ৫, খাওয়াজা ১, স্মিথ ২৫*; মিরাজ ১/৫১, নাসির ০/২, সাকিব ১/২৮, তাইজুল ০/১৭, মুস্তাফিজ ০/৮)
অস্ট্রেলিয়ার একশ
তৃতীয় দিন শেষ বেলায় দ্রুত এগোচ্ছে অস্ট্রেলিয়া। ২৬ ওভারে রান নিয়ে গেছে তিন অঙ্কে। ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথের চমৎকার ব্যাটিংয়ে ব্যবধান ক্রমেই কমিয়ে আনছে অতিথিরা।
ওয়ার্নার-স্মিথ জুটিতে অর্ধশতক
দ্রুত ২ উইকেট হারানো অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে নিচ্ছেন ডেভিড ওয়ার্নার ও স্টিভেন স্মিথ। অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে অর্ধশত রানের জুটি গড়েছেন সহ-অধিনায়ক ও অধিনায়ক।
২২ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ৮০/২। জয়ের জন্য আরও ১৮৫ রান।
ওয়ার্নারের অর্ধশতক
২০ ওভার শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৬৯/২। জয়ের জন্য আরও ১৯৬ রান চাই অতিথিদের।
জীবন পেলেন স্মিথও
ডেভিড ওয়ার্নারের পর জীবন পেয়েছেন স্টিভেন স্মিথ। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে তার ফ্লিক সরাসরি যায় শর্ট লেগের ফিল্ডার ইমরুল কায়েসের কাছে। কঠিন সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। সে সময় ৩ রানে ব্যাট করছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক।
খাওয়াজাকে ফেরালেন সাকিব
উইকেট পেতে পারতেন প্রথম ওভারেই, সৌম্য সরকারের ব্যর্থতা পাওয়া হয়নি। পরের ওভারেই মিলেছে সাফল্য। সাকিব আল হাসানকে সুইপ চেষ্টায় তাইজুল ইসলামের চমৎকার ক্যাচে বিদায় নিয়েছেন উসমান খাওয়াজা।
১ রান করে খাওয়াজা ফিরে যাওয়ার সময় অস্ট্রেলিয়ার ২৮/২। ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ।
প্রথম আঘাত মিরাজের
৫ রান করে রেনশ ফিরে যাওয়ার সময় অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ২৭/১। ডেভিড ওয়ার্নারের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন উসমান খাওয়াজা।
ওয়ার্নারকে জীবন দিলেন সৌম্য
বোলিংয়ে এসেই ডেভিড ওয়ার্নারের উইকেট পেতে পারতেন সাকিব আল হাসান। তাকে কাট করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়েছিলেন বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান। বলের লাইন থেকে নিয়ে সরিয়ে নেন সৌম্য সরকার। আউট হওয়ার বদলে উল্টো চার পেয়ে যান ওয়ার্নার।
সে সময়ে ১৪ রানে ব্যাট করছিলেন ওয়ার্নার।
দুই পাশেই অফ স্পিনে শুরু বাংলাদেশের
দুই অফ স্পিনার মেহেদী মিরাজ ও নাসির হোসেনকে দিয়ে আক্রমণ শুরু করেছে বাংলাদেশ। নতুন বলে শুরু করাটা মিরাজের জন্য নিয়মিত। ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো পেলেন নাসির।
অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ২৬৫ রান
প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানের লিড নেওয়া বাংলাদেশ জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়াকে দিয়েছে ২৬৫ রানের লক্ষ্য। তামিম ইকবালের ৭৮ আর মুশফিকুর রহিমের ৪১ রানের ওপর ভর করে স্বাগতিকরা দ্বিতীয় ইনিংসে করেছে ২২১ রান।
৩৫ রানে শেষ ৫ উইকেট তুলে নিয়ে আশা বাঁচিয়ে রেখেছে অস্ট্রেলিয়া। অতিথিদের ঘুরে দাঁড়ানোয় সবচেয়ে বড় অবদান ন্যাথান লায়নের। ৮২ রানে এই অফ স্পিনার নিয়েছেন ৬ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ৭৯.৩ ওভারে ২২১ (তামিম ৭৮, সৌম্য ১৫, তাইজুল ৪, ইমরুল ২, মুশফিক ৪১, সাকিব ৫, সাব্বির ২২, নাসির ০, মিরাজ ২৬, শফিউল ৯, মুস্তাফিজ ০; হেইজেলউড ০/৩, কামিন্স ১/৩৮, লায়ন ৬/৮২, ম্যাক্সওয়েল ০/২৪, অ্যাগার ২/৫৫, খাওয়াজা ০/১)
২২১ রানে থামল বাংলাদেশ
চারটি চারে ২৬ রান করেছেন মিরাজ লায়নের ষষ্ঠ শিকার।
লায়নের পঞ্চম শিকার শফিউল
নাথান লায়নের বলে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন শফিউল ইসলাম। ব্যাটের কানা ছুঁয়ে আসা ক্যাচ ঝাঁপিয়ে মুঠোয় নিয়েছেন পিটার হ্যান্ডসকম।
এক ছক্কায় ৯ রান করে শফিউল ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ২১৪/৯। মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান।
শফিউল অফ স্পিনার লায়নের পঞ্চম শিকার।
দ্বিতীয় সেশনে ৫ উইকেটে ৭২
দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে তামিম ইকবালের পর সাকিব আল হাসানের দ্রুত বিদায়ের ধাক্কা বাংলাদেশ সামাল দিয়েছিল মুশফিকুর রহিম ও সাব্বির রহমানের ৪৩ রানের জুটিতে। অধিনায়কের রান আউটের পর নাসির হোসেন ও সাব্বিরের দ্রুত বিদায়ে আবার চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয় সেশন শেষে বাংলাদেশর স্কোর ২০৫/৮। এই সেশনে ৭২ রান তুলতে ৫ উইকেট হারিয়েছে তারা। তিনটি চারে ১৭ রানে অপরাজিত মেহেদী হাসান মিরাজ। তার সঙ্গী শফিউলের রান ২।
প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানের লিড পাওয়া বাংলাদেশ এগিয়ে ২৪৮ রানে।
বাংলাদেশের দুইশ
দ্রুত ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে দুইশ রানে নিয়ে গেছেন অ্যাশটন অ্যাগারের বলে তিনটি চার হাঁকানো মেহেদী হাসান মিরাজ।
৭২তম ওভারের শেষ বলে দুইশ রানে গেছে বাংলাদেশের সংগ্রহ।
সাব্বিরের বিদায়ে চাপে বাংলাদেশ
প্রথম ইনিংসে বল ব্যাটে ছুঁয়ে উইকেটরক্ষকের কাছে ক্যাচ যাওয়ার পরও রিভিউ নিয়েছিলেন সাব্বির। এবার বল ব্যাট স্পর্শ না করলেও রিভিউ নেননি। অথচ দুটি রিভিউই ছিল বাংলাদেশের। রিপ্লেতে দেখা গেছে বল ব্যাট-গ্লাভসের কোথাও স্পর্শ করেনি, ক্যাচ গেছে প্যাডে লেগে।
মুশফিকুর রহিমের দুর্ভাগ্যজনক রান আউট দিয়ে যেন দিক হারিয়েছে বাংলাদেশ। কোনো রান যোগ করার আগেই ফিরেছেন নাসির হোসেন ও সাব্বির। ১৮৬/৫ থেকে বাংলাদেশের স্কোর ১৮৬/৮।
মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন শফিউল ইসলাম।
শূন্য রানে ফিরলেন নাসির
নাসির ফেরার সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৮৬/৭। সাব্বির রহমানের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে ফিরলেন মুশফিক
সাব্বির রহমানের বুলেট গতির স্ট্রেট ড্রাইভ নাথান লায়নের হাত ছুঁয়ে লাগলো স্টাম্পে। সঙ্গে সঙ্গে উদযাপন শুরু করলেন অফ স্পিনার। তৃতীয় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা না করে হাঁটা ধরলেন নন স্ট্রাইকার মুশফিকুর রহিম। একটু এগিয়ে থাকা অধিনায়ক ছিলেন মন্থর, ব্যাট নিয়েছেন অনেক দেরিতে।
১১৪ বলে একটি করে ছক্কা-চারে ৪১ রানে মুশফিকের বিদায়ের সময় বাংলাদেশের স্কোর ১৮৬/৬। সাব্বিরের সঙ্গে ক্রিজে যোগ দিয়েছেন নাসির হোসেন।
দুইশ ছাড়াল লিড
নাথান লায়নকে রিভার্স সুইপ করে চার হাঁকালেন সাব্বির রহমান। নিজে গেলেন দুই অঙ্কে, দলের লিড গেল দুইশ রানে। এর আগে লায়নকে লং অনের ওপর দিয়ে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান।
আকাশ ঘন কালো মেঘে ঢেকে গেছে। জ্বলে উঠেছে স্টেডিয়ামের ফ্লাডলাইট। ৬০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৬১/৫। লিড ২০৪।
লায়নকে উড়ানোর চেষ্টায় ফিরলেন সাকিব
প্রথম সেশনে ৯০ রান
তৃতীয় দিনের প্রথম সেশনে নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম ও ইমরুল কায়েসকে হারিয়ে ৯০ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ উইকেটে অর্ধশত রানের জুটি গড়েছেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম।
লাঞ্চে যাওয়ার সময় বাংলাদেশের স্কোর ৩ উইকেটে ১৩৩ রান। স্বাগতিকরা এগিয়ে ১৭৬ রানে। তামিম ৭৬, মুশফিক ২৫ রানে অপরাজিত। জুটির রান ৬৬।
তৃতীয় দিন দুটি উইকেটই নিয়েছেন নাথান লায়ন। এই অফ স্পিনার ভুগিয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। অন্যদের কাছ থেকে খুব একটা সহায়তা পাননি তিনি। প্রথম সেশনে ১.১ ওভার বল করে সাইড স্ট্রেইনের জন্য মাঠ ছেড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার জশ হেইজেলউড।
বাংলাদেশের একশ
সকালে দ্রুত ২ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। দলের সংগ্রহ নিয়ে গেছেন তিন অঙ্কে।
৪২তম ওভারে একশ ছুঁয়েছে বাংলাদেশের সংগ্রহ, লেগেছে ২৫০ বল।
দ্বিতীয় ইনিংসেও তামিমের অর্ধশতক
নিজের ৫০তম টেস্টে দ্বিতীয় ইনিংসেও অর্ধশতক করেছেন তামিম ইকবাল। বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান প্রথম ইনিংসে করেছিলেন ৭১ রান। এনিয়ে ছয় বার টেস্টের দুই ইনিংসেই পঞ্চাশ কিংবা তার বেশি রান করলেন তিনি।
ঢাকা টেস্টে তামিমের দ্বিতীয় অর্ধশতক এসেছে ১০৯ বলে। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে এসেছে ৬টি চার।
বাংলাদেশের লিড একশ ছাড়াল
দিনের প্রথম বলে চার হাঁকিয়ে শুরু করেন তামিম ইকবাল। প্যাট কামিন্সের সেই ওভারে থার্ড ম্যান দিয়ে পান আরেকটি চার। অস্ট্রেলিয়ার ডানহাতি পেসারের পরের ওভারে মিডউইকেট দিয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে তামিম দলকে নিয়ে যান তিন অঙ্কের লিডে।
তাইজুল ইসলাম নাথান লায়নকে চার হাঁকিয়ে খুলেছেন রানের খাতা।
২৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৬১/১। স্বাগতিকদের লিড ১০৪।
বড় লক্ষ্য দিতে চায় বাংলাদেশ
১ উইকেটে ৪৩ রান নিয়ে তৃতীয় দিন শুরু করা বাংলাদেশ এগিয়ে আছে ৮৮ রানে। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার ঢাকা টেস্টের তৃতীয় দিন যতক্ষণ সম্ভব ব্যাট করতে চায় বাংলাদেশ। যতটা সম্ভব বড় করতে চায় দ্বিতীয় ইনিংস।
সোমবারের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা মেহেদী হাসান মিরাজ মনে করেন, মিরপুরের উইকেটে যে কোনো পুঁজি নিয়ে লড়তে পারবেন তারা। আর তিনশ ছোঁয়া সংগ্রহ পেলে ভালো অবস্থানে থাকবে বাংলাদেশ।
‘যে কোনো লক্ষ্য তাড়ার সামর্থ্য অস্ট্রেলিয়ার আছে’
উইকেটের যে অবস্থা তাতে ২৫০ রানের বেশি যে কোনো লক্ষ্য স্টিভেন স্মিথদের জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। তবে অ্যাশটন অ্যাগারের বিশ্বাস, চতুর্থ ইনিংসে যে কোনো লক্ষ্য তাড়ার সামর্থ্য অস্ট্রেলিয়ার আছে।
দ্বিতীয় দিন শেষে স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬০
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ২১৭
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২২ ওভারে ৪৫/১ (তামিম ৩০*, সৌম্য ১৫, তাইজুল ০*; হেইজেলউড ০/৩, কামিন্স ০/৫, লায়ন ০/১১, ম্যাক্সওয়েল ০/১৭, অ্যাগার ১/৯)