টেস্টের উইকেট ঘরোয়া ক্রিকেটেও চান তামিম

ইদানিং দেশের মাটিতে যে ধরনের ক্রিকেটে টেস্ট খেলা হয় তার সঙ্গে কতটা পরিচিত বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা? তামিম ইকবাল জানিয়েছেন, একেবারেই না! প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এমন উইকেট একেবারেই পাওয়া যায় না, শুধু খেলতে হয় টেস্ট হলেই।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 August 2017, 02:00 PM
Updated : 29 August 2017, 07:29 PM

দেশের বাইরে টেস্টে বাংলাদেশের রেকর্ড বিবর্ণ। ৪৭ ম্যাচে জয় চারটিতে, ড্র করতে পেরেছে তিনটি টেস্ট। হেরেছে ৪০টি, যার ২২টি ইনিংস ব্যবধানে।

বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণির ম্যাচ পেস সহায়ক উইকেটে আয়োজনের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে  দেশের বাইরে বিব্রতকর সব হার। লক্ষ্য ছিল ব্যাটসম্যানদের পেস আর বাউন্স সামলাতে আরও দক্ষ করে তোলা। পেস সহায়ক উইকেটে খেলা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, স্পিন সহায়ক উইকেট এখন তামিমদের অপরিচিত ঠেকছে।

দেশের বাইরে ভালো খেলতে বাউন্সি উইকেটে খেলার অভিজ্ঞতা লাগবে। কিন্তু শুধু তার জন্য দেশের সব উইকেটে ঘাস রাখার কোনো দরকার দেখেন না তামিম। সহ-অধিনায়ক এক ধাঁচের উইকেট না বানিয়ে বৈচিত্র্য রাখার তাগিদ দিয়েছেন।   

“ব্যাটসম্যানদের হোম অ্যাডভান্টেজ পাওয়া উচিত। কিন্তু এই ধরনের উইকেটে আমরা কতটা খেলি? ডমেস্টিকে? আমরা খেলি না। আমরা এ ধরনের উইকেটে খেলি আন্তর্জাতিক ম্যাচ এলে।”

 

“ডোমেস্টিকে আমরা ঘাসের উইকেট নিয়ে ব্যস্ত! অথচ (দেশের মাটিতে) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সেই উইকেটে খেলি না। এই চিন্তাগুলো বদলাতে হবে। ঘাসের উইকেটে আমরা দেশের বাইরে খেলি। বছরে একটা-দুইটা ট্যুর করি। আমার মনে হয়, আমরা যদি এ ধরনের (স্পিন সহায়ক) উইকেটে খেলতে চাই, তাহলে ডমেস্টিকেও এ ধরনের উইকেট করা উচিত।”

গত অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের সময় ব্যাটসম্যানরা বলেছিলেন, মন্থর উইকেটে নিজেদের মানিয়ে সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাদের। পরিস্থিতি এবারও খুব একটা পাল্টায়নি। তামিম মনে করেন, সবার অভ্যস্থতার জন্য দুয়েকটা মাঠে স্পিন সহায়ক উইকেট থাকা উচিত।

“এটা হলে নতুনরা অভ্যস্ত হয়ে আসবে। স্পিনিং ট্র্যাক হলেই একজন স্পিনার এসে বল করে উইকেট পেয়ে যাবে না, এটারও একটা আর্ট আছে। যারা আছে, তাদেরও শিখতে সহজ হবে।”