২৬৫ রানের লক্ষ্য দিয়ে শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ার দুই উইকেট তুলে নিয়েছিল বাংলাদেশ। এরপর সুযোগ হাতছাড়া আর ওয়ার্নার-স্মিথের দৃঢ়তায় অস্ট্রেলিয়া হারায়নি আর কোনো উইকেট। দিন শেষ করেছে ১০৯ রান নিয়ে।
শেষ দিনে অস্ট্রেলিয়ার চাই রান ১৫৬ রান, বাংলাদেশের ৮ উইকেট।
৭৫ রানে অপরাজিত ওয়ার্নার, উপমহাদেশে ১২ টেস্টে যেটি তার সর্বোচ্চ স্কোর। গত ভারত সফরে চার টেস্টে তিন সেঞ্চুরি করা স্মিথ অপরাজিত ২৫ রানে।
অথচ ম্যাচ জয়ের কাজ অনেকটা এগিয়ে রাখত পারত বাংলাদেশ, যদি বোলাররা পাশে পেত ফিল্ডারদের। সাকিব আল হাসানের বলে স্লিপে ক্যাচ ছাড়লেন সৌম্য, ১৪ রানে বেঁচে গেলেন ওয়ার্নার।
সেটির শেষ থাকতে থাকতেই স্মিথের জন্য বাংলাদেশের উপহার। আবার মিরাজ, সেই রাউন্ড দা উইকেট। এবার শর্ট লেগে ক্যাচ নিতে পারলেন না ইমরুল। কঠিন ছিল, তবে ম্যাচ জিততে হলো তো এগুলো ধরা চাই! স্মিথের রান তখন ৩।
তাদের মত ব্যাটসম্যান জীবন পেলে তা কাজে লাগানোরই কথা। ওয়ার্নার খেলেছেন তার মতোই। শুরু করেছিলেন ইনিংসের প্রথম ওভারেই মিরাজকে দুটি চার মেরে। পরেও রান বাড়ানোর কাজটি করে গেছেন দারুণভাবে।
বঞ্চিত দুই বোলারই শুরুতে হাসিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। ম্যাট রেনশকে ফিরিয়ে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দিয়েছেন মিরাজ। উসমান খাওয়াজার উপমহাদেশ দু:স্বপ্ন দীর্ঘায়িত করেছেন সাকিব।
অনুপ্রেরণার একটি স্মৃতি অবশ্য এখনও বেশ টাটকা। গত অক্টোবরে এই মাঠেই ২৭৩ রান তাড়ায় ইংল্যান্ডের রান ছিল বিনা উইকেটে ১০০। সেখান থেকে এক সেশনেই ১০ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডকে গুটিয়ে দিয়েছিল ১৬৪ রানে। সেবার পারলে এবার কেন নয়!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬০
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ২১৭
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২২১
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ২৬৫) ৩০ ওভারে ১০৯/২ (ওয়ার্নার ৭৫*, রেনশ ৫, খাওয়াজা ১, স্মিথ ২৫*; মিরাজ ১/৫১, নাসির ০/২, সাকিব ১/২৮, তাইজুল ০/১৭, মুস্তাফিজ ০/৮)।