চট্টগ্রাম পর্ব থেকে ঢাকায় ফেরার সময়ই বয়ে এনেছেন হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট। ম্যাচের পর ম্যাচ সেই চোট নিয়েই নামছেন মাঠে। করছেন বোলিং। চোটের ছোবলে কমিয়ে আনলেন রান আপ; কমল গতিও। কিন্তু বেড়ে গেল ধার! চোটাক্রান্ত মাশরাফি বিন মুর্তজাই উপহার দিলেন বিপিএলে নিজের সেরা বোলিং।
Published : 02 Dec 2016, 03:05 PM
সেরা বোলিংয়ের দিনে নিজেকে ছাড়িয়ে গেলেন আরও একটি জায়গায়। টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই এবার ধুঁকছে দল। কিন্তু চোট নিয়েও উজ্জ্বল মাশরাফি। প্রাথমিক পর্বে এখনও একটি ম্যাচ বাকি, এর মধ্যেই এবারের বিপিএলে বল হাতে চার আসরের মধ্যে মাশরাফির সফলতম!
শুক্রবার খুলনা টাইনটানসের বিপক্ষে ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি। বিপিএল তো বটেই, সব ধরনের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতেই মাশরাফির সেরা বোলিং এটি। আগের সেরা ছিল সেই ২০১০ সালে জাতীয় লিগের টি-টোয়েন্টিতে। সিলেট বিভাগের হয়ে ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ২৪ রানে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। বিকেএসপিতে সেদিনও মাশরাফির প্রতিপক্ষ ছিলেন মাহমুদউল্লাহ, উইকেট তিনটি ছিল ইমরান নাজির, জিবন মেন্ডিস ও মাহমুদউল্লাহরই।
বিপিএলে মাশরাফির আগের সেরা বোলিং ছিল এবারের আসরে এবং এই খুলনা টাইটানসের বিপক্ষেই। গত ১৩ নভেম্বর ২৬ রানে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।
সব মিলিয়ে এবারের আসরে ১১টি উইকেট হলো মাশরাফির। আগের তিন আসরে তিনবারই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন শিরোপা জয়ে। তবে কোনোবারই বল হাতে এত উইকেট পাননি। ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে প্রথম আসরে নিয়েছিলেন ১০ উইকেট, পরের বার ৮ উইকেট।
গত আসরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে উইকেট নিয়েছিলেন মাত্র পাঁচটি। তবে গতবারও তার সঙ্গী ছিল চোট। কয়েকটি ম্যাচে তো ব্যাটিং-বোলিং কিছুই করেননি, দলের চাওয়ায় খেলেছেন শুধু অধিনায়ক হিসেবেই। উইকেট কম পেলেও তাই অধিনায়ক হিসেবে নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন নতুন উচ্চতায়।
এবারও চোট পিছু ছাড়ছে না। তবে দলের দুরাবস্থায় বাইরে থাকার কথা ভাবতেও পারছেন না। পারফরমার এবার কম বলে গতবারের মত শুধু অধিনায়ক হিসেবে খেলার উপায়ও নেই। বোলিং করতেই হচ্ছে। হ্যামস্ট্রিংয়ের টানে কমাতে বাধ্য হলেন রান আপ। কিন্তু এতেই ধরা দিল সেরা বোলিং। চোট নিয়েও সেরা টুর্নামেন্ট!