সাসেক্স ক্লাবের হয়ে ন্যাটওয়েস্ট টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট ও রয়েল লন্ডন ওয়ান ডে কাপ খেলতে এসে চোটে পড়া মুস্তাফিজুর রহমান এখন অস্ত্রোপচারের অপেক্ষায় লন্ডনে অবস্থান করলেও বেশ স্বচ্ছন্দেই আছেন।
Published : 01 Aug 2016, 11:58 PM
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সরাসরি তত্ত্বাবধানে ইংল্যান্ডেই ক্রিকেট বিশ্বে সারা জাগানো এই পেসারের অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা রয়েছে। ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সাথে পরামর্শ করে একজন অভিজ্ঞ শল্যবিদের মাধ্যমে ইংল্যান্ডেই তার কাঁধের অস্ত্রোপচার হতে পারে।
বাংলাদেশের মোহামেডান ক্লাবের ক্রিকেট সংগঠক এবং সেন্ট পিটার্স কলেজ অব লন্ডনের অধ্যক্ষ এজিএম সাব্বিরের ইলফোর্ডের বাসবভবনে কাটার মাস্টারের দিন ভালোই কাটছে।
সাব্বির বললেন, “সাসেক্সের হয়ে মাত্র দুটি ম্যাচ খেলে চোটে পড়ে খেলতে পারছেন না বলে এবং ইংল্যান্ডের আসন্ন বাংলাদেশ সফরের সময় দেশের হয়ে খেলতে না পারার আশংকায় মুস্তাফিজের মন মাঝে মাঝে বিষন্ন হয়ে পড়ে। কিন্তু আমাদের সাথে আড্ডা দিয়ে এবং বিশেষ করে আমার দুই ছেলের সাথে সময় কাটিয়ে হাসিখুশি সময় কাটাচ্ছে সে। বাড়ির পেছনের আঙিনায় ১১ বছরের রাহিল এবং চার বছরের রাকিনের সাথে ক্রিকেটও খেলছে। অফুরন্ত অবসর সময় পেয়ে ওদের সাথে ইউটিউব দেখছে। দুই বছরের কন্যা জুনাইরাও নাস্তা খাওয়ার জন্য আধো-আধো বাংলায় আংঙ্কেলকে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে ডাইনিং টেবিলে।”
সাব্বির জানালেন, বিলেতের মাটিতে এত সমর্থক দেখে মুস্তাফিজও আনন্দিত হয়েছেন। যেখানে ম্যাচ খেলতে গিয়েছে, সেখানেই প্রবাসী বাঙালিরা ছুটে গিয়েছেন। এগুলো দেখে মুস্তাফিজের খুব ভালো লেগেছে। মুস্তাফিজ বেশিরভাগ সময় বাড়িতেই কাটাচ্ছেন। তবে সাব্বির যখনই সুযোগ পেয়েছেন তখনই তাকে বাইরে বেড়াতে নিয়ে গেছেন। গাড়িতে করে তাকে ব্রিটেনের রাজপ্রাসাদ বাকিংহ্যাম প্যালেস, লন্ডন আইসহ বিভিন্ন আইকনিক স্থাপনা দেখিয়েছেন।
সাব্বির জানান, মুস্তাফিজকে নিয়ে তিনি লন্ডনের ব্যস্ততম শপিং সেন্টার অক্সফোর্ড স্ট্রিট এবং এসেক্সের ব্রেইনট্রি শপিং সেন্টারে গিয়েছিলেন। ব্রেইনট্রি শপিং সেন্টার থেকে মুস্তাফিজ দুই জোড়া জুতো, এক জোড়া স্যান্ডেল এবং একটি ট্রাউজার কিনেছে। দুই জায়গাতেই বাঙালিরা মুস্তাফিজকে দেখে তার সাথে ছবি তোলার জন্য ঘিরে ধরেন।
মুস্তাফিজ সাসেক্স ক্লাবে খেলবে জেনে বাঙালি ক্রিকেটাররার খুবই চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। চোটের কারণে মুস্তাফিজ সাসেক্সের হোম গ্রাউন্ড হোভে কোনো ম্যাচ খেলেননি বলে ওই এলাকার বাঙালি সমর্থকরা, বিশেষ করে বাঙালি ক্রিকেটাররা দারুণ হতাশ। তারা অবশ্য সেই দঃখ কিছুটা ভুলেছেন সাবাস ক্রিকেটার্স নামে একটি সংগঠন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মুস্তাফিজকে কাছে পেয়ে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন, ইউকের সভাপতি নঈমউদ্দিন রিয়াজের সাথে কথা বলেই মুস্তাফিজের হোস্ট সাব্বিরের সন্ধান পেয়েছিলাম। মুস্তাফিজের সাথে টেলিফোনে কথা হয়েছে তার। তিনিও জানালেন মুস্তাফিজ ভালোভাবেই দিনগুলো কাটাচ্ছেন। আমিও উপদেষ্টা হিসেবে এই অ্যাসোসিয়েশনের সাথে জড়িত।
লন্ডন, ১ আগস্ট, ২০১৬
(লেখক আবু মুসা হাসান সাবেক কূটনীতিক ও সাংবাদিক)