সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ‘লারা-টেন্ডুলকার গেটস’

ঐতিহ্যবাহী এই মাঠে দুই কিংবদন্তিকে অমর করে রাখা হলো সম্মাননা স্মারকে।  

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2023, 06:11 AM
Updated : 24 April 2023, 06:11 AM

দুজনের কেউ নিউ সাউথ ওয়েলস কিংবা অস্ট্রেলিয়ার নন। তবে দুজনেরই হৃদয়ে আলাদা জায়গা নিয়ে আছে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এসসিজি)। এই মাঠে স্মরণীয় কিছু পারফরম্যান্স আছে দুজনের। এবার এই মাঠও সেই ভালোবাসার কিছুটা ফিরিয়ে দিল ব্রায়ান লারা ও শচিন টেন্ডুলকারকে। দুই কিংবদন্তিকে অমর করে রাখা হলো অনেক ইতিহাসের স্বাক্ষী এই মাঠে।

লারা ও টেন্ডুলকারের নামে নামকরণ করা হলো এসসিজির কয়েকটি ফটকের। সফরকারী দলের ড্রেসিং রুমের পাশের মেম্বার্স প্যাভিলিয়ন থেকে নোবল-ব্র্যাডম্যান-ম্যাসেঞ্জার স্ট্যান্ডের মাঝামাঝি ফটকগুলোর নাম এখন থেকে ‘ব্রায়ান লারা-শচিন টেন্ডুলকার গেটস।’

ফটকগুলোর নতুন নামকরণের জন্য বেছে নেওয়া হয় সোমবার টেন্ডুলকারের ৫০তম জন্মদিনকে। এই মাঠে লারার সেই চিরস্মরণীয় ২৭৭ রানের ইনিংসটির ৩০ বছর পূর্তিও হলো এ বছর।

১১১ টেস্ট ও ১৬০ ওয়ানডের স্বাক্ষী এই মাঠের অন্য ফটকগুলির নামকরণ করা হয়েছে স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, অ্যালান ডেভিডসন ও আর্থার মরিসের নামে। তারা সবাই নিউ সাউথ ওয়েলস ও অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি। লারা ও টেন্ডুলকারই এখানে ব্যতিক্রম। তাদের নামে নামকরণ হওয়া ফটকগুলি দিয়েই মাঠে প্রবেশ করবেন সফরকারী দলের ক্রিকেটাররা।

অস্ট্রেলিয়ান না হলেও অস্ট্রেলিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় লারা ও টেন্ডুলকার। রেকর্ড-অর্জন আর ব্যাটসম্যানশিপ দিয়ে তারা আসলে দেশ-দলের সীমানাও ছাড়িয়ে গেছেন অনেক আগে। তবে সিডনিতে তাদেরকে সম্মানিত করার মূল কারণ এই মাঠে তাদের পারফরম্যান্স।

ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি এই মাঠেই করেছিলেন লারা। ১৯৯৩ সালের জানুয়ারিতে সেই ইনিংসকে টেনে নিয়েছিলেন তিনি ২৭৭ রান পর্যন্ত। ট্রিপল সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে তিনি রান আউট হয়ে যান। তবে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড তার হৃদয়ে জায়গা পেয়ে যায়। পরে লারা নিজের প্রথম সন্তানের নাম রাখেন ‘সিডনি।’

এই মাঠে লারার টেস্ট গড় ৫৪.৮৫।

টেন্ডুলকারের জন্য এই মাঠ তো আরও পয়মন্ত। ২০০৪ সালে এখানেই তিনি সোয়া ১০ ঘণ্টা ব্যাটিংয়ে খেলেছিলেন ২৪১ রানের স্মরণীয় ইনিংস। এই মাঠে ৫ টেস্ট খেলে ৩ সেঞ্চুরি ও ২ ফিফটিতে তার রান ৭৮৫, গড় ১৫৭!

ফটকের নামফলকে দুজনের পরিসংখ্যানও খোদাই করা আছে।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার বিবৃতিতে টেন্ডুলকার তুলে ধরেন এই মাঠ তার কাছে কতটা প্রিয়।

“ভারতের বাইরে আমার প্রিয় মাঠ বরাবরই সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড। ১৯৯১-৯২ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় আমার প্রথম সফর থেকে শুরু করে শেষ সফর পর্যন্ত এই মাঠে দারুণ সব স্মৃতি আমার। এই মাঠে সফরকারী দলের ক্রিকেটারদের প্রবেশের ফটকগুলি আমার নামে ও প্রিয় বন্ধু ব্রায়ানের নামে নামকরণ হওয়াটা আমাদের জন্য দারুণ সম্মানের।”

সিডনিতে এমন সম্মাননা পেয়ে লারাও বেশ আপ্লুত।

“সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে এমন স্বীকৃতি পেয়ে আমি দারুণ সম্মানিত বোধ করছি, নিশ্চিতভাবে শচিনও। আমার নিজের ও আমার পরিবারের বিশেষ সব স্মৃতির স্বাক্ষী এই মাঠ এবং অস্ট্রেলিয়া সফরে গেলেই এখানে যেতে উপভোগ করি।”