ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
Published : 29 Apr 2025, 07:32 PM
লিগের শেষ রাউন্ডে নিজেকে মেলে ধরলেন মেহেদি মারুফ। গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে চমৎকার এক অপরাজিত সেঞ্চুরিতে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জের জয়ে রাখলেন বড় অবদান। আরেক ম্যাচে ব্যাট ও বল হাতে আলো ছড়ালেন আমিনুল ইসলাম।
এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের শেষ দিন মঙ্গলবার ঠিক ১০০ রান করেন মারুফ। ১১৩ বলের ইনিংসটি ২ ছক্কা ও ৭ চারে সাজান তিনি।
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের বিপক্ষে স্রেফ ৪.১ ওভারে ২২ রান খরচায় ৪ উইকেট নেন গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের আমিনুল। পরে রান তাড়ায় ২ চারে ২৩ রান করে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতে নেন তিনি।
মারুফের সেঞ্চুরিতে শেষটা জয়ে রাঙাল রূপগঞ্জ
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে গুলশানকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে রূপগঞ্জ। প্রতিপক্ষের ২৩২ রান তারা ছাড়িয়ে গেছে ৫৬ বল বাকি থাকতে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা গুলশানকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার হাবিবুর শেখ ও খালিদ হাসান। তাদের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৪৩ রান। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি।
গুলশানের সাত ব্যাটসম্যান যেতে পারেন দুই অঙ্কে, কিন্তু স্রেফ একজন করতে পারেন ফিফটি। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রেখে অভিজ্ঞ নাঈম ইসলাম করেন ১ ছক্কা ও ৮ চারে ৮৭ রান।
অল্পের জন্য ফিফটি করতে পারেননি মইনুল সিলাম। ৪টি ছক্কা ও ৩ চারে ৩১ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন ৯ নম্বরে নামা ব্যাটসম্যান।
রূপগঞ্জের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন স্বাধীন ইসলাম। দুটি করে প্রাপ্তি আব্দুল হালিম, সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার।
রান তাড়ায় ৩৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় রূপগঞ্জ। ২ চারে ১২ রান করে ফেরেন তানজিদ হাসান। আর রানের খাতাই খুলতে পারেননি সৌম্য।
শুরু সেই ধাক্কা দলটি কাটিয়ে ওঠে সাইফ ও মারুফের ব্যাটে। তাদের ৮৬ রানের জুটি ভাঙে ২ ছক্কা ও ৭ চারে ৬৩ রান করা সাইফের বিদায়ে।
এরপর আফিফ হোসেনকে নিয়ে ৬৬ রানের জুটি গড়েন মারুফ। আফিফও (১ ছক্কা ও ৪টি চারে ৩৭) কাজ শেষ করে ফিরতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত দলের জয় সঙ্গে নিয়ে মাঠ ছাড়েন মারুফ।
এবারের লিগের শেষ দিকে এসে খেলার সুযোগ পান মারুফ। আসরে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে নেমে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন তিনি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তার অষ্টম শতক।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
গুলশান ক্রিকেট ক্লাব: ৪৯.৫ ওভারে ২৩২ (হাবিবুর ২৮, খালিদ ২৪, সাকিব ২, নাঈম ৮৭, কাউসার ১০, শাকিল ১, শাহাদাত ১৩, নিহাদ ১৩, মইনুল ৪৪, ইলিয়াস ২*, রায়হান ০; আব্দুল হালিম ৯.৫-০-৫৪-২, মেহেদি ৮-১-৪২-১, টিপু ১০-০-৫৩-০, সাইফ ১০-০-২২-২, স্বাধীন ১০-০-৫২-৩, সৌম্য ২-০-৭-০)
লেজেন্ডস অব রুপগঞ্জ: ৪০.৪ ওভারে ২৩৩/৪ (তানজিদ ১২, সাউফ ৬৩, সৌম্য ০, মারুফ ১০০*, আফিফ ৩৭, আকবর ১১*; রায়হান ৫-০-৩৯-১, শাহাদাত ১০-০-৫৫-২, নিহাদ ১০-০-৪০-১, ইলিয়াস ৯-০-৩৮-০, মইনুল ৩-০-২৬-০, খালিদ ২-০-২৬-০, সাকিব ০.৪-০-২-০)
ফল: লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৬ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: মেহেদি মারুফ
গাজী গ্রুপের সহজ জয়
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে অগ্রণী ব্যাংককে ৫ উইকেটে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ। প্রতিপক্ষকে ২০১ রানে থামিয়ে ৩৬ বল আগে জয়ের বন্দরে পৌঁছে গেছে তারা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে এদিন শুরুটা ভালো করে অগ্রণী ব্যাংক। ইমরানউজ্জামান ও অমিত হাসানের উদ্বোধনী জুটিতে ৮২ রান করে তারা। ৫ চারে ৪২ রান করে ফেরেন আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইমরানউজ্জামান। ৪৯ রান করতে ৬টি চার মারেন অমিত।
দ্রুত আরও দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া দলকে কিছুক্ষণ টানেন তাইবুর রহমান ও প্রিতম কুমার। তাদের ৫৫ রানের জুটিতে দেড়শ ছাড়ায় দলটির রান।
২ চারে ৩৪ রান করেন তাইবুর। প্রিতমের ব্যাট থেকে আসে কোনো বাউন্ডারি ছাড়া ২৯ রান। শেষ দিকে আমিনুলের ছোবলে আর বেশিদূর যেতে পারেনি অগ্রণী ব্যাংক।
রান তাড়ায় গাজী গ্রুপের কেউ খেলতে পারেননি বড় ইনিংস। তবে ব্যাটিংয়ে নামা সবাই রেখেছেন কার্যকর ভূমিকা। তাতে জিততে বেগ পেতে হয়নি দলটির।
২ ছক্কা ও ৪টি চারে গাজী গ্রুপের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন শোভন মোড়ল। এছাড়া ত্রিশ পার করেন শেখ পারভেজ, তাহজিবুল ইসলাম ও সাব্বির হোসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৪৬.১ ওভারে ২০১ (ইমরানউজ্জামান ৪২, অমিত ৪৯, ইমরুল ০, মার্শাল ৭, তাইবুর ৩৪, প্রিতম ২৯, মানিক ৭, রাইহান ১৫, শহিদুল ২, সান্দিল ০, আরিফ ০*; মুকিদুল ৭-০-২৯-০, আরিদুল ১০-০-৪৩-২, সোহেল ৫-০-২৯-০, শামিম ১০-২-৪৯-০, পারভেজ ১০-১-২৮-২, আমিনুল ৪.১-১-২২-৪)
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স: ৪৪ ওভারে ২০৩/৫ (মুনিম ১৪, শোভন ৪২, পারভেজ ৩৬, আমিনুল ২৩, তাহজিবুল ৩৭, সাব্বির ৩২*, শামিম ১১*; সান্দিপ ৫-১-১৫-০, আরিফ ৮-০-৫২-০, তাইবুর ৬-০-২৯-০, শহিদুল ৪-০-২৩-১, ইমরুল ১০-০-৩৯-০, রাইহান ৮-১-৩২-২, মানিক ২-০-৯-০, অমিত ১-০-১০-০)
ফল: গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ৫ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: আমিনুল ইসলাম