Published : 29 Apr 2025, 11:45 PM
রাজধানীর উত্তরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বহন করা একটি বাসে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এ ঘটনার পর অভিযোগ জানাতে মঙ্গলবার রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এদিন দুপুরে উত্তরা বিএনএস সেন্টারের সামনে স্কুলের ইউনিফর্ম পড়া কিছু কিশোর-তরুণের সঙ্গে সাধারণ পোশাকের কিশোররা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাড়া করা বিআরটিসির দোতলা বাসটিতে হামলা চালায়।
রোববার সেখানে বিআরটিসির ট্রাক চাপায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে এ হামলা হয়।
এ বিষয়ে পুলিশের উত্তরা জোনের এডিসি আহাম্মদ আলী বলছেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসে হামলা হয়েছে। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ স্যার নিজেই থানায় আসেন।
“তিনি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় পুলিশের উত্তরা বিভাগের উপকমিশনারসহ ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।”
এডিসি আহাম্মদ বলেন, ভাঙচুরের বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একটি এজাহার দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক্ষণিকা’ রুটের বাসটি গাজীপুর-টঙ্গী থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আনা নেওয়া করত। মঙ্গলবার ক্যাম্পাসে যাওয়ার পথে হামলার মুখে পড়ে বাসটি।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ছাত্রী বলেন, “মঙ্গলবার দুপুরে ক্ষণিকা বাসটি সেখানে (উত্তরা বিএনএস সেন্টারের সামনে) গেলে শিক্ষার্থীরা প্রথমে বাসটির আয়না ভাঙচুর করে এবং চালকের পাশের দরজা খুলে তাকে মারধর শুরু করে।
“বাসে থাকা শিক্ষার্থীরা আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা করে যে এটা বিআরটিসির লোকাল বাস না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস। এখানেও সবাই শিক্ষার্থী। কিন্তু আন্দোলনকারীরা শোনেনি; তারা লাঠিসোঁটা নিয়ে বাসে হামলা ও ভাঙচুর চালায়; ইট-পাটকেল ছুঁড়তে থাকে। বাসের নিচতলায় থাকা ছাত্রীরা আতঙ্কে চিৎকার করতে থাকে। হামলায় বাসের পাঁচ-ছয়জন যাত্রী আহত হয়।”
এদিকে হামলার ঘটনার কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছড়িয়েছে। সেখানে দেখা যায়, স্কুলের পোশাক পরা একদল কিশোর বাসে ইট-পাটকেল ছুঁড়ছে, বাসের ভেতরে শিক্ষার্থীরা চিৎকার করছে।
এদিকে বাস ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ।
প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ছাত্রদলও। বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রদল বলেছে, “এসব বিশৃঙ্খলতার ছলে কোনো অসাধু গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের মধ্যে অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে কিনা, তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে খতিয়ে দেখতে হবে।”