তাইজুল-ফিলিপসকে হারিয়ে ডিসেম্বরের সেরা কামিন্স

নারী ক্রিকেটারদের মধ্যে মাস সেরা হয়েছেন ভারতের দীপ্তি শার্মা।

প্যাট কামিন্সের অর্জনের মুকুটে যুক্ত হয়েছে আরেকটি পালক। ‘আইসিসি প্লেয়ার অব দা মান্থ’ এর স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। পুরুষ ক্রিকেটারদের ডিসেম্বর মাসের সেরার লড়াইয়ে বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম ও নিউ জিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপকে পেছনে ফেলেছেন অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক।

গত মাসের সেরা নারী ও পুরুষ ক্রিকেটারের নাম মঙ্গলবার প্রকাশ করে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা। ডিসেম্বরের সেরা নারী ক্রিকেটার হয়েছেন ভারতের দীপ্তি শার্মা। লড়াইয়ে তিনি হারিয়েছেন সতীর্থ জেমিমা রদ্রিগেস ও জিম্বাবুয়ের প্রেশাস মারাঙ্গেকে।

পুরো বছরের মতো শেষ মাসটাও দারুণ সব পারফরম্যান্সে রাঙান কামিন্স। পাকিস্তানকে ৩-০তে অস্ট্রেলিয়ার হোয়াইটওয়াশ করা টেস্ট সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হয় ডিসেম্বরে। ওই দুই ম্যাচে কামিন্স ধরেন ১৩ শিকার।

পার্থে প্রথম টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে কামিন্সের প্রাপ্তি ছিল ৩ উইকেট। মেলবোর্নে পরের ম্যাচে এই পেসার জ্বলে ওঠেন, দুই ইনিংসেই ধরেন ৫টি করে শিকার। প্রথম ইনিংসে ৪৮ রানে, পরেরটিতে ৪৯ রানে।

মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের সুদীর্ঘ ইতিহাসে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে এক টেস্টে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন কামিন্স। চমৎকার সব পারফরম্যান্স তাকে এনে দিল মাস সেরার পুরস্কার।

ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের টেস্ট জয়ের মূল নায়ক ছিলেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার দীপ্তি। ওই ম্যাচে ব্যাট হাতে তিনি খেলেন ৬৭ ও ২০ রানের ইনিংস। বোলিংয়ে ম্যাচে নেন ৯ উইকেট- প্রথম ইনিংসে স্রেফ ৭ রানে ৫টি, দ্বিতীয় ইনিংসে ৩২ রানে ৪টি। দলকে ৩৪৭ রানে জিতিয়ে ম্যাচ সেরা হন তিনিই।

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দলের ৮ উইকেটে জেতা টেস্টেও বড় অবদান রাখেন দীপ্তি। ব্যাটিংয়ে একমাত্র ইনিংসে করেন ৭৮ রান। বোলিংয়ে প্রথম ইনিংসে নেন ২ উইকেট। পরে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তিনি ৫ শিকার ধরেন ৩৮ রান দিয়ে।

এই পারফরম্যান্স তাকে প্রথমবার এনে দিল মাস সেরার স্বীকৃতি।