উইল জ্যাকস ও লিটন দাসের ঝড়ে চলতি আসরের সবচেয়ে খরুচে ওভারটিও করেছেন আল আমিন হোসেন।
Published : 13 Feb 2024, 03:12 PM
ওভারের প্রথম বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ছক্কা মারলেন উইল জ্যাকস। পরের বলে মিড অন দিয়ে পেলেন বাউন্ডারি। এক রান নিয়ে তিনি স্ট্রাইক দিলেন লিটন কুমার দাসকে। শেষ তিন বলে দুই ছক্কা ও এক চারে আল আমিন হোসেনের ওপর দিয়ে ঝড় বইয়ে দিলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স অধিনায়ক।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে কুমিল্লার ইনিংসের পঞ্চম ও নিজের ওই দ্বিতীয় ওভারে ২৭ রান দেন আল আমিন। পরের দুই ওভারেও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পেসার করেন এলোমেলো বোলিং। যার ফায়দা নিয়ে তার ৪ ওভার থেকে কুমিল্লা করে ৬৯ রান। বিপিএল ইতিহাসে যা সবচেয়ে খরুচে বোলিং।
একই মাঠে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে চট্টগ্রামেরই নাসির হোসেন ৪ ওভারে দেন ৬০ রান। প্রায় চার বছর পর বিব্রতকর এই রেকর্ড থেকে মুক্তি পেলেন বর্তমানে আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় থাকা অফ স্পিনার।
সবচেয়ে খরুচে বোলিংয়ের রেকর্ডগড়া দিনে আল আমিনের শুরুটা মন্দ ছিল না। পাওয়ার প্লেতে নিজের প্রথম ওভারে দুই চারে আট রান দেন অভিজ্ঞ পেসার। পরের ওভারেই লিটন-জ্যাকসের সেই ঝড়। চলতি আসরে এক ওভারে ২৭ রান এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
দুই ওভারে ৩৫ রান দেওয়ার পর আবার পঞ্চদশ ওভারে তাকে আক্রমণে আনেন শুভাগত হোম। পঞ্চম বলে শর্ট লেংথ ডেলিভারিতে ছক্কা মারেন মইন আলি। ওই ওভার থেকে আসে ১২ রান।
পরে অষ্টাদশ ওভারে আল আমিনের প্রথম দুই বলে ছক্কা মারেন জ্যাকস। চতুর্থ বলে মইনের সহজ ক্যাচ ছাড়েন নিহাদউজ্জামান। শেষ বলে আবার জ্যাকসের ছক্কা। ওভার থেকে আসে ২২ রান। আল আমিনের নাম উঠে যায় বিব্রতকর রেকর্ডে।
বিপিএলে এর আগেও সর্বোচ্চ রান খরচের রেকর্ড করেছিলেন আল আমিন। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে ৪ ওভারে ৫৭ রান দেন তিনি। ওই আসরেই ৫৯ রান খরচ করে তাকে মুক্তি দেন মোহাম্মদ সাদ্দাম।
এছাড়া আরও একবার পঞ্চাশের বেশি রান খরচের নজির আছে ৩১ বছর বয়সী পেসারের। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জার্সিতে খুলনা টাইটান্সের বিপক্ষে তিনি দেন ৫২ রান।