বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ
চট্টগ্রাম টেস্টে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করলেও আরও বড় মাইলফলক ছুঁতে না পারার আক্ষেপ রয়ে গেছে টনি ডি জর্জির।
Published : 30 Oct 2024, 10:12 PM
মিরপুরে দুই ইনিংসে ভালো শুরুর পরও ইনিংস বড় করতে পারেননি টনি ডি জর্জি। সেই হতাশা চট্টগ্রামে ঝেড়ে ফেললেন তিনি। দারুণ ব্যাটিংয়ে খেলেন দেড়শছোঁয়া ইনিংস। কিন্তু, সুযোগ পেয়েও দুইশ করতে না পারার আক্ষেপ পোড়াচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ককে।
জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে ইনিংসের শুরুতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন ডি জর্জি। কিন্তু গ্লাভসে জমাতে পারেননি অভিষিক্ত মাহিদুল ইসলাম। ৬ রানে জীবন পেয়ে বাঁহাতি ওপেনার খেলেন ১৭৭ রানের ইনিংস।
উইকেট পুরোপুরি ব্যাটিং সহায়ক হলেও তীব্র গরমের চ্যালেঞ্জ সামলাতে হয় ডি জর্জিকে। বেশ কয়েকবার পানিশূন্যতায় ভোগেন তিনি, পেশিতেও টান লাগে কয়েকবার। তবু মনোযোগ হারাননি। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি ছুঁয়ে তিনি প্রথম দিন অপরাজিত থাকেন ১৪১ রানে।
বুধবার আরও ৩৬ রান যোগ করে তাইজুল ইসলামের বলে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন ডি জর্জি। সব মিলিয়ে সাত ঘণ্টার বেশি সময় ব্যাটিং করে ১২ চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা মারেন বাঁহাতি ওপেনার।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে ডাবল সেঞ্চুরি করতে না পারার হতাশা প্রকাশ করেন প্রোটিয়া ওপেনার।
“হ্যাঁ (হতাশা আছে)। দুইশ করার সুযোগ তো অবশ্যই ছিল। প্রতিদিন এমন পরিস্থিতি আসবে না, যেখানে দুইশ করার যথেষ্ট সময় থাকবে। আজকে আমার সামনে সুযোগ ছিল দুইশ বা আরও বেশি রান করার।”
ডি জর্জি ছাড়াও চট্টগ্রামে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেন ট্রিস্টান স্টাবস ও ভিয়ান মুল্ডার। এছাড়া ডেভিড বেডিংহ্যাম ও সেনুরান মুথুসামি খেলেন পঞ্চাশছোঁয়া ইনিংস। দক্ষিণ আফ্রিকা ৬ উইকেটে ৫৭৫ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে।
একই উইকেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দিনের শেষ দিকের ৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ওপর চেপে বসা ক্লান্তির সুযোগ নেওয়ার কথা বলেন ডি জর্জি।
“একাদশে যখন কেজি (কাগিসো রাবাদা) থাকে, তখন যে কোনো কিছুই হতে পারে। তাকে পেয়ে আমরা ভাগ্যবান। (ড্যান) প্যাটারসন নিয়ন্ত্রিত বোলিং করে উইকেট পেয়েছে।”
“আমাদের জন্য বিষয়টা ছিল, বাংলাদেশের ক্লান্তির সুযোগ নেওয়া। আমি যদি ওপেনার হতাম, ওই পরিস্থিতিতে ব্যাটিং করতে খুশি হতাম না। ক্লান্ত শরীর ও মনে যে কোনো কিছু হতে পারে। আমরা সঠিক সময়ে সঠিক অবস্থানে ছিলাম।”