আবারও টস জিতলেন তামিম ইকবাল। বাংলাদেশ অধিনায়ক এবার নিলেন ফিল্ডিং। প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে হেরেছিল স্বাগতিকরা। টস হেরেও চাওয়া পূরণ হয়েছে ইংল্যান্ডের। অধিনায়ক জস বাটলার বলেছেন, আগে ব্যাটিংই নিতে চেয়েছিলেন তারা।
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডে হেরে সিরিজ হারানোর শঙ্কায় বাংলাদেশ। সিরিজ জয়ের আশা বাঁচিয়ে রাখতে শুক্রবার জয়ের কোনো বিকল্প নেই তাদের সামনে।
ঘরের মাঠে ওয়ানডে সংস্করণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই সবশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। ২০১৬ সালের ওই সিরিজের পর টানা ৭টি সিরিজ জিতেছে তারা।
সবমিলিয়ে ২০১৪ সালের জুনের পর থেকে বাংলাদেশের মাটিতে ওই একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজই জিতেছে কোনো সফরকারী দল।
টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে ওয়ানডেতে কেবল ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জিততে পারেনি বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তো খেলার সুযোগই মেলে না।
প্রথম ওয়ানডেতে হেরে যাওয়া একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ দল।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, মেহেদী হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম।
সিরিজ নিশ্চিত করার অভিযানে জোড়া পরিবর্তন নিয়ে খেলতে নামছে ইংল্যান্ড। বাইরে রাখা হয়েছে জফ্রা আর্চার ও ক্রিস ওকসকে। তাদের জায়গায় এসেছেন স্যাম কারান ও সাকিব মাহমুদ।
ইংল্যান্ড একাদশ: জস বাটলার (অধিনায়ক), উইল জ্যাকস, মইন আলি, স্যাম কারান, দাভিদ মালান, আদিল রশিদ, জেসন রয়, ফিল সল্ট, জেমস ভিন্স, সাকিব মাহমুদ ও মার্ক উড।
দুই প্রান্ত থেকেই স্পিনার দিয়ে বোলিং শুরু করল বাংলাদেশ দল। প্রথম ওয়ানডেতে সাকিব আল হাসানের প্রথম ওভারের পর আরেক প্রান্তে করেছিলেন তাসকিন আহমেদ।
তবে দ্বিতীয় ম্যাচে সাকিবের পর দ্বিতীয় ওভারে এলেন আরেক বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম।
প্রথম ওভারে এক চারসহ ৫ রান দেন সাকিব। পরের ওভারে আক্রমণে এসে প্রথম বলেই বাউন্ডারি হজম করেন তাইজুল। তারও খরচ ৫ রান।
এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো দুই প্রান্তেই স্পিন দিয়ে বোলিং শুরু করল বাংলাদেশ। সবশেষ ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বোলিং আক্রমণ শুরু করেন সাকিব ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
দুই বাঁহাতি স্পিনারের হিসেব করলে ওয়ানডে ইতিহাসে স্রেফ তৃতীয় ঘটনা এটি। আগের দুইবারও দুই বাঁহাতি স্পিনার দিয়ে বোলিং শুরু করে বাংলাদেশ।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে ব্রেক থ্রু দিলেন তাসকিন আহমেদ। অফ স্টাম্পের বাইরের বল পয়েন্টের দিকে খেলতে গিয়েছিলেন ফিল সল্ট। বাইরের কানায় লেগে বল চলে যায় দ্বিতীয় স্লিপে। কিছুটা নিচু হয়ে দারুণ ক্যাচ নেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
১ চারে ১৫ বলে ৭ রান করে ফিরলেন সল্ট।
তিন নম্বরে নেমেছেন আগের ম্যাচের জয়ের নায়ক দাভিদ মালান। অন্য প্রান্তে ১৮ রান নিয়ে খেলছেন জেসন রয়।
৭ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২৫ রান।
১০ ওভারের প্রথম পাওয়ার প্লেতে কেবল একটি উইকেট নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের আঁটসাঁট বোলিংয়ের জন্য অবশ্য বেশি রান করতে পারেনি ইংল্যান্ড।
১০ ওভারে ১ উইকেটে সফরকারীদের রান ৪০।
দুই প্রান্তে স্পিন দিয়ে বোলিং শুরু করা বাংলাদেশ পাওয়ার প্লের মধ্যে এনেছে দুই পেসারকেও।
সাকিব ও তাইজুল মিলে করেন প্রথম ৪ ওভার। দুই প্রান্তেই দেখা মেলে টার্নের। অল্পের জন্য ব্যাটের কানা ঘেঁষে গেছে বেশ কয়েকবার।
পঞ্চম ওভারে প্রথমবার বোলিংয়ে আসেন তাসকিন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে সাফল্য এনে দেন তিনি।
মুস্তাফিজুর রহমান করেন দশম ওভার। আগের ম্যাচে তাকে ২৩তম ওভারে প্রথমবার আক্রমণে এনেছিলেন তামিম ইকবাল।
পাওয়ার প্লে শেষে জেসন রয় ২৯ ও দাভিদ মালান ৪ রান নিয়ে খেলছেন।
বাংলাদেশের বোলারদের চ্যালেঞ্জ সামলে ফিফটি করেছেন জেসন রয়। দলের ৭৩ রানের ৫০-ই করেছেন ডানহাতি ওপেনার।
ক্যারিয়ারের ২২তম ফিফটি ছুঁতে ৫৪ বল খেলেছেন রয়। মেরেছেন ৭টি চার।
প্রথম ওভার থেকেই টার্ন করা উইকেটে বেশ কয়েকবার রয়ের ব্যাটের বাইরের কানা ঘেঁষে গেছে বল। টাইমিংয়ে গড়বড় হলেও ফাঁকায় পড়েছে আরও কয়েকবার।
সাকিব আল হাসানের করা ষষ্ঠ ওভারে অল্পের জন্য শর্ট মিড উইকেট ফিল্ডারের সামনে পড়ে রয়ের শট। ওই ওভারেই অফ স্টাম্প ঘেঁষে চলে যায় সাকিবের একটি ঘূর্ণি ডেলিভারি। তখন ১৬ রানে খেলছিলেন রয়।
১৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৮১ রান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এরই মধ্যে এসেছে ৫৬ রান। দাভিদ মালানের অবদান স্রেফ ১০।
প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান দাভিদ মালানকে এবার টিকতে দিলেন না মেহেদী হাসান মিরাজ। এলবিডব্লিউ করে দিলেন চমৎকার এক ডেলিভারিতে।
স্টাম্পে পড়ে স্পিন করে বেরিয়ে বল ব্যাটে খেলতে পারেননি মালান। ব্যাটের কানা এড়িয়ে আঘাত হানে প্যাডে। আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দিলে ফিরে যান রিভিউ না নিয়েই।
১৯ বলে ১১ রান করেন মালান, ইনিংসে নেই কোনো বাউন্ডারি। বাঁহাতি এই টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানের বিদায়ে ভাঙে ৫৪ বল স্থায়ী ৫৮ রানের জুটি।
১৬ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ২ উইকেটে ৮৫। ক্রিজে জেসন রয়ের সঙ্গী জেমস ভিন্স।
এক ওভারে ১৬ রান দেওয়ার পরও তাইজুল ইসলামকে বোলিংয়ে রেখেছিলেন তামিম ইকবাল। আস্থা রাখার প্রতিদানও পেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। জেমস ভিন্সকে ফিরিয়ে দিলেন তাইজুল।
বাঁহাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরে বলে পা বাড়িয়ে পাঞ্চ করতে চেয়েছিলেন ভিন্স। ঠিক মতো খেলতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। স্পিন করে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ছুঁয়ে যায় তাইর ব্যাটের কানা। উইকেটের পেছনে বাকিটা সারেন মুশফিকুর রহিম। ভাঙে ২৮ বল স্থায়ী ১৩ রানের জুটি।
১৬ বলে ভিন্স করেন ৫ রান।
২১ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ৩ উইকেটে ১০৩। ৭২ বলে ৯ চারে ৬৮ রানে খেলছেন ওপেনার জেসন রয়। ৪ বলে অধিনায়ক জস বাটলারের রান ৭।
জস বাটলারকে দ্রুত ফেরানোর একটা সুযোগ হাতছাড়া করল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের বল এক্সট্রা কাভার দিয়ে খেলেই একটা রান চেয়েছিলেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। ঝাঁপিয়ে নাগাল পাননি তাইজুল ইসলাম, বলে চলে যায় তার শরীরে নিচ দিয়ে। মিড অফের ফিল্ডার ছুটে গিয়ে থ্রো করেন বটে, তাতে ছিল না তেমন জোর। অনেকটা এগিয়ে যাওয়া বাটলার ডাইভ দিয়ে কোনোমতে ফেরেন জায়গায়।
সে সময় ৮ রানে ছিলেন তিনি।
২২ ওভারে ইংল্যান্ডের রান ৩ উইকেটে ১০৯।
দ্বিতীয় স্পেলে ফিরেই জেসন রয়কে আউটের সম্ভাবনা জাগালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু আম্পায়ার্স কলের সৌজন্যে 'বেঁচে গেলেন' ইংলিশ ওপেনার।
মিরাজের ফুল লেংথের ডেলিভারি সুইপ করতে গিয়েছিলেন রয়। বল তার ব্যাট মিস করে আঘাত হানে প্যাডে। বাংলাদেশের ফিল্ডারদের জোরাল আবেদনের পরও সাড়া দেননি আম্পায়ার।
অধিনায়ক তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে সে সময় দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেল লিটন দাস। বোলার ও কিপারের সঙ্গে তিনি নেন রিভিউ। টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় বলের 'ইমপ্যাক্ট' ও 'হিটিং' ছিল আম্পায়ার্স কল। ফলে টিকে যান রয়।
তখন ৮৭ রানে খেলছিলেন রয়।
২৮ ওভারে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪১ রান। রয় ৮৮ ও জস বাটলার ২০ রানে খেলছেন।
স্রেফ ১৩ রানের ব্যবধানে দাভিদ মালান ও জেমস ভিন্সের উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে সেই আশায় বাধ সাধছেন জেসন রয় ও জস বাটলার।
এরই মধ্যে পঞ্চাশ পেরিয়েছে রয় ও বাটলারের জুটির সংগ্রহ। ২৯তম ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের বলে চার মেরে জুটির ফিফটি পূরণ করেন অধিনায়ক বাটলার। অন্য প্রান্তে সেঞ্চুরির দুয়ারে পৌঁছে গেছেন রয়।
৩০ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৫৭ রান। রয় ৯৭ ও বাটলার ২৭ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
এখন পর্যন্ত জুটির সংগ্রহ ৬১ রান। যা ইনিংসের সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় উইকেটে ৫৮ রান যোগ করেন রয় ও মালান।
স্পিন সহায়ক উইকেটে স্রোতের প্রতিকূলে সাঁতরে দারুণ সেঞ্চুরি করলেন জেসন রয়। মুস্তাফিজুর রহমানের খাটো লেংথের ডেলিভারি হুক করে ১ রান নিয়ে ১০০তে পৌঁছান ইংলিশ ওপেনার। শূন্যে লাফিয়ে ব্যাট বাতাসে ঘুরিয়ে সারেন উদযাপন।
জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সবশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন রয়। এরপর টানা তিন ইনিংসে দুই অঙ্কও ছুঁতে পারেননি তিনি। রানে ফেরার ম্যাচে আবারও জাদুকরী তিন অঙ্কে পা রাখলেন ৩২ বছর বয়সী ওপেনার।
ক্যারিয়ারের ১২তম ও বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি করতে রয় খেলেছেন ১০৪ বল। ১২টি চারের সঙ্গে এখন পর্যন্ত ইংল্যান্ডের একমাত্র ছক্কাটিও মেরেছেন তিনি।
শুরু থেকেই টার্ন করতে থাকা উইকেটে ইতিবাচক অভিপ্রায়েই সাফল্য খুঁজে পেয়েছেন রয়। বেশ কয়েকবার বল তার ব্যাটের বাইরের কানা ঘেঁষে যায়। টাইমিংয়ের গড়বড়ে বল বাতাসে ভাসলেও, পড়ে খালি জায়গায়।
এছাড়া মেহেদী হাসান মিরাজের বলে এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদনে আম্পায়ার্স কলের সৌজন্যে বেঁচে যান তিনি। তবু নিজের শট খেলা থেকে বিরত হননি রয়।
দুই বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলামকে সামাল দিতে রিভার্স সুইপ খেলেন দারুণ দক্ষতায়। দুজনকে ৬টি রিভার্স সুইপে ৪ চারে ১৮ রান নেন রয়।
৩২ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬৫ রান। রয় ১০২ ও জস বাটলার ৩০ রানে খেলছেন। এই জুটিতে এরই মধ্যে এসেছে ৬৯ রান।
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে ফেলেছেন জেসন রয় ও জস বাটলার। দ্রুত জোড়া উইকেট পতনের পর পাল্টা আক্রমণের পথে হেঁটে জুটিতে একশ রান যোগ করেছেন এই দুজন।
৩৫তম ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে পরপর দুই চার মেরে জুটির সেঞ্চুরি পূরণ করেন রয়। স্রেফ ৮৫ বল খেলেই এই ১০০ রান করে ফেলেছেন রয় ও বাটলার। রয় করেছেন নিজের সেঞ্চুরি, ফিফটির কাছাকাছি পৌঁছে গেছেন বাটলার।
৩৫ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২০৪ রান। রয় ১৩১ ও বাটলার ৩৮ রানে খেলছেন।
মেহেদী হাসান মিরাজের বলে সুইপ খেলতে গিয়ে অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছিলেন জেসন রয়। তবে সাকিব আল হাসানের বলে আর রক্ষা হলো না তার। এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরতে হলো ড্রেসিং রুমে।
সাকিবের অফ স্টাম্পে পিচ করে ভেতরে ঢোকা ডেলিভারি সুইপ করলেও ব্যাটে-বলে হয়নি রয়ের। বল গিয়ে পেছনের পায়ে আঘাত করলে জোরাল আবেদনে সাড়া দিতে দুইবার ভাবতে হয়নি আম্পায়ারকে।
১৮ চার ও ১ ছয়ে ১২৪ বলে ১৩২ রান করে ফিরেছেন রয়।
তার বিদায়ের ভেঙেছে জস বাটলারের সঙ্গে গড়া ১০৯ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। নতুন ব্যাটসম্যান উইল জ্যাকস।
৩৬ ওভার শেষে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২০৫ রান। বাটলার খেলছেন ৩৯ রানে।
পরপর দুই ওভারে সাফল্য পেল বাংলাদেশ। সাকিব আল হাসানের পর আঘাত হানলেন তাসকিন আহমেদ। উইল জ্যাকসকে সাকিবের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠিয়েছেন ডানহাতি পেসার।
তাসকিনের শর্ট অব লেংথ ডেলিভারি পিচ করার কিছুটা গতি হারায়। তাতেই জ্যাকসের টাইমিংয়ের গড়বড়। শর্ট মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ নেন সাকিব।
স্রেফ ১ রান করতে পেরেছেন জ্যাকস। অধিনায়ক জস বাটলারের সঙ্গে উইকেটে যোগ দিয়েছেন মইন আলি।
৩৭ ওভারে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২০৮ রান। বাটলার অপরাজিত ৪১ রানে।
বাংলাদেশকে ইনিংসের নিয়ন্ত্রণ পাওয়া থেকে বিরত রাখছেন জস বাটলার। সাকিব আল হাসানের হালকা টেনে দেওয়া ডেলিভারি সজোরে পুল করে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে বাউন্ডারি মেরে পঞ্চাশে পৌঁছালেন ইংলিশ অধিনায়ক।
ক্যারিয়ারের ২৪তম ফিফটি করতে ঠিক ৫০ বল খেলেছেন বাটলার। চার মেরেছেন ৪টি। তার ব্যাটেই বড় সংগ্রহের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে ইংল্যান্ড।
৪১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ইংলিশদের সংগ্রহ ২৩২ রান। বাটলার ৫১ ও মইন আলি ১৪ রানে খেলছেন।
বিপজ্জনক হয়ে ওঠার আভাস দেওয়া জস বাটলারকে ফেরালেন মেহেদী হাসান মিরাজ। পরপর দুই বলে ছক্কা হজম করে পরের বলেই ফিরতি ক্যাচে ইংলিশ অধিনায়ককে বিদায় করলেন এই অফ স্পিনার।
মিরাজের বলে মারা দ্বিতীয় ছক্কায় মইন আলির সঙ্গে বাটলারের জুটিতে পূরণ হয়েছিল ৫০ রান। তবে এ জুটি আর বেশি বড় হলো না। হাত খুলে খেলার ইঙ্গিত দিয়ে বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না বাটলারও।
ক্যারিয়ারের ২৪তম ফিফটি করে ৫ চার ও ২ ছয়ে ৬৪ বলে ৭৬ রান করেন ইংলিশ অধিনায়ক। আট নম্বরে নেমেছেন স্যাম কারান।
৪৪ ওভারে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ২৬২ রান। মইন অপরাজিত রয়েছেন ১৮ রানে।
অধিনায়কের বিদায়ের পর মেরে খেলা শুরু করেছিলেন মইন আলি। তাকে থামালেন তাসকিন আহমেদ।
লেগ স্টাম্পের ওপর করা ফুল টস ডেলিভারি অন সাইডে খেলতে গিয়ে হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন মইন। স্কয়ার লেগ থেকে বেশ খানিকটা দৌড়ে দারুণ ক্যাচ নেন লিটন দাস।
সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩৫ বলে ৪২ রান করেছেন মইন। এরপর উইকেটে এসে প্রথম বলেই ৪ মেরে ইংল্যান্ডকে ৩০০ পার করালেন আদিল রশিদ।
৪৮ ওভারে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৩০৩ রান। স্যাম কারান ১৪ ও রশিদ ৪ রানে খেলছেন।
জেসন রয়ের সেঞ্চুরি ও জস বাটলারের ফিফটির সৌজন্যে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২৬ রান করল ইংল্যান্ড। বাংলাদেশের মাটিতে এটিই তাদের দলীয় সর্বোচ্চ।
সিরিজে টিকে থাকতে নতুন রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশকে। এই সংস্করণে সর্বোচ্চ ৩২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছিল বাংলাদেশ, ২০১৯ বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
মিরপুরের শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ৩০০র বেশি লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের ঘটনা আছে স্রেফ দুইটি। ২০১২ এশিয়া কাপে পাকিস্তানের দেওয়া ৩৩০ রানের লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলে ভারত। ২০১৪ এশিয়া কাপে বাংলাদেশের করা ৩২৬ রান টপকে যায় পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি করেছেন রয়। আরও বড় কিছুর আশা জাগিয়েও এরপর বেশি দূর যেতে পারেননি ইংলিশ ওপেনার। ১৮ চার ও ১ ছয়ে ১২৪ বলে করেন ১৩২ রান।
অধিনায়ক বাটলার খেলেন ৭৬ রানের ইনিংস। ৬৪ বলের ইনিংসে ৫ চারের সঙ্গে ২টি ছক্কা মারেন তিনি। রয় ও বাটলারের চতুর্থ উইকেট জুটিতে আসে ১০৯ রান।
শেষ দিকে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৩৫ বলে ৪২ রান করেন মইন আলি। স্যাম কারান খেলেন ২ চার ও ৩ ছয়ে ১৯ বলে ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে ৬৬ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। মেহেদী হাসান মিরাজ ২ উইকেট পেতে খরচ করেন ৭৩ রান।
২০১৬ সালের সফরে প্রথম ওয়ানডেতে ৬ উইকেটে ৩০৯ রান করেছিল ইংলিশরা। এবার ছাড়িয়ে গেল সেটিকে।
একইসঙ্গে প্রায় ৫ বছর ও ১৫ ম্যাচ পর শের-ই বাংলায় দেখা মিলল ৩০০ ছাড়ানো স্কোরের। সবশেষ ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৩২০ রান করেছিল বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩২৬/৭ (রয় ১৩২, সল্ট ৭, মালান ১১, ভিন্স ৫, বাটলার ৭৬, জ্যাকস ১, মইন ৪২, কারান ৩৩*, রশিদ ৬*; সাকিব ১০-০-৬৪-১, তাইজুল ১০-০-৫৮-১, তাসকিন ১০-০-৬৬-৩, মুস্তাফিজুর ১০-০-৬৩-০, মিরাজ ১০-০-৭৩-২)
বড় লক্ষ্য তাড়ায় প্রথম ওভারেই জোড়া ধাক্কা খেল বাংলাদেশ। স্যাম কারানের বলে গোল্ডেন ডাকের তেতো স্বাদ পেলেন লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে ইংলিশ পেসারকে হ্যাটট্রিক করতে দেননি মুশফিকুর রহিম।
তৃতীয় বলে ১ রান নিয়ে লিটনকে স্ট্রাইক দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। অফ স্টাম্পের বাইরের বল শরীরের অনেক দূর থেকে খেলে পয়েন্টে দাঁড়ানো জেসন রয়ের হাতে ক্যাচ দেন লিটন।
৬২ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এ নিয়ে তৃতীয়বার গোল্ডেন ডাক অর্থাৎ প্রথম বলেই আউট হলেন ডানহাতি ওপেনার।
তিন নম্বরে নেমে শান্তও এক বলের বেশি টিকতে পারেননি। অফ স্টাম্পের বাইরের বল ব্যাট এগিয়ে দিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা পড়েন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
১৭ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এ নিয়ে তিনবার শূন্য রানে আউট হলেন শান্ত। তিনবারই প্রথম বলে।
দুর্দান্ত শুরু করলেন স্যাম কারান। প্রথম ওভারে জোড়া আঘাতের পর নিজের দ্বিতীয় ওভারে মুশফিকুর রহিমকে ফেরালেন বাঁহাতি পেসার।
ব্যাক অব লেংথ ডেলিভারি হালকা লাফিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিল অফ স্টাম্প দিয়ে। ব্যাট এগিয়ে খেলার চেষ্টা করেও শেষ মুহূর্তে সরে যান মুশফিক। তবে ততক্ষণে বিপদ যা ঘটার ঘটে যায়!
ইংলিশদের জোরাল আবেদনে প্রথমে আউট দেননি আম্পায়ার। তারা রিভিউ নিলে রিপ্লেতে দেখা যায় মুশফিকের ব্যাটের বাইরের কানায় লেগেই বল গেছে জস বাটলারের গ্লাভসে।
স্রেফ ৪ রান করে ড্রেসিং রুমে ফেরেন মুশফিক। অধিনায়ক তামিম ইকবালকে সঙ্গ দিতে উইকেটে এসেছেন সাকিব আল হাসান।
৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৪ রান।
স্রেফ ৯ রানে ৩ উইকেট পতনের পর চাপ সামাল দেওয়ার অভিযানে তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট পড়তে দেননি দুই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
স্যাম কারানের প্রথম ওভারেই শূন্য রানে আউট হন লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। বাঁহাতি পেসারের তৃতীয় শিকার মুশফিকুর রহিম। তিন ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে কঠিন বিপদে পড়ে যায় বাংলাদেশ।
রয়ে-সয়ে খেলে বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন তামিম ও সাকিব। ১০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৪৪ রান।
তামিম ৩৩ বলে ২৪ ও সাকিব ২১ বলে ১৪ রানে খেলছেন। দুজনের জুটির সংগ্রহ ৩৫ রান।
জয়ের জন্য বাকি ৪০ ওভারে করতে হবে আরও ২৮৩ রান।
শুরুর বিপর্যয় সামাল দিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে পঞ্চাশ রান যোগ করলেন তামিম ইকবাল ও সাকিব আল হাসান। ১৩তম ওভারে উইল জ্যাকসের বলে বাউন্ডারি মেরে জুটির পঞ্চাশ পূরণ করেন সাকিব।
ওয়ানডে সংস্করণে এ নিয়ে পঞ্চাশ বার জুটি বেঁধেছেন সাকিব-তামিম। এর মধ্যে ২০ বার পঞ্চাশের বেশি রান যোগ করলেন এই দুজন। তাদের শতরানের তিন জুটির সবশেষটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, করেছিলেন প্রায় ৫ বছর আগে।
তিন ওভারের মধ্যে লিটন দাস (১ বলে ০), নাজমুল হোসেন শান্ত (১ বলে ০) ও মুশফিকুর রহিম (৫ বলে ৪) ফিরে যাওয়ার পর হাল ধরেছেন দলের অভিজ্ঞ দুই ব্যাটসম্যান। দুজনই রান করছেন সমান তালে।
১৪ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৫৯ রান। তামিম ২৯ ও সাকিব ২৪ রানে খেলছেন।
বিশাল লক্ষ্য তাড়ায় বাকি ৩৬ ওভারে আরও ২৬৮ রান করতে হবে বাংলাদেশকে।
থিতু হয়ে নিজের উইকেট বিলিয়ে দিলেন তামিম ইকবাল। মইন আলির বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে ইনসাইড আউট শট খেলতে গিয়ে লং অফে জেমস ভিন্সের হাতে ধরা পড়লেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
টেস্ট ঘরানার ব্যাটিংয়ে ৬৫ বলে ৪ চারে ৩৫ রান করেছেন তামিম। ৪৪টি বল ডট খেলেছেন তিনি। উইকেট নতুন ব্যাটসম্যান এসেছেন মাহমুদউল্লাহ।
তামিমের বিদায়ে ভেঙেছে ৭৯ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। দলীয় ১০০ হওয়ার আগেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফের চাপে পড়ে গেল বাংলাদেশ।
২১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ৮৯ রান। সাকিব আল হাসান খেলছেন ৫৪ বলে ৪২ রান নিয়ে।
জয়ের জন্য বাকি ২৯ ওভারে করতে হবে আরও ২৩৮ রান।
আদিল রশিদের অফ স্টাম্পের বাইরের বল স্কয়ার কাট করে চার মেরে দলের রান তিন অঙ্কে নিলেন সাকিব আল হাসান। পরের বলে কভার দিয়ে চার মেরে তুলে নিলেন নিজের ফিফটি।
দলের বিপর্যয়ের মুখে ব্যাটিংয়ে নেমে ক্যারিয়ারের ৫১তম পঞ্চাশ করলেন সাকিব। ব্যক্তিগত এই মাইফলক ছুঁতে ৫৯ বল খেলেছেন তিনি। চার মেরেছেন ৫টি।
স্রেফ ৯ রানে ৩ উইকেট পড়ার পর উইকেটে গিয়েছিলেন সাকিব। তামিম ইকবালের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৭৯ রানের জুটি। পরে অধিনায়ক ফিরে গেলেও এক প্রান্ত ধরে রেখেছেন অভিজ্ঞ তারকা।
২৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১০৯ রান। সাকিব ৫৪ ও মাহমুদউল্লাহ ৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
পঞ্চাশ ছুঁয়ে বেশি দূর যাওয়া হলো সাকিব আল হাসানের। আদিল রশিদের বল ইনসাইড আউট খেলার চেষ্টায় টাইমিংয়ের গড়বড়ে ধরা পড়লেন মিড অফে দাঁড়ানো স্যাম কারানের হাতে।
বাংলাদেশের হয়ে ৪০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নেমে ৫ চারে ৬৯ বলে ৫৮ রান করেছেন সাকিব। তার বিদায়ে উইকেটে এসেছেন আফিফ হোসেন।
২৯ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১২৭ রান। জয়ের জন্য শেষ ৫ উইকেটে বাকি ২১ ওভারে করতে হবে আরও ২০০ রান।
আদিল রশিদের ঘূর্ণিতে ধরা পড়লেন আফিফ হোসেন। আগের বলেই চার মেরেছিলেন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। পরের বলটি টার্ন করবে ভেবে খেলেন তিনি। কিন্তু স্লাইড করে তার ব্যাটের বাইরের কানা ছুঁয়ে বল জমা পড়ে জস বাটলারের গ্লাভসে।
রানের খাতা খুলতে ১২ বল খেলা আফিফ আউট হয়েছেন ২ চার ও ১ ছয়ে ৩৩ বলে ২৩ রান করে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একমাত্র ছক্কাটি মেরেছেন তিনিই। নতুন ব্যাটসম্যান এসেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
৩৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৬০ রান। ৪২ বলে ২৭ রানে খেলছেন মাহমুদউল্লাহ।
সাকিব আল হাসান ও আফিফ হোসেনের পর বাংলাদেশের শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যানকেও ড্রেসিং রুমে ফেরত পাঠালেন আদিল রশিদ। লেগ ব্রেক ডেলিভারি মাহমুদউল্লাহর ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে চলে যায় স্লিপে থাকা মইন আলির হাতে।
৩ চারে ৩২ রান করতে ৪৯ বল খেলেন মাহমুদউল্লাহ। তার বিদায়ে বড় হারের শঙ্কায় পড়ে গেছে বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ সঙ্গে যোগ দিতে নয় নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছেন তাসকিন আহমেদ।
৩৯ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ১৭০ রান।
নিজের কোটার শেষ ওভারেও উইকেট নিলেন আদিল রশিদ। ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি উড়িয়ে মারতে গিয়ে লং অফে ধরা পড়লেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
১৪ বলে ৭ রান করেন এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার।
১০ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন রশিদ। তার আগের তিন শিকার সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ।
৪২ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ১৮৪ রান। উইকেটে আছেন তাসকিন আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম
কট বিহাইন্ডের রিভিউ নিয়ে ব্যর্থ হলেন স্যাম কারান। তবে এক বল পরই খামখেয়ালি দৌড়ে রানআউট হলেন তাসকিন আহমেদ। পরের বলে মুস্তাফিজুর রহমান উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলে দুইশর আগেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ।
নিজের প্রথম স্পেলে ৩ উইকেট নিয়ে শুরু ধাক্কা দিয়েছিলেন কারান। শেষ স্পেলে ফিরে বাংলাদেশের লেজটাও মুড়িয়ে দিলেন বাঁহাতি এই পেসার। সব মিলিয়ে ৬.৪ ওভারে ২৯ রান খরচায় কারানের শিকার ৪ উইকেট।
৩২৭ রানের বিশাল লক্ষ্যে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে ১৯৪ রানে। ১৩৪ রানের বিশাল জয়ে সিরিজও নিজেদের করে নিয়েছে ইংল্যান্ড।
প্রায় ৬ বছর পর ঘরের মাঠে সিরিজ হারের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। ২০১৬ সালে সবশেষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই সিরিজ হেরেছিল তারা।
বাংলাদেশের বোলিং-ফিল্ডিংয়ের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ পেয়েছিল ইংল্যান্ড। পরে ব্যাটসম্যানরাও হতাশ করলে সফরকারীরা পেল বড় জয়। ১৩৪ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ হেরে সিরিজও হারাল বাংলাদেশ।
জেসন রয়ের ১২৪ বলে ১৩২ ও জস বাটলারের ৬৪ বলে ৭৬ রানের ইনিংসের সঙ্গে মইন আলি (৩৫ বলে ৪২) ও স্যাম কারানের (১৯ বলে ৩৩*) দুটি ক্যামিও ইনিংসে ৩২৬ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করায় ইংল্যান্ড।
প্রায় ৬ বছর ও ৭ সিরিজ পর ঘরের মাঠে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে হারল বাংলাদেশ। সবশেষ ২০১৬ সালে বাংলাদেশের মাটিতে সিরিজ জেতার কৃতিত্ব দেখিয়েছিল বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরাই।
জবাবে শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দুইশতম আন্তর্জাতিক ম্যাচে দুইশ রানও করতে পারেনি স্বাগতিকরা। কারান ও আদিল রশিদ ৪টি করে উইকেট নিলে ১৯৪ রানে গুটিয়ে যায় তামিম ইকবালের দল।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ ৫৮ রান করেন ৪০০তম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামা সাকিব আল হাসান। এছাড়া ত্রিশ ছাড়ানো ইনিংস খেলেন তামিম ইকবাল (৩৫) ও মাহমুদউল্লাহ (৩২)।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩২৬/৭ (রয় ১৩২, সল্ট ৭, মালান ১১, ভিন্স ৫, বাটলার ৭৬, জ্যাকস ১, মইন ৪২, কারান ৩৩*, রশিদ ৬*; সাকিব ১০-০-৬৪-১, তাইজুল ১০-০-৫৮-১, তাসকিন ১০-০-৬৬-৩, মুস্তাফিজুর ১০-০-৬৩-০, মিরাজ ১০-০-৭৩-২)
বাংলাদেশ: ৪৪.৪ ওভারে ১৯৪ (তামিম ৩৫, লিটন ০, শান্ত ০, মুশফিক ৪, সাকিব ৫৮, মাহমুদউল্লাহ ৩২, আফিফ ২৩, মিরাজ ৭, তাসকিন ২১, তাইজুল ১*, মুস্তাফিজ ০; কারান ৬.৪-১-২৯-৪, সাকিব ৯-০-৪১-০, উড ৪-০-১৪-০, জ্যাকস ৬-০-২৭-০, মইন ৯-২-২৭-১, রশিদ ১০-০-৪৫-৪)
ফল: ইংল্যান্ড ১৩৪ রানে জয়ী
সিরিজ: তিন ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে ইংল্যান্ড