Published : 04 May 2025, 08:46 AM
ইয়াশ দায়ালের নো বল যখন ছক্কায় উড়িয়ে দিলেন শিভাম দুবে, জয়ের জন্য চেন্নাই সুপার কিংসের প্রয়োজন তখন তিন বলে ছয় রান। এর একটি আবার ফ্রি হিট। তবে পরের তিনটি ডেলিভারিতে সামলে নিলেন দায়াল। তিনটি সিঙ্গলের বেশি নিতে পারলেন না শিভাম ও রাভিন্দ্রা জাদেজা। জয়ের কাছে গিয়েও হেরে গেল চেন্নাই। তবে ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটসম্যানকে নয়, অধিনায়ক মাহেন্দ্র সিং ধোনি ম্যাচের পর কাঠগড়ায় তুললেন নিজেকেই।
বেঙ্গালুরুতে শনিবার ভিরাট কোহলি ও জ্যাকব বেথেলের ফিফটির পর শেষ দিকে রোমারিও শেফার্ডের ১৪ বলে ৫৩ রানের তাণ্ডবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু তোলে ২০ ওভারে ২১৩ রান।
রান তাড়ায় আয়ুশ মাত্রের ৪৮ বলে ৯৪ রানের ইনিংস আর জাদেজার সঙ্গে তার ৬৪ বলে ১১৪ রানের জুটি পথে রাখে চেন্নাইকে। তবে সপ্তদশ ওভারে আয়ুশ ও ডেওয়াল্ড ব্রেভিসকে টানা দুই বলে ফেরান লুঙ্গি এনগিডি। তখন ক্রিজে যান ধোনি।
চেন্নাইয়ের সম্ভাবনা তখনও ভালোমতোই জিইয়ে আছে। ২১ বলে প্রয়োজন ৪২ রান। জাদেজা একটি ছক্কা মারেন ওই ওভারেই। ১৯তম ওভারে দারুণ এক শটে ছক্কা মারেন ধোনিও। তবে অন্য ডেলিভারিগুলোয় বড় শট খেলতে পারেননি চেন্নাই অধিনায়ক।
শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১৫ রানের। প্রথম দুই বলে জাদেজা ও ধোনি নিতে পারেন কেবল সিঙ্গল। তৃতীয় বলে লো ফুল টস ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে যান ধোনি। ওই ছক্কার পরও ৮ বল খেলে কেবল ১২ রান করতে পারেন ৪৩ বছর বয়সী কিংবদন্তি।
এরপর দায়ালের সেই নো বলে ছক্কা এবং শেষ তিন বলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানো। বেঙ্গালুরুর জয় দুই রানে। বিফলে জাদেজার ৪৫ বলে ৭৭ রানের ইনিংস।
থিতু ব্যাটসম্যান হিসেবে শেষ সময়ের দাবি মেটাতে না পারায় আঙুল তোলা যায় জাদেজার দিকেও। তবে ধোনি ম্যাচের পর দায় নিলেন নিজেই।
“আমি যখন ব্যাট করতে ক্রিজে নামার সময় যত বলে যত রান দরকার ছিল, আমার অন্তত আরও গোটা দুয়েক ডেলিভারি কাজে লাগানো উচিত ছিল। সেটা পারলে চাপ আলগা হয়ে যেত। এখানে দোষ তাই আমিই নেব।”
চেন্নাইতে এত বড় লক্ষ্য তাড়া করতে হতো না, যদি শেষ দিকে শেফার্ডের সামনে তাদের বোলাররা এলোমেলো হয়ে না পড়তেন। ১৮ ওভার শেষে বেঙ্গালুরুর রান ছিল কেবল ১৫৯। শেষ দুই ওভার থেকেই আসে ৫৪ রান! সেখানে শেফার্ড একাই করেন ৫২ রান।
খালিল আহমেদের করা ১৯তম ওভারে নো বলে একটি ছক্কাসহ মোট চারটি ছক্কা ও দুই চারে রান আসে ৩৩। শেষ ওভারে মাথিশা পাথিরানার বলে দুই ছক্কা দুই চারে আসে ২১ রান।
“আরও ইয়র্কার অনুশীলন করতে হবে আমাদের। ব্যাটসম্যানরা যখন ব্যাটে লাগাতে শুরু করে, বেশির ভাগ সময়ই ইয়র্কারের ওপর ভরসা রাখতে হয়। ইয়র্কার করার চেষ্টায় যদি নিখুঁত না হয়, পরের সেরা ডেলিভারি হলো লো ফুল টস। কারণ, এই বলে শট খেলা কঠিনতম কাজগুলির একটি।”
“আমার মনে হয়, এখানে আমাদের উন্নতি করতে হবে। এছাড়াও পাথিরানার মতো বোলার, যাদের গতি আছে, ইয়র্কার না হলে বাউন্সার করতে পারে। তাহলে ব্যাটসম্যানকে তা ভাবাতে বাধ্য করবে।”
উন্নতির সুযোগ অবশ্য খুব বেশি আর নেই ধোনিদের। পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে তাদের। ম্যাচ বাকি আছে আর কেবল তিনটি।