টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি বাংলাদেশ।
Published : 17 Jun 2024, 05:10 AM
সুপার এইটের প্রতিপক্ষ
সুপার এইটে এক নম্বর গ্রুপে পড়েছে বাংলাদেশ। যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও আফগানিস্তান।
বাংলাদেশ সময় আগামী শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টায় অস্ট্রেলিয়া, পর দিন রাত সাড়ে ৮টায় ভারত ও ২৫ জুন ভোর সাড়ে ৬টায় আফগানিস্তানের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
সুপার এইটে প্রথম দুই ম্যাচ হবে অ্যান্টিগায়। আর শেষ ম্যাচের জন্য আবার সেন্ট ভিনসেন্টে ফিরবে তারা।
রেকর্ড গড়েই সুপার এইটে বাংলাদেশ
শেষ ওভার করতে এসে পরপর দুই বলে নেপালের শেষ দুই উইকেট নিয়ে নিলেন সাকিব আল হাসান। মাত্র ৮৫ রানে গুটিয়ে গেল নেপাল। বাংলাদেশ পেল ২১ জয়।
ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ১০৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর বোলাররা এনে দিলেন রেকর্ড গড়া এই জয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর চেয়ে কম রান করে জেতার নজির নেই আর কোনো।
চার ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে সুপার এইটের টিকেটও নিশ্চিত করল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এই প্রথম বিশ্বকাপের এক আসরে তিন ম্যাচ জিতল বাংলাদেশ।
দলকে রেকর্ড গড়া জয় এনে দেওয়ার ম্যাচে ৪ ওভারে দুই মেইডেনসহ মাত্র ৭ রানে ৪ উইকেট নেন তানজিম হাসান। মুস্তাফিজুর রহমান এক মেইডেনসহ ৭ রানে নেন ৩ উইকেট।
আগের তিন ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকা সাকিব ৯ রানে নেন ২ উইকেট। কোনো রান না যোগ করেই ৪ উইকেট হারায় নেপাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৯.৩ ওভারে ১০৬ (তানজিদ ০, লিটন ১০, শান্ত ৪, সাকিব ১৭, হৃদয় ৯, মাহমুদউল্লাহ ১৩, জাকের ১২, তানজিম ৩, রিশাদ ১৩, তাসকিন ১২*, মুস্তাফিজ ৩; কামি ৩-০-১০-২, ঐরি ৩.৩-০-২২-২, রোহিত ৪-০-২০-২, লামিছানে ৪-১-১৭-২, ভুরতেল ৪-০-২২-০, আবিনাশ ১-০-১০-০)
নেপাল: ১৯.২ ওভারে ৮৫ (ভুরতেল ৪, আসিফ ১৭, অনিল ০, রোহিত ১, জোরা ১, মাল্লা ২৭, ঐরি ২৫, ঝা ০, কামি ০, লামিছানে ০*, আবিনাশ ০; তানজিম ৪-২-৭-৪, তাসকিন ৪-০-২৯-১, মুস্তাফিজ ৪-১-৭-৩, রিশাদ ৩-০-১৫-০, সাকিব ২.২-০-৯-২, মাহমুদউল্লাহ ২-০-১৫-০)
ফল: বাংলাদেশ ২১ রানে জয়ী
উইকেট মেডেন নিলেন মুস্তাফিজ
দুর্দান্ত ডেথ বোলিংয়ের প্রদর্শনী করলেন মুস্তাফিজুর রহমান। ১৭ ও ১৯তম ওভার মিলিয়ে দিলেন মাত্র ১ রান। ১৯তম ওভারে কোনো রান না দিয়েই নিলেন দিপেন্দ্রা সিং ঐরির উইকেট।
সব মিলিয়ে ৪ ওভারে এক মেডেনসহ মুস্তাফিজের শিকার ৭ রানে ৩ উইকেট।
১৯ ওভারে নেপালের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৮৫ রান। শেষ ওভারে প্রয়োজন ২২ রান।
এবার তাসকিনের আঘাত
প্রথম বলে ছক্কা হজম করে কিছুটা শঙ্কার জন্ম দিয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। তবে পঞ্চম বলে তিনি ফিরিয়ে দিলেন গুলশান ঝা-কে। ৪ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি ঝা।
১৮ ওভারে নেপালের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৮৫ রান। শেষ দুই ওভারে তাদের প্রয়োজন ২২ রান।
দিপেন্দ্রা সিং ঐরি ২৫ বলে ২৫ রানে অপরাজিত। নতুন ব্যাটসম্যান সোম্পাল কামি।
জুটি ভাঙলেন মুস্তাফিজ
ডেথ বোলিংয়ে আক্রমণে ফিরেই জুটি ভাঙলেন মুস্তাফিজুর রহমান। কাটার ডেলিভারিতে বড় শটের খোঁজে হাওয়ায় ভাসিয়ে দেন কুশাল মাল্লা। মিড অফ থেকে পেছনে দৌড়ে দারুণ ক্যাচ দেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
৪০ বলে ২৭ রান করেন মাল্লা। তার বিদায়ে ভাঙল ৫২ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি।
১৬.৪ ওভারে নেপালের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৭৮ রান। ২০ বলে প্রয়োজন ২৯ রান।
ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান দিপেন্দ্রা সিং ঐরি ও গুলশান ঝা।
মাল্লা-ঐরির জুটির পঞ্চাশ
ষষ্ঠ উইকেটে জুটিতে পঞ্চাশ রানের জুটি গড়লেন দিপেন্দ্রা সিং ঐরি ও কুশাল মাল্লা। ম্যাচে এটিই প্রথম পঞ্চাশ ছোঁয়া জুটি।
১৬ ওভারে নেপালের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৭৭ রান। শেষ ২৪ বলে তাদের প্রয়োজন ৩০ রান।
কুশাল ৩৮ বলে ২৭ ও ঐরি ২১ বলে ১৭ রানে অপরাজিত।
আম্পায়ার্স কলে বাঁচলেন ঐরি
দ্রুত ৫ উইকেট হারানোর পর জুটি গড়ার চেষ্টায় কুশাল মাল্লা ও দিপেন্দ্রা সিং ঐরি। এরই মধ্যে পঞ্চদশ ওভারে অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ঐরি।
সাকিব আল হাসানের বলে এলবিডব্লিউর জোরাল আবেদনে সাড়া দেননি আম্পায়ার। বাংলাদেশ রিভিউ নিলে দেখা যায়, 'উইকেট' এর বেলায় আম্পায়ার্স কল। অর্থাৎ আম্পায়ার নট আউট দেওয়ায় বেঁচে যান ঐরি।
১৫ ওভারে নেপালের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৬৫ রান। শেষ ৩০ বলে তাদের প্রয়োজন ৪২ রান। মাল্লা ৩২ বলে ১৫ ও ঐরি ২০ বলে ১৭ রানে অপরাজিত।
তানজিমের একগাদা রেকর্ড
অল্প পুঁজিতে বাংলাদেশকে এগিয়ে দিলেন তানজিম হাসান। টানা ৪ ওভারের স্পেলে দুই মেইডেনসহ মাত্র ৭ রানে ৪ উইকেট নিলেন ২১ বছর বয়সী পেসার। একইসঙ্গে তিনি গড়লেন একগাদা রেকর্ড।
বিশ্বকাপে পুরো ৪ ওভার করা বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে এটিই সবচেয়ে কম রানের রেকর্ড। সব মিলিয়েও এটিই রেকর্ড। গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ৪ ওভারে এক মেইডেনসহ ৭ রানে ১ উইকেট নিয়েছিলেন রিশাদ হোসেন।
তানজিমের ২১ বল থেকে কোনো রান নিতে পারেননি নেপালের ব্যাটসম্যানরা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ডট বলের রেকর্ড এটি।
তানজিমের করা দুইটি মেইডেন ওভারও বিশ্বকাপের রেকর্ড। বাংলাদেশের প্রথম ও সব মিলিয়ে ষষ্ঠ বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টির বিশ্ব আসরে এক ম্যাচে দুটি মেইডেন নিলেন তানজিম।
সব মিলিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ম্যাচে দুই মেইডেন করা তৃতীয় বাংলাদেশি তানজিম। আগের দুজন নাজমুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ।
তানজিমের চতুর্থ শিকার জোরা
টানা চতুর্থ ওভার করতে এসে নিজের স্পেলের শেষ বলে আরেক উইকেট নিলেন তানজিম হাসান। অফ স্টাম্পের বাইরের বলে পয়েন্টে রিশাদ হোসেনের হাতে ধরা পড়লেন সানদিপ জোরা।
৪ ওভারে দুই মেইডেনসহ মাত্র ৭ রানে ৪ উইকেট নিলেন তানজিম।
৭ ওভারে নেপালের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৬ রান।
আসিফকে ফেরালেন মুস্তাফিজ
উইকেট শিকারে যোগ দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে তিনি ফেরালেন নেপালের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান আসিফ শেখকে। শর্ট কভারে দুইবারের চেষ্টায় ক্যাচ নিলেন সাকিব আল হাসান।
৪ চারে ১৬ বলে ১৭ রান করেন আসিফ।
৬ ওভারে নেপালের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ২৪ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান কুশাল মাল্লা ও সানদিপ জোরা।
রোহিতকে ফেরালেন তানজিম
আগের ওভারের শেষ বলের পর রোহিত পাউড়েলের সঙ্গে লেগে গিয়েছিল তানজিম হাসানের। তাদের থামাতে এগিয়ে আসতে হয়েছিল অন্যদের। নতুন ওভারে এসে নেপাল অধিনায়ককে ফিরিয়ে সেই লড়াইয়ে জিতলেন তানজিম।
অফ স্টাম্পের বাইরের শর্ট বলে বাউন্ডারির আশায় ছিলেন রোহিত। কিন্তু পার করতে পারেননি রিশাদ হোসেনকে। ক্যাচ যায় সরাসরি ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে।
৬ বলে ১ রান করে ফেরেন রোহিত।
৫ ওভারে নেপালের রান ৩ উইকেটে ২০।
তানজিমের জোড়া আঘাত
ইয়র্কার করতে চেয়েছিলেন তানজিম হাসান। কিন্তু চাওয়া পূরণ হয়নি। কিন্তু উইকেটের লক্ষ্য পূরণ হলো ঠিকই। নিচু ফুলটসে বোল্ড হয়ে গেলেন কুশাল ভুরতেল। ভাঙল নেপালের শুরুর জুটি।
তানজিম ও তাসকিন আহমেদের গতি আর বাউন্স বেশ ভোগাচ্ছে নেপালের ব্যাটসম্যানদের। হেলমেটে লেগেছে একটি বল, ব্যাটসম্যানদের গায়েও লেগেছে কিছু।
তানজিমের নিচু ফুলটসে রানের একটা সুযোগ পেয়েছিলেন ভুরতেল। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি ব্যাটসম্যান। লেট সুইংয়ের জন্য খেলতে পারেননি ব্যাটে। আঘাত হানে অফ স্টাম্পের বাইরের দিকে।
৮ বলে এক চারে ৪ রান করেন ভুরতেল।
প্রথম বল ব্যাটে খেলতে পারেননি নতুন ব্যাটসম্যান অনিল শাহ। বল লাগে তার গায়ে। পরের বলে বড় শটের আশায় ক্যাচ তুলে দেন আকাশে। মিডঅফে আস্থার সঙ্গে মুঠোয় জমান নাজমুল হোসেন শান্ত।
২ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি অনিল।
৩ ওভারে নেপালের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৯। ক্রিজে আসিফ শেখের সঙ্গী রোহিত পাউড়েল।
১০৬ রানে শেষ বাংলাদেশ
ভয়াবহ ব্যাটিং ব্যর্থতায় নেপালের বিপক্ষে মাত্র ১০৬ রানে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১১৩ রানের কম করে জেতার নজির নেই কোনো। ম্যাচ জিততে তাই নতুন রেকর্ড গড়তে হবে বাংলাদেশের।
টস হেরে ব্যাটিং নেমে প্রথম বলেই ড্রেসিং রুমে ফেরেন তানজিদ হাসান। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি বাংলাদেশ। নিয়মিত উইকেট হারিয়ে কোনোমতে একশ পার করে তারা।
মূলত দশম উইকেটে ১৮ রানের জুটি গড়ে দলকে একশ পার করান তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দিন তাসকিন করেন ১২ রান। এর আগে রিশাদ হোসেনের ব্যাট থেকে আসে ১৩ রান।
বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানই ২০ রান করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ১৭ রানের ইনিংস খেলেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া আরও তিন জন দুই অঙ্ক ছুঁয়েও ভালো কিছু করতে পারেননি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৯.৩ ওভারে ১০৬ (তানজিদ ০, লিটন ১০, শান্ত ৪, সাকিব ১৭, হৃদয় ৯, মাহমুদউল্লাহ ১৩, জাকের ১২, তানজিম ৩, রিশাদ ১৩, তাসকিন ১২*, মুস্তাফিজ ৩; কামি ৩-০-১০-২, ঐরি ৩.৩-০-২২-২, রোহিত ৪-০-২০-২, লামিছানে ৪-১-১৭-২, ভুরতেল ৪-০-২২-০, আবিনাশ ১-০-১০-০)
রিশাদকে ফেরালেন ঐরি
কুশাল ভুরতেলের আগের ওভারে পরপর দুই বলে ছক্কা ও চার মেরেছিলেন রিশাদ হোসেন। পরের ওভারে দিপেন্দ্রা সিং ঐরির বলও ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ধরা পড়ে গেছেন লং অফে।
৭ বলে ১৩ রান করে ফিরেছেন রিশাদ।
১৭.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ৮৮ রান। ক্রিজে শেষ দুই ব্যাটসম্যান তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।
রাশিদের পরই লামিছানে
জাকের আলিকে বোল্ড করে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট পূর্ণ করলেন সন্দীপ লামিছানে। মাত্র ৫৪ ম্যাচ লাগল তার। এর চেয়ে দ্রুত ১০০ উইকেট নিতে পেরেছেন শুধু রাশিদ খান, ৫৩ ম্যাচে।
এছাড়া ওয়ানডেতে একশ উইকেটে লামিছানেই দ্রুততম। মাত্র ৪২ ম্যাচে উইকেটের সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নেপালের লেগ স্পিনার।
জাকেরকেও ফেরালেন লামিছানে
বাংলাদেশকে আরও চাপে ফেলে দিয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন জাকের আলি। ২৬ বলে ১২ রান করে সন্দীপ লামিছানের বলে বোল্ড হলেন তিনি।
১৬ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৭৫ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান রিশাদ হোসেন ও তাসকিন আহমেদ।
লামিছানের গুগলিতে বোল্ড তানজিম
সন্দীপ লামিছানের লেগ স্পিন ডেলিভারিতে সুইপ করতে গিয়ে ব্যাটে লাগাতে পারলেন না তানজিম। বল তার প্যাডে লাগতেই আঙুল তুলে দিলেন আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন তানজিম।
তবে পরের বলে আর রক্ষা নেই। লামিছানের গুগলিতে ভুল লাইনে খেলে বোল্ড হয়ে ফিরলেন ৫ বলে ৩ রান করা তানজিম।
১৩.২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৬৯ রান। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান রিশাদ হোসেন। ১৫ বলে ৯ রানে অপরাজিত জাকের আলি।
সাকিবকে ফেরালেন রোহিত
আরও বাড়ল বাংলাদেশের বিপদ। রোহিত পাউড়েলের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরলেন সাকিব আল হাসান। রিভিউ নিয়েও নিজের উইকেট বাঁচাতে পারেননি ২২ বলে ১৭ রান করা অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার।
১২ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৬৩ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান জাকের আলি ও তানজিম হাসান।
মাহমুদউল্লাহর বিব্রতকর রেকর্ড
নেপালের বিপক্ষে রান আউট হওয়ার পর বিব্রতকর এক রেকর্ডে উঠে গেল মাহমুদউল্লাহর নাম। এ নিয়ে ১১ বার রান আউটে কাটা পড়লেন তিনি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এর চেয়ে বেশি রান আউট হননি আর কোনো ব্যাটসম্যান। নিউ জিল্যান্ডের রস টেইলর ও রুয়ান্ডার উইলসন নিয়িতাঙ্গার রেকর্ডে ভাগ বসালেন মাহমুদউল্লাহ।
এবার রান আউট মাহমুদউল্লাহ
মরার ওপর যেন খাঁড়ার ঘা! পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে থাকা বাংলাদেশ এবার রান আউটে হারাল পঞ্চম উইকট।
সন্দীপ লামিছানের ফুল টস মিড অফের দিকে খেলে শুরুতে রানের জন্য ডাকেন সাকিব আল হাসান। পরক্ষণেই শুধরে নেন নিজেকে। তবে ততক্ষণে প্রায় মাঝ ক্রিজে মাহমুদউল্লাহ।
গুলশান ঝার থ্রো ধরে স্টাম্প ভেঙে দেন লামিছানে। বিদায়ঘণ্টা বাজে দুই চারে ১৩ বলে ১৩ রান করা মাহমুদউল্লাহর। স্ট্রাইক প্রান্তে মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়েন সাকিব।
৯ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৫২ রান। নতুন ব্যাটসম্যান জাকের আলি। ১৬ বলে ১৪ রানে অপরাজিত সাকিব।
অল্পেই ফিরলেন হৃদয়
পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে আরেকটি উইকেট হারাল বাংলাদেশ। চার নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন তাওহিদ হৃদয়।
ষষ্ঠ ওভারে আক্রমণে আসা রোহিত পাউড়েলের বল স্লগ সুইপে ছক্কায় ওড়াতে গিয়ে শর্ট ফাইন লেগে ধরা পড়লেন ৭ বলে ৯ রান করা তরুণ ব্যাটসম্যান।
পাওয়ার প্লেতে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ। বিপরীতে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৩১ রান।
ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ।
লিটনকেও ফেরালেন কামি
টানা তৃতীয় ওভার করতে এসে দ্বিতীয় সাফল্যের দেখা পেলেন সোম্পাল কামি। অফ স্টাম্পের বাইরের ডেলিভারি পুল করার চেষ্টায় হাওয়ায় ভাসিয়ে দিলেন লিটন কুমার দাস। উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ নিলেন আসিফ শেখ।
১ চারে ১০ রান করতে ১২ বল খেলেন লিটন।
সাকিব আল হাসানের মতো তাওহিদ হৃদয়ও ক্রিজে গিয়ে প্রথম বলেই মারলেন বাউন্ডারি।
৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৬ রান। সাকিব ৯ বলে ৬ ও হৃদয় ৩ বলে ৫ রানে অপরাজিত।
বিশ্বকাপে তানজিদই 'প্রথম'
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইনিংসের প্রথম বলে আউট হওয়া বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান তানজিদ হাসান।
এর আগে তামিম ইকবাল দুবার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে প্রথম বলে আউট হন। তবে কোনোটিই বিশ্বকাপের ম্যাচ ছিল না।
সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে ম্যাচের প্রথম বলে আউট হওয়া অষ্টম ওপেনার তানজিদ।
টিকতে পারলেন না শান্ত
ওপেনিং থেকে সরে তিন নম্বরে নেমেও রানের দেখা পেলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। দ্বিতীয় ওভারে ড্রেসিং রুমের পথ ধরলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
দিপেন্দ্রা সিং ঐরির হালকা ঝুলিয়ে দেওয়া ডেলিভারি শান্তর রক্ষণ ভেদ করে আঘাত করে অফ স্টাম্পে। ৫ বলে ৪ রান করে ফেরেন বাঁহাতি টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান।
১.৩ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান লিটন কুমার দাস ও সাকিব আল হাসান।
রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন লিটন
প্রথম ওভারে আরও বিপদ ঘটতে পারত বাংলাদেশের। সোম্পাল কামির লেগ স্টাম্প লাইনের ডেলিভারি ব্যাটে লাগাতে পারেননি লিটন কুমার দাস। বল প্যাডে আঘাত করতেই মৃদু আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার।
আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে রিভিউ নেন লিটন। রিপ্লেতে দেখা যায়, বল চলে যেত লেগ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে। তাই বেঁচে যান লিটন। অক্ষত থাকে বাংলাদেশের রিভিউও।
১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩ রান। ক্রিজে দুই ব্যাটসম্যান লিটন ও নাজমুল হোসেন শান্ত।
প্রথম বলেই তানজিদের বিদায়
ম্যাচের প্রথম বলেই ক্রিজ ছেড়ে মারতে চাইলেন তানজিদ হাসান। কিন্তু সোম্পাল কামির রাউন্ড থেকে ভেতরের দিকে আসা শর্ট বলে পুল করার জায়গাই পেলেন না বাঁহাতি ওপেনার। ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ড্রেসিং রুমে ফিরলেন তানজিদ।
তিন নম্বরে নামলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
ওপেনিংয়ে ফিরলেন লিটন
তিন ম্যাচ পর ওপেনিংয়ে ফিরলেন লিটন কুমার দাস। চলতি বিশ্বকাপে প্রথম ম্যাচে তানজিদ হাসানের সঙ্গে ইনিংস সূচনা করেন সৌম্য সরকার। পরের দুই ম্যাচে তানজিদের সঙ্গে নামেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
তিন ম্যাচেই লিটনকে নামানো হয় তিন নম্বরে। এবার নেপালের বিপক্ষে ওপেনিংয়ে নামলেন তিনি।
'ম্যাচ জিততে স্পিন করান'
পিচ রিপোর্টে স্যামুয়েল বাদ্রি বলেছেন, 'ঘণ্টায় ১১ কিমি বেগে বাতাস বইছে। এক দিকে সীমানা ৬৮ মিটার, অন্য দিকে ৬১ মিটার। সোজা বাউন্ডারি ৭৪ মিটার। আপনি স্পিনার হলে এই মাঠেই বল করতে চাইবেন। আরও একবার স্পিনাররা এখানে নিজেদের উপভোগ করবে। ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা হবে চ্যালেঞ্জিং। ম্যাচ জিততে তাই স্পিন করান।'
নেপাল একাদশে কারানের বদলে জোরা
নিজেদের একাদশে একটি পরিবর্তন আনল নেপাল। পেস অলরাউন্ডার কারান কেসির জায়গায় তারা নিলো মিডল-অডার ব্যাটসম্যান সানদিপ জোরাকে।
নেপাল একাদশ: কুশাল ভুরতেল, আসিফ শেখ, রোহিত পাউড়েল, আনিল শাহ, দিপেন্দ্রা সিং ঐরি, কুশাল মাল্লা, গুলশান ঝা, সোম্পাল কামি, সানদিপ জোরা, সন্দীপ লামিছানে, আবিনাশ বোহারা।
অপরিবর্তিত একাদশ বাংলাদেশের
নেদারল্যান্ডসকে হারানো ম্যাচের একাদশে কোনো পরিবর্তন আনেনি বাংলাদেশ। আরও এক ম্যাচ বাইরে বসেই কাটাবেন বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলি, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, তানজিম হাসান।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
পরপর তিন ম্যাচে কয়েনভাগ্য পাশে পেলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন নেপাল অধিনায়ক রোহিত পাউড়েল। সুপার এইটের টিকেট নিশ্চিতের ম্যাচে আগে ব্যাট করবে বাংলাদেশ।
সুপার এইটের দুয়ারে নেপালের সামনে বাংলাদেশ
তিন ম্যাচের দুটি জিতে প্রথম পর্ব পেরিয়ে সুপার এইট খেলার সম্ভাবনা উজ্জ্বল করেছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ধাপের টিকেট নিশ্চিত করতে এবার নেপালের বিপক্ষে খেলতে নামছে তারা।
সেন্ট ভিনসেন্টে বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় শুরু খেলা। এই ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট পেলেই সেরা আটের টিকেট নিশ্চিত হয়ে যাবে নাজমুল হোসেন শান্তর দলের।
হারলেও সুযোগ থাকবে বাংলাদেশের। সেক্ষেত্রে তাকিয়ে থাকতে হবে নেদারল্যান্ডস-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের দিকে। তবে সেই অপেক্ষায় থাকতে রাজি নন তানজিম হাসান। আগ্রাসী ক্রিকেট খেলে নেপালের বিপক্ষে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ার লক্ষ্য পরিষ্কার করেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত স্রেফ একবারই মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও নেপাল। চট্টগ্রামে ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ম্যাচটি ৮ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ।