এর আগেও ভারত সফরে এক ম্যাচে ১৪ উইকেট নেওয়ার পর দেশের মাঠে প্রথম টেস্টে বাদ পড়েছিলেন বাঁহাতি এই স্পিনার।
Published : 15 Nov 2024, 11:13 AM
এজাজ প্যাটেলের পুরোনো বাস্তবতা ফিরে এলো আবার। উপমহাদেশে টেস্ট সফরে তিনি নিউ জিল্যান্ডের জন্য অপরিহার্য, কিন্তু দেশের মাঠে তাকে প্রয়োজন নেই একদমই। সবশেষ টেস্টেই মুম্বাইয়ে ১১ উইকেট শিকার করা বাঁহাতি স্পিনার নেই নিউ জিল্যান্ডের পরের সিরিজের দলে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজটি যে দেশের মাঠে!
এমন অভিজ্ঞতা অবশ্য আগেও হয়েছে ৩৬ বছর বয়সী স্পিনারের। ২০২১ সালে মুম্বাইয়েই এক ইনিংসে ১০ উইকেটসহ ম্যাচে ১৪ উইকেট শিকার করার পরের টেস্টেই জায়গা হারিয়েছিলেন তিনি। সেবার পরের টেস্ট ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্রাইস্টচার্চে। এবারও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্ট ক্রাইস্টচার্চে।
দলে না থাকায় দেশের মাঠে প্রথম টেস্ট উইকেটের স্বাদ পেতে এজাজের অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হলো আরও। দেশের বাইরে ১৮ টেস্ট খেলে ৮৫ উইকেট তার। কিন্তু দেশে তিন টেস্ট খেলে উইকেট নেই একটিও। ওই তিন টেস্টের পাঁচ ইনিংসে একটি ছাড়া অন্য ইনিংসগুলোয় অবশ্য খুব বেশি বোলিং করার সুযোগই তিনি পাননি।
এজাজ না থাকায় নিউ জিল্যান্ডের স্কোয়াডে বিশেষজ্ঞ স্পিনার নেই একজনও। অনুমিতভাবেই বাদ পড়েছেন লেগ স্পিনার ইশ সোধি। তবে স্পিনিং অলরাউন্ডার গ্লেন ফিলিপস ও রাচিন রাভিন্দ্রা আছেন দলে। প্রথম টেস্টে না থাকলেও পরের দুই টেস্টে থাকছেন আরেক স্পিনিং অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনার। ভারত সফরে পুনে টেস্টে ১৩ উইকেট নিয়ে দলকে জেতালেও চোটের কারণে পরের টেস্টে মুম্বাইয়ে তিনি খেলতে পারেননি।
চোটের কারণে ভারত সফরে যেতে না পারা কেন উইলিয়ামসন ফিরেছেন দলে। ভারতের বিপক্ষে ম্যান অব দা সিরিজ হয়েও তাই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একাদশে জায়গা নিশ্চিত নয় উইল ইয়াংয়ের।
টেস্ট দলে প্রথমবার ডাক পেয়েছেন ন্যাথান স্মিথ। চলতি শ্রীলঙ্কা সফরে বুধবার ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে এই পেস বোলিং অলরাউন্ডারের।
২৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার আন্তর্জাতিক অভিষেকের আগেই জায়গা পেয়েছেন নিউ জিল্যান্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট প্লাঙ্কেট শিল্ডে গত মৌসুমে ৩৩ উইকেট নিয়ে তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকার। পরে উস্টারশায়ারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেটে সাত ম্যাচে ২৭ উইকেট শিকার করেন তিনি, পাশাপাশি ফিফটি করেন তিনটি।
সব মিলিয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫৩ ম্যাচে ১৪৪ উইকেট তার, ব্যাট হাতে ২৭ গড়ে প্রায় দুই হাজার রান করেছেন এক সেঞ্চুরি ও ১৩ ফিফটিতে।
২৮ নভেম্বর ক্রাইস্টচার্চ টেস্ট দিয়ে শুরু এই সিরিজ। পরের দুই টেস্ট ওয়েলিংটন ও হ্যামিল্টনে।
তিন ম্যাচের সিরিজের সব ম্যাচ জিততে পারলে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার কিছুটা সম্ভাবনা থাকবে নিউ জিল্যান্ডের। একটি ম্যাচ ড্র হলেও শেষ হয়ে যাবে সেই সম্ভাবনা।
ফাইনালে উঠতে না পারলে এই সিরিজ দিয়েই বর্ণাঢ্য টেস্ট ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন নিউ জিল্যান্ডের বোলিং গ্রেট টিম সাউদি।
নিউ জিল্যান্ড দল: টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), টম ব্লান্ডেল, ডেভন কনওয়ে, জ্যাকব ডাফি, ম্যাট হেনরি, ড্যারিল মিচেল, উইল ও’রোক, গ্লেন ফিলিপস, রাচিন রাভিন্দ্রা, মিচেল স্যান্টনার (দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্ট), ন্যাথান স্মিথ, টিম সাউদি, কেন উইলিয়ামসন, উইল ইয়াং।