Published : 16 Jan 2025, 07:49 PM
পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে সঞ্চালক ম্যান অব দা ম্যাচ হিসেবে ঘোষণা করলেন তামিম ইকবালের নাম। অধিনায়ক হিসেবে তার এমনিতেও সেখানে থাকার কথা। কিন্তু সঞ্চালক বললেন, “তামিম এখানে নেই, তার বদলে আছেন নাজমুল হোসেন শান্ত।”
ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক চোট পেয়েছেন নাকি ক্লান্ত, কিংবা কোনো কারণে মাঠ ছেড়ে গেছেন, এমন অনেক গুঞ্জনই চলছিল। কিন্তু একটু পর তাকে দেখা গেল সংবাদ সম্মেলনে। বিপিএল শুরুর পর এই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে এলেন তিনি।
খটকা লাগার মতোই ব্যাপার। পরে বরিশাল দল সূত্রে জানা গেল, পুরস্কার বিতরণী মঞ্চের পাশে অপেক্ষায় ছিলেন তামিম। কিন্তু বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ সময়মতো না আসায় অনুষ্ঠানিকতা শুরু হতে দেরি হচ্ছিল। ২০ মিনিট অপেক্ষার পর বিরক্ত হয়ে চলে যান তামিম।
সেখানে অসন্তুষ্ট হলেও তামিম এ দিন সন্তুষ্ট ছিলেন মাঠের সীমানা নিয়ে। সিলেটে মাঠে পর্যাপ্ত জায়গা থাকার পরও সীমানা অনেক ছোট করায় প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তবে চট্টগ্রামে সীমানা নিয়ে তার আপত্তি নেই।
আভাসটা অবশ্য আগেই ছিল। ‘এখানে এমনিই রান হবে। সীমানা ছোট করার প্রশ্নই আসে না’- চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের বাউন্ডারির প্রসঙ্গে ম্যাচর আগের দিনই বলছিলেন মাঠসংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা। ম্যাচের দিন দেখা গেছে তার কথার প্রতিফলন। মিরপুর বা সিলেটের তুলনায় বেশ বড় চট্টগ্রামের মাঠের সীমানা।
চলতি বিপিএলের শুরু থেকেই বইছে চার-ছক্কার জোয়ার। ব্যাটিং সহায়ক উইকেট তো বটেই, বড় রানের আশায়ই হয়তো মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সীমানা দড়ি টেনে আনা হয় অনেকটা ভেতরে। সেই সুবিধা ভালোভাবেই কাজে লাগান ব্যাটসম্যানরা।
তবে শুরু থেকেই ছোট সীমানা নিয়ে অসন্তোষের কথা বলে আসছিলেন তামিম। সিলেট পর্বে প্রথম ম্যাচ খেলে সরাসরিই বলেছিলেন, সীমানা যেন আরও বড় করা হয়। ওই মাঠে মেটেনি ফরচুন বরিশালের অধিনায়কের আশা।
চট্টগ্রামে এসে প্রথম দিনই তামিম পেলেন তুলনামূলক বড় সীমানার মাঠ। সেখানে নিজের ঘরের মাঠের দর্শকদের উচ্ছ্বাসে ভাসিয়ে তিনি খেললেন ৪৪ বলে ৬১ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস।
পরে সংবাদ সম্মেলনে বড় বাউন্ডারির ব্যাপারে সন্তোষ প্রকাশ করেন বরিশাল অধিনায়ক।
“সার্বিকভাবেই এই টুর্নামেন্টে উইকেট খুব ভালো। আপনি যদি মিরপুরের কথা চিন্তা করেন... সিলেটও দুর্দান্ত ছিল। চট্টগ্রামও ঠিক আছে। ভালো লাগার বিষয়, বাউন্ডারিটা ভালো ছিল। সীমানার দৈর্ঘ্য বেড়েছে আগের চেয়ে। ঠিক এমনই হওয়া উচিত।”
“আজকে দেখেছেন সীমানায় অনেকগুলো ক্যাচ হয়েছে। এই জিনিসটা অব্যাহত থাকা উচিত। আমার কাছে মনে হয় এটাই সঠিক সীমানার দৈর্ঘ্য। ৫২-৫৩ মিটারের বদলে এই মাপেই খেলা উচিত।”
ম্যাচ শুরুর আগেই দলে দলে মাঠে আসতে থাকেন বরিশালের সমর্থকরা। পুরো ম্যাচ প্রায় ভরা গ্যালারির সামনেই খেলেন তামিমরা। পরে দারুণ এই সমর্থকগোষ্ঠির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেও ভোলেননি অধিনায়ক।
“আমরা অসম্ভব সৌভাগ্যবান। যে ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে খেলি, যেখানেই খেলি না কেন, সবসময় অনেক দর্শক টানতে পারি। আমরা ৬টা ম্যাচ খেলেছি, প্রত্যেকটা ম্যাচেই কিন্তু মাঠে দর্শক ছিল। এটা দারুণ ব্যাপার।”