শারজাহর মন্থর উইকেটে বড় বাউন্ডারির চ্যালেঞ্জ সোবহানা-নিগারদের

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নামার আগে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের চ্যালেঞ্জ সামলাতে দলকে তৈরি থাকার বার্তা দিলেন বাংলাদেশের ব্যাটার সোবহানা মোস্তারি।

ভালো শুরু করেও প্রথম ম্যাচে ইনিংস বড় করতে পারেননি সোবহানা মোস্তারি। তবে তিনিই ছিলেন দলের সর্বোচ্চ স্কোরার। উইকেটে বাকিদের চেয়ে বেশি সময়ও কাটান বাংলাদেশের এই টপ-অর্ডার ব্যাটার। সেই অভিজ্ঞতায় শারজাহর মাঠের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে জানালেন তিনি।

শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১৬ রানের জয়ে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করে বাংলাদেশ। একই মাঠে শনিবার ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হবে নিগার সুলতানার দল। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় শুরু হবে ম্যাচ।

স্কটিশদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচটি শুরু হয়েছিল স্থানীয় সময় দুপুরে। খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তপ্ত গরমে অস্বস্তির মুখে পড়ার কথা বলেছিলেন অধিনায়ক। পাশাপাশি শারজাহর বড় বাউন্ডারির কারণে দৌড়ে বেশি রান নিতে হয়েছে বলেও জানান বাংলাদেশ অধিনায়ক।

ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান করে বাংলাদেশ। বাউন্ডারি ছিল ১০টি। তিন নম্বরে নেমে দলের সর্বোচ্চ ৩৮ বলে ৩৬ রান করা সোবহানার ব্যাট থেকে আসে মোটে দুটি বাউন্ডারি। সর্বোচ্চ ৩টি চার মারেন ওপেনার সাথি রানি।

বড় বাউন্ডারিতে কিছুটা সমস্যা হলেও, মন্থর উইকেটে অবশ্য সুবিধাই হয় বাংলাদেশের। তিন স্পিনার রাবেয়া খান, ফাহিমা খাতুন, নাহিদা আক্তারদের সঙ্গে মিডিয়াম পেসে দারুণ বোলিং করেন রিতু মনি।

একই মাঠে এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জটা আরও বেশি। তিন দিনে দুই ম্যাচ থাকায় শুক্রবার রাখা হয় ঐচ্ছিক অনুশীলন। এতে যোগ দেননি সোবহানা। বিসিবির দেওয়া ভিডিও বার্তায় প্রথম ম্যাচ থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা কাজে লাগানোর কথা বলেন তিনি।

“শারজাহর উইকেট ধীরগতির। অনেক মন্থর বলব না। বল ভালো ব্যাটে আসে। আউটফিল্ড খুব ধীরগতির। প্রথম ম্যাচে আমাদের প্রায় ৫-৬টা চার হয়নি।”

“বাউন্ডারি অনেক বড়, দুই কোণে প্রায় ৭২ মিটার। এ কারণে মাঠটা এক পাশে অনেক বড়। ঠিক আছে মোটামুটি। আমরা মানিয়ে নিচ্ছি। আর প্রথম ম্যাচ দুপুরে হওয়ায় অনেক বেশি গরম ছিল। সামনের ম্যাচগুলো সবই রাতে। দেখা যাক কী হয়।”