পাকিস্তান-নিউ জিল্যান্ড সিরিজ
টি-টোয়েন্টিতে নতুন শুরুর অভিযানে প্রথম ম্যাচে হোঁচট খেল পাকিস্তান।
Published : 16 Mar 2025, 11:58 AM
‘নতুন ছেলেদের নিয়ে উচ্ছ্বসিত, আশা করি তারা দুর্দান্ত কিছু করবে’- টসের সময় বলছিলেন পাকিস্তানের নতুন অধিনায়ক সালমান আলি আগা। কিন্তু ম্যাচের শুরুতেই শেষ সেই সম্ভাবনা। ব্যাটিং ব্যর্থতায় একশও করতে পারেনি নতুন চেহারার পাকিস্তান। অনায়াস জয় পেল নিউ জিল্যান্ড।
টি-টোয়েন্টিতে নতুন শুরুর আশায় বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকে বাদ দিয়ে নিউ জিল্যান্ড সফরে গেছে পাকিস্তান। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের অনুপস্থিতি ভুলিয়ে দিতে পারেননি সুযোগ পাওয়া বাকিরা।
ক্রাইস্টচার্চে হ্যাগলি ওভালে রোববার মাত্র ৯১ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তান। পরে ৫৯ বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় স্বাগতিকরা। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের লিড নিল তারা।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে এই প্রথম একশর নিচে অলআউট হলো পাকিস্তান।
আইপিএল খেলতে যাওয়ায় কিউই দলেও নেই নিয়মিত বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। মাইকেল ব্রেসওয়েলের নেতৃত্বে তাদের শুরুটা তবু অসাধারণ।
নতুন বলে পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে ধাক্কা দিয়ে কিউইদের জয়ের নায়ক কাইল জেমিসন। প্রায় দুই বছর পর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ফেরার ম্যাচে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে মাত্র ৮ রানে ৩ উইকেট নেন ৩০ বছর বয়সী পেসার।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারে ড্রেসিং রুমে ফেরেন মোহাম্মদ হারিস। জেমিসনের পুরো ওভার খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি প্রায় দুই বছর পর ফেরা কিপার-ব্যাটসম্যান।
পরের ওভারে অভিষিক্ত হাসান নাওয়াজকে ফেরান জ্যাকব ডাফি। হারিসের মতো নাওয়াজও শূন্য রানে আউট হন। এ নিয়ে স্রেফ দ্বিতীয়বার একই ম্যাচে খালি হাতে ফেরেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার।
এরপর আবার জেমিসনের তোপ। পরপর দুই ওভারে ইরফান খান ও শাদাব খানকে ফেরান তিনি। মাত্র ১১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে যায় পাকিস্তান।
সফরকারীদের বিপদ বাড়তে পারত আরও। সপ্তম ওভারে ব্রেসওয়েলের বলে খুশদিল শাহর ক্যাচ ছেড়ে দেন টিম সাইফার্ট। পরের ওভারে স্লিপে সালমানের ক্যাচ নিতে পারেননি ড্যারিল মিচেল।
জীবন পেয়ে সালমান ও খুশদিল মিলে গড়ে তোলেন ৪৬ রানের জুটি। প্রাথমিক ধাক্কা সামাল দিলেও দলকে শক্ত অবস্থানে নিতে পারেননি তারা। দ্বাদশ ওভারে সোধির বলে ক্যাচ আউট হন ২০ বলে ১৮ রান করা সালমান।
পরের ওভারে ডাফির বলে ড্রেসিং রুমের পথ ধরেন দলের সর্বোচ্চ ৩২ রান করা খুশদিল। ৩০ বলের ইনিংসে ৩টি ছক্কা মারেন বাঁহাতি স্পিন অলরাউন্ডার।
শেষ দিকে জাহানদাদ খানের ১৭ রানের সৌজন্যে নিজেদের সর্বনিম্ন স্কোর এড়িয়ে একশর কাছে যায় পাকিস্তান।
ইনিংসজুড়ে চমৎকার বোলিং করে ১৪ রানে ৪ উইকেট নেন ডাফি।
ছোট লক্ষ্যে একদমই সময় নেননি সাইফার্ট। তার ঝড়ে পাওয়ার প্লেতেই ৫৩ রান করে ফেলে নিউ জিল্যান্ড। ষষ্ঠ ওভারে ফেরার আগে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ বলে ৪৪ রান করেন সাইফার্ট।
পরে ২৬ বলে ৩৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন ফিন অ্যালেন ও টিম রবিনসন। ২টি করে চার-ছক্কায় ১৭ বলে ২৯ রান করেন অ্যালেন।
ডানেডিনে মঙ্গলবার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলবে দুই দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ১৮.৪ ওভারে ৯১ (হারিস ০, নাওয়াজ ০, সালমান ১৮, ইরফান ১, শাদাব ৩, খুশদিল ৩২, সামাদ ৭, জাহানদাদ ১৭, আফ্রিদি ১, আবরার ২, আলি ১*; জেমিসন ৪-১-৮-৩, ডাফি ৩.৪-০-১৪-৪, ফোকস ৩-০-১১-১, ব্রেসওয়েল ৪-০-২৮-০, সোধি ৪-০-২৭-২)
নিউ জিল্যান্ড: ১০.১ ওভারে ৯২/১ (সাইফার্ট ৪৪, অ্যালেন ২৯*, রবিনসন ১৮*; আফ্রিদি ২-০-১৭-০, আলি ৩-০-২৫-০, জাহানদাদ ১-০-১৬-০, আবরার ২.১-০-১৫-১, শাদাব ২-০-১৮-০)
ফল: নিউ জিল্যান্ড ৯ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: কাইল জেমিসন
সিরিজ: পাঁচ ম্যাচ সিরিজে নিউ জিল্যান্ড ১-০তে এগিয়ে