১৩৫ বছর পুরোনো রেকর্ড ভেঙে নতুন কীর্তি গড়লেন অধিনায়ক হিসেবেই টেস্ট অভিষিক্ত দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডার।
Published : 05 Feb 2024, 09:41 AM
মূল কাজ ব্যাটিং। কিন্তু টেস্ট অভিষেকে নিল ব্রান্ড ইতিহাসে জায়গা করে নিলেন বল হাতে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৫১ ম্যাচ খেলেও কখনও ৫ উইকেটের স্বাদ পাননি তিনি। সেই ব্রান্ড টেস্ট অভিষেকেই শিকার করলেন ৬ উইকেট!
এমনিতে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে এই মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে টস করতে নেমেই রেকর্ড বইয়ে জায়গা পেয়ে গেছেন ব্রান্ড। অভিষেক টেস্ট খেলতে নেমেছেন অধিনায়ক হিসেবে। তবে স্রেফ খেলতে নেমেই নয়, ম্যাচটি স্মরণীয় করে রাখার আয়োজন করলেন তিনি পারফরম্যান্সেও। নিউ জিল্যান্ড যদিও বড় স্কোর গড়েছে, তবে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে সোমবার ব্র্যান্ড নিয়েছেন ৬ উইকেট।
টেস্ট ক্রিকেটের প্রায় ১৪৭ বছরের ইতিহাসে অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট অভিষেকে ৬ উইকেট শিকারের কীর্তি এতদিন ছিল শুধুই নাঈমুর রহমানের। বাংলাদেশের প্রথম টেস্টে ২০০০ সালে ভারতের বিপক্ষে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ১৩২ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন এই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার।
ব্রান্ড মূলত বাঁহাতি ওপেনার। পাশাপাশি বাঁহাতি স্পিন করে থাকেন। এই বোলিং দিয়েই তিনি ছাড়িয়ে গেছেন নাঈমুরকে। দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ৬ উইকেট নিয়েছেন ১১৯ রানে।
এই দুজন ছাড়া অধিনায়ক হিসেবে টেস্ট অভিষেকে ৫ উইকেট আছে আর কেবল একজনেরই। সেই কীর্তি খুঁজে পেতে ফিরে যেতে হচ্ছে প্রায় ১৩৫ বছর পেছনে। ১৮৮৯ সালের দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গেবেখায় (তখনকার পোর্ট এলিজাবেথ) ১৯ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের অব্রে স্মিথ।
১৮৮৯ সালের ওই টেস্টের স্বদেশের আরেকজনের কীর্তিকে এবার মনে করিয়ে দিয়েছেন ব্রান্ড। ওই টেস্টে ৪৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন বাঁহাতি স্পিনার আলবার্ট রোজ-ইন্স। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে টেস্ট অভিষেকে কোনো স্পিনারের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল সেটি। এবার প্রোটিয়াদের প্রথম স্পিনার হিসেবে অভিষেকে ৬ উইকেটের নজির গড়লেন ব্রান্ড।
রোজ-ইন্স ও ব্রান্ড ছাড়া স্পিন বোলিংয়ে অভিষেকে ৫ উইকেট নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আর কেবল একজনই। সেই ১৮৯৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জোহানেসবার্গে ১১৫ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন জর্জ রো। তিনিও ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার।
অভিষেকেই কেন অধিনায়কত্ব করতে হচ্ছে ব্রান্ডকে, এটি অবশ্য অনেকেরই জানা এখন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম সারির ক্রিকেটারদের সবাই ব্যস্ত ঘরোয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট এসএ টোয়েন্টিতে। নিউ জিল্যান্ডে দুই ম্যাচের এই টেস্ট সিরিজের জন্য তাই ব্রান্ডকে অধিনায়ক করে বিকল্প দল পাঠিয়েছে তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার হিসেবে টেস্ট অভিষেকেই টস করতে হয়েছে তাকে। সবশেষ যেটি করেছিলেন অ্যালান মেলভিল, সেই ১৯৩৮ সালে।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে এই টেস্টে অভিষেক হয়েছে তাদের ৬ ক্রিকেটারের। দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ষোড়শ টেস্ট খেলতে নামা পেসার ডুয়ানে অলিভিয়ের।
অভিষেকে নিজের মূল কাজে অবশ্য ভালো করতে পারেননি ব্রান্ড। ইনিংস শুরু করতে নেমে আউট হয়ে গেছেন ৩ রানে।