অনেক আলোচনার পর অবশেষে নতুন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আসছে, বদলে গেছে জাতীয় ক্রিকেট লিগের কাঠামো, বদল এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের সূচিতেও।
Published : 21 May 2024, 06:19 PM
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের উন্নতির জন্য বিপিএলের বাইরে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের দাবি বেশ পুরোনো। বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন বেশ কয়েকবার আশ্বাস দিয়েছেন ভিন্ন টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের। অবশেষে আলোর মুখ দেখতে চলেছে সেটি।
চলতি বছর ডিসেম্বরের শুরুর দিকে স্থানীয় ক্রিকেটারদের নিয়ে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। টেকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে সভার পর মঙ্গলবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটি।
পরবর্তী বোর্ড সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে জাতীয় ক্রিকেট লিগের ৮ দল নিয়ে হবে নতুন এই টুর্নামেন্ট। সভা শেষে বিসিবির ভিডিও বার্তায় এটি নিশ্চিত করেছেন বোর্ডের প্রধান প্রোগ্রাম সমন্বয়ক মিনহাজুল আবেদিন।
“অনেকদিন ধরে চিন্তা করা হচ্ছিল, স্থানীয় ক্রিকেটারদের জন্য একটা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট করা যায় কি না। যেহেতু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুধু একটা হয়, বিপিএল। সেটা ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট, বিদেশি ক্রিকেটার থাকে৷ তাই স্থানীয় ক্রিকেটারদের জন্য একটা টুর্নামেন্ট জরুরি ছিল।”
“এবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এনসিএলের ৮টি দল নিয়েই ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট হবে। এখানে ১২৮ থেকে ১৩০ জন ক্রিকেটার সুযোগ পাবে এবং এই সংস্করণে যে ঘাটতিগুলো আছে তা পূরণের মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেট উপকৃত হবে।”
একইসঙ্গে প্রথম শ্রেণির দুই টুর্নামেন্ট জাতীয় লিগের কাঠামো এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) সূচিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।
অনেক বছর ধরে ৮ দলকে দুটি স্তরে ভাগ করে দুই লেগ পদ্ধতিতে হতো জাতীয় লিগ৷ আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া পরবর্তী জাতীয় লিগে স্তরবিন্যাস থাকছে না। আগের মতোই অংশগ্রহণকারী দলগুলো পরস্পরের বিপক্ষে খেলবে একটি করে ম্যাচ।
পরে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টেও একে অপরের বিপক্ষে একটি করে মোট ৭টি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে দলগুলো। আর শীর্ষ দুই দলকে নিয়ে হবে ফাইনাল ম্যাচ। ফলে দুটি দলের থাকছে সর্বোচ্চ ৮টি ম্যাচ খেলার সুযোগ।
বিশ ওভারের এই নতুন টুর্নামেন্টকে জায়গা করে দিতে প্রায় ৫ মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বিসিএল। সাধারণত নভেম্বর-ডিসেম্বরে ৪ দলের এই টুর্নামেন্ট শুরু হলেও নতুন মৌসুমে এটি হবে এপ্রিলের শেষ দিকে। কিন্তু প্রতি বছর এই সময় আবহাওয়া থাকে প্রতিকূলে।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শেষ হওয়ার পর তপ্ত গরমের মধ্যে ৪ দিনের ম্যাচের টুর্নামেন্ট আয়োজনের কারণ ব্যাখ্যা করেন মিনহাজুল।
“এবার বিসিএলটা এপ্রিলের শেষ দিক ও মে মাসে অনুষ্ঠিত হবে। এটা গরমে খেলার একমাত্র কারণ এখন আমাদের অনেকগুলো টেস্ট ম্যাচ গরমে খেলতে হয়। সেই কথা চিন্তা করেই যেহেতু এনসিএলটা একটা ভালো সময়ে হয় অক্টোবরের শেষ থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে, তাই এপ্রিল-মে মাসে একটু গরমের মধ্যে বিসিএলটা হবে।”
“এসব সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের ক্রিকেটকে উপকৃত করবে বলে আমরা সবাই বিশ্বাস করি। আমাদের দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটকে এগিয়ে নেবে। এছাড়া জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা যেন বেশিসংখ্যক ম্যাচ খেলতে পারে সেটিও চিন্তাভাবনা করা হয়েছে।”