ভারতীয় ক্রিকেট
পাঁচ টেস্টের সিরিজে একটি সেঞ্চুরি পেয়েও কেবল ১৯০ রান করতে পেরেছিলেন ভারতীয় ব্যাটিং গ্রেট।
Published : 16 Mar 2025, 05:43 PM
সেঞ্চুরি করে অস্ট্রেলিয়া সফর শুরুর পর নিজেকে যেন হারিয়ে ফেলেছিলেন ভিরাট কোহলি। চল্লিশ রানও করতে পারেননি আর কোনো ইনিংসে। এর চেয়েও বাজে অভিজ্ঞতা তার হয়েছিল এক দশক আগে ইংল্যান্ডে। তবে সবশেষ বিদেশ সফরটিকে সবচেয়ে হতাশার মনে হচ্ছে ভারতীয় ব্যাটিং গ্রেটের কাছে।
২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড সফরে যান কোহলি। দুঃসহ এক অভিজ্ঞতা সেবার সঙ্গী হয় তার। ৫ টেস্টের ১০ ইনিংসে একবারও পঞ্চাশ ছুঁতে পারেননি তিনি। রান করতে পারেন মোটে ১৩৪, ব্যাটিং গড় ছিল ১৩.৪০।
ওই সফরের পর হতাশায় নিমজ্জিত ছিলেন কোহলির। দীর্ঘ দিন তাকে পুড়িয়েছিল সেবারের ইংল্যান্ড সফরের ব্যর্থতা। চার বছর পর দেশটিতে গিয়ে অবশ্য পুরোনো ক্ষতে প্রলেপ দিতে পেরেছিলেন তিনি। পাঁচ টেস্টে ৫৯.৩০ গড়ে রান করেছিলেন ৫৯৩। দুটি সেঞ্চুরির সঙ্গে ফিফটি ছিল তিনটি।
অস্ট্রেলিয়ায় কোহলির পারফরম্যান্স এবারের মতো বাজে ছিল না কখনোই। ২০১১ সালে প্রথমবার তাসমান সাগর পারের দেশটিতে গিয়ে চার টেস্টের সিরিজে করেছিলেন ৩০০ রান, একটি করে পেয়েছিলেন সেঞ্চুরি ও ফিফটি।
তিন বছর পরের সফরে তো অপ্রতিরোধ্য ছিলেন তিনি। ২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার চার টেস্টের সিরিজে ৪টি সেঞ্চুরিতে ৬৯২ রান করেন কোহলি। ব্যাটিং গড় ছিল আকাশচুম্বি ৮৬.৫০।
২০১৮ সালে ৪ টেস্টে এক সেঞ্চুরিতে করতে পারেন ২৮২ রান। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ সময় কাটে তার গত ডিসেম্বর-জানুয়ারির সফরে। পাঁচ টেস্টের সিরিজের প্রথম ম্যাচে ঠিক ১০০ রানের ইনিংস খেলার পর ব্যর্থতার জালে আটকে যান তিনি। সিরিজ শেষ করেন স্রেফ ১৯০ রান নিয়ে, ব্যাটিং গড় ২৩.৭৫।
শনিবার আয়োজিত রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ‘ইনোভেশন ল্যাব ইন্ডিয়ান স্পোর্টস সামিটে’ উপস্থিত ছিলেন কোহলি। সেখানে তুলে ধরার চেষ্টা করেন অস্ট্রেলিয়া সফর কতটা হতাশ করেছিল তাকে।
“আমাকে যদি জিজ্ঞাসা করা হয়, (ক্যারিয়ারের কোন সময়টায়) সবচেয়ে বেশি হতাশ ছিলাম, সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়া সফর, যেটা এখনও তরতাজা। তাই এটা আমার কাছে সবচেয়ে হতাশার ছিল।”
“২০১৪ সালের ইংল্যান্ড সফর দীর্ঘ দিন আমাকে অনেক ভুগিয়েছে। কিন্তু এবারেরটিকে সেভাবে দেখতে পারছি না। চার বছর পর অস্ট্রেলিয়া সফরে হয়তো নাও থাকতে পারি। জানি না।”
১০ বছর আগের ইংল্যান্ড সফরের হতাশা পরে দারুণ পারফরম্যান্সে মুছে দিতে পেরেছিলেন কোহলি। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় আরেকটি বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ খেলার সুযোগ পাবেন বলে মনে হচ্ছে না ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারের।
“জীবনে যা কিছু ঘটে না কেন, তার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। ২০১৪ সালের পর ২০১৮ সালেও সেখানে (ইংল্যান্ড) গিয়ে যা করেছি সেটা করার সুযোগ ছিল। সেবারও হয়তো তেমনটা না-ও হতে পারত। আরেকটা ব্যর্থ সিরিজ হতে পারত। কিন্তু তেমন কিছু হয়নি।”