নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ৫০ ওভারের মধ্যে ৩০ ওভারে কোনো রানই নিতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দুই ম্যাচে ডট বল হয়েছে তাদের মোট ৩৪০টি!
Published : 25 Feb 2025, 08:57 AM
৫০ ওভারের ম্যাচে যদি ৩০ ওভার থেকে রানই না আসে, তাহলে আর বাকি থাকে কী! নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে এই চিত্রই দেখা গেছে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর মতে, মাঝের ওভারগুলোয় ঘনঘন উইকেট হারানো আর বড় জুটি গড়ে না ওঠায় এত বেশি ডট বল হয়েছে।
নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে এই ম্যাচে মোট ১৮১ বল থেকে কোনো রান নিতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। মাঝের সময়টায় দ্রুত উইকেট যাওয়ার ব্যাপারটি অবশ্য সত্যি। ২১তম ওভার থেকে ২৭তম ওভারের মধ্যে পরপর তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষকে উইকেট উপহার দিয়ে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ।
তবে সমস্যাটি তো স্রেফ এই এক ম্যাচের নয়, আগের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে এরকম নিষ্ফলা ডেলিভারি ছিল ১৫৯টি। দুই ম্যাচ মিলিয়ে ৩৪০ বল থেকেই তাই কোনো রান আসেনি।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে এমনিতে সমস্যার কমতি নেই। ইনিংস বড় করতে না পারা, ম্যাচ পরিস্থিতি পড়তে না পারা, বল নির্বাচন ঠিকঠাক করতে না পারা, প্রয়োজনের সময় বিস্ফোরক হতে না পারা, এমন অনেক ঘাটতিই আছে। তবে সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলির একটি এই ডট বলের আধিক্য। তিনশ ছোঁয়া স্কোর বা বড় ইনিংস নিয়মিত গড়তে না পারার পেছনে বড় একটি কারণ এটি।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি থেকে বিদায় নিশ্চিত হওয়ার পর শান্ত কিছুটা মেনেও নিলেন না। সমাধানের সম্ভাব্য পথও ভাবনায় আছে তার।
“এই জায়গায় তো অবশ্যই উন্নতির জায়গা আছে। দেখুন, আমরা নিয়মিত তিনশ করি না। এটা সত্যি। মেনে নিতেই হবে। আজকের যদি আপনি ডট বলের কথা বলেন, আমরা ৫ ওভার, ১০ ওভার পরপরই একটা করে উইকেট হারিয়েছি। ওই জায়গায় ব্যাটসম্যানদের জন্য খুবই কঠিন যে কীভবে স্ট্রাইক রোটেট করব। একটা-দুইটা বড় জুটি হলে এই ব্যাপারটা হতো না।”
“এই অভ্যাসটা তৈরি করা জরুরি যে, নিয়মিত আমরা কীভাবে তিনশ করতে পারি। আমরা হয়তো একদিন-দুদিন তিনশ করি। এখান থেকে বের হওয়ার জন্য অনুশীলনে বলেন, নিয়মিত কীভাবে ভালো উইকেটে খেলা যায়, নিয়মিত বড় দলের বিপক্ষে এই ধরনের স্কোর গড়া যায়, এটাই গুরুত্বপূর্ণ। তবে আজকের ম্যাচে ডট বল হওয়ার কারণ, আমরা মাঝের ওভারগুলোয় কিছুক্ষণ পরপরই উইকেট দিয়ে দিয়েছি।”