মেয়েদের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রাহক হিসেবে অবসর নিলেন এই অলরাউন্ডার।
Published : 25 Apr 2024, 07:47 PM
পারফরম্যান্সে তেমন একটা ভাটার টান ছিল না বিসমাহ মারুফের। পাকিস্তানের সবশেষ ওয়ানডে সিরিজেও খেলেন তিনি, করেন একটি ফিফটি। ছন্দে থাকা অবস্থাতেই এই অলরাউন্ডার হুট করে বিদায় বলে দিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। ইতি টেনে দিলেন ১৭ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) মাধ্যমে বৃহস্পতিবার ৩২ বছর বয়সী বিসমাহ এই সিদ্ধান্ত জানান। তবে লিগ ক্রিকেটে খেলা চালিয়ে যাবেন দেশটির নারী দলের সাবেক অধিনায়ক।
“যে খেলাটা সবচেয়ে ভালোবাসি, সেটা থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চ্যালেঞ্জ, জয় ও ভুলে যাওয়ার মতো নয়-এমন সব স্মৃতি মিলিয়ে অসাধারণ এক পথচলা ছিল। আমার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই, যারা আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত আমাকে সমর্থন করেছে।”
২০০৬ সালের ডিসেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে দিয়ে ১৫ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন বিসমাহ। তিন বছর পর দেশের হয়ে প্রথম খেলেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। দুই সংস্করণে মিলিয়ে তার খেলা ২৭৬ ম্যাচ পাকিস্তানের হয়ে সর্বোচ্চ।
১৩৬ ওয়ানডে খেলে ২১ ফিফটিতে রান করেছেন তিনি তিন হাজার ৩৬৯। পাকিস্তানের জার্সি গায়ে ১৪০ টি-টোয়েন্টি খেলে তার রান দুই হাজার ৮৯৩। দুই সংস্করণেই দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান তার।
লেগ স্পিনে ওয়ানডেতে ৪৪ উইকেট ও টি-টোয়েন্টিতে ৩৬ উইকেট নিয়েছেন বিসমাহ।
পাকিস্তানকে ৯৬ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিসমাহ। তার অধিনায়কত্বে ৬২ টি-টোয়েন্টিতে ২৭টি জিতেছে পাকিস্তান, ৩৪ ওয়ানডেতে ১৬টি। ২০২০ ও ২০২৩ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০২২ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তানের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে চারটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং ৮টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলেছেন বিসমাহ।
মেয়ে ফাতিমার জন্মের আগে ২০২০ সালের ডিসেম্বরে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্রিকেট থেকে বিরতি নেন তিনি। তবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের জন্য ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ফিরে আসেন। এই সময়ে সহায়তার জন্য পিসিবির প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন বিসমাহ।
“আমার ওপর আস্থা রাখার জন্য এবং প্রতিভা প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই। পিসিবির সমর্থন ছিল অমূল্য, বিশেষ করে আমার জন্য প্রথমবারের মতো (হবু বাবা-মায়েদের জন্য সবেতন ছুটির) নীতি বাস্তবায়ন করেছিল তারা। যার ফলে মায়ের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সর্বোচ্চ পর্যায়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে সক্ষম হয়েছি।”
এশিয়ান গেমসে মেয়েদের ক্রিকেটে সোনার পদক জেতা (২০১০ ও ২০১৪ সালে) পাকিস্তান দলের সদস্য ছিলেন বিসমাহ।