শতভাগ দিয়ে বোলিংয়ের অনুমতি এখনও পাননি ইবাদত হোসেন, তাই ভারত সফরে তার খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
Published : 06 Sep 2024, 08:52 PM
দারুণ ছন্দে থাকা অবস্থায় চোটের থাবা। এক বছরের বেশি সময় ধরে মাঠের বাইরে ইবাদত হোসেন। সুস্থ থাকলে তিনিও হতে পারতেন পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করা দলের সারথি। কিন্তু হাঁটুর চোটের পুনর্বাসনে থাকায় বাইরে বসেই দেখতে হলো জাতীয় দলের এই অর্জন। তাই আক্ষেপের শেষ নেই এই গতিময় পেসারের। শিগগিরই মাঠে নামতে উন্মুখ তিনি।
গত বছরের অগাস্টে হাঁটুর অস্ত্রোপচারের পর থেকে ভারত সফরে চোখ রেখেছিলেন ইবাদত। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার ধাপে ধাপে বোলিং শুরুর পর কয়েকবার তিনি বলেছেন, ভারতের বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই মাঠে ফেরার ইচ্ছার কথা। কিন্তু সেই আশা হয়তো পূরণ হচ্ছে না। এখনও পূর্ণ ছন্দে বোলিংয়ের অনুমতি পাননি ৩০ বছর বয়সী পেসার।
তাই ভারত সফরে ইবাদতের খেলার সম্ভাবনা খুবই কম। তবে শুক্রবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফাস্ট বোলার বললেন, দলের সঙ্গে ভারতে নেওয়া হতে পারে তাকে।
“ফিজিও, ট্রেনার ও ফাস্ট বোলিং কোচ- উনারা যে পরিকল্পনা দিয়েছেন, সেটা অনুসরণ করছি। এখনও শতভাগ দিয়ে বোলিং করার অনুমতি দেয়নি। আমি ৭০-৮০ ভাগের কাছাকাছি দিয়ে বোলিং করছি।”
“আমাকে হয়তো দলের সঙ্গে ভারতে নেওয়া হবে। সেখানে আমার বোলিং সমর্থনটা পাব। ডাক্তার, ফিজিও, ট্রেনার- সবধরনের সহযোগিতা পাব। দলের পর্যবেক্ষণে থাকব। এজন্যই হয়তো আমাকে নিয়ে যাবে। সেখানে গিয়ে আমার ফিটনেস পরীক্ষা করে দেখবে, এরপর ওরকম মনে হলে হয়তো সিদ্ধান্ত নেবে।”
গত বছরের জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালে চোট না পেলে ওয়ানডে বিশ্বকাপসহ গত ১৩ মাসে বাংলাদেশের পেস বিভাগের বড় অস্ত্র হতে পারতেন ইবাদত। তবে তিনি না থাকলেও পেস আক্রমণ দিয়েই পাকিস্তানকে কাঁপিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ।
মাঠের বাইরে বসে সেটি দেখে গর্ব হয় ইবাদতের। তবে নিজে এত বড় অর্জনের সঙ্গী হতে না পারার আক্ষেপও কম নয় তার।
“অবশ্যই আফসোস হয়। প্রায় ১৩ মাস হয়ে গেল আমি খেলতে পারছি না। এমন একটা চোটে পড়েছি, সুস্থ হতে অনেক লম্বা সময় নিয়েছে। আফসোস তো অবশ্যই। খেলোয়াড় হিসেবে বাইরে থাকা অনেক কষ্টের। মনে হয় না আর বেশি দিন লাগবে। ইনশাআল্লাহ! আমিও খেলব। ভালো করার চেষ্টা করব।”
ভারত সফরে খেলার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ হওয়ায় আপাতত ঘরোয়া ক্রিকেট দিয়ে ফেরার কথা ভাবছেন ইবাদত। তাই আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে শুরু হতে যাওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগে সিলেটের জার্সিতে দেখা যেতে পারে তাকে।
“আমি তো খেলার জন্য মুখিয়ে আছি। এজন্য ফিটনেসটা শতভাগ অর্জন করতে হবে। ফিটনেসটা ওইভাবে যদি উন্নতি হয়, ম্যানেজম্যান্ট যদি যথেষ্ট সন্তুষ্ট থাকে, যদি ওইখানে (ভারত) খেলিয়ে দেয়, তাহলে খেললাম। যদি না হয় তাহলে আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট আছে, সেগুলো খেলব।”