শতকের সুযোগ হাতছাড়া করেছেন জাকির হাসান।
Published : 19 Oct 2023, 06:53 PM
জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দিনে চার ভেন্যুতেই আধিপত্য দেখালেন বোলাররা। সেখানে সবচেয়ে উজ্জ্বল দুটি নাম বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম ও ফাস্ট বোলার সুমন খান। দুজনই পেলেন পাঁচ উইকেটের স্বাদ।
প্রথম স্তরের ম্যাচে বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ২১০ রানে অল আউট হয়েছে সিলেট বিভাগ।
অধিনায়ক জাকির হাসান শতকের সম্ভাবনা জাগিয়ে আউট হন ৮৫ রানে। তার ১৫৮ বলের ইনিংস সাজানো ১০টি চারে।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭১ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে অল্পে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিল সিলেট। সপ্তম উইকেটে ৯০ রানের জুটিতে দলকে উদ্ধার করেন দুই পেসার রেজাউর রহমান রাজা (৩৫) ও আবু জায়েদ চৌধুরি (৩৪*)।
সুমন ৪৭ রানে নেন ৫ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে চতুর্থবার এই স্বাদ পেলেন তিনি।
দিন শেষে ঢাকার সংগ্রহ বিনা উইকেটে ২৪ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সিলেট ১ম ইনিংস: ৭১.২ ওভারে ২১২ (মিজানুর ২, জাকির ৮৫, ইমতিয়াজ ১, তৌফিক ৫, শামসুর ১১, গালিব ৪, রাহাতুল ২, রাজা ৩৫, আবু জায়েদ ৩৪*, নাবিল ৬, খালেদ ৮; শাকিল ১৬-১-৬০-৩, সুমন ২০.২-৪-৪৭-৫, এনামুল ১২-১-৩৪-০, নাজমুল ১৭-৫-৩৭-২, শুভাগত ৬-০-২১-০)
ঢাকা ১ম ইনিংস: ১১ ওভারে ২৪/০ (মজিদ ৯, রনি ১৪*, খালেদ ৪-১-১৩-০, রাজা ৩-১-৫-০, আবু জায়েদ ২-২-০-০, নাবিল ১-০-১-০, রাহাতুল ১-০-৪-০)
শহিদুলের ৪ উইকেটের পর মেট্রোর লিড
প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে প্রথম দিনেই লিড নিয়েছে ঢাকা মেট্রো।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রংপুর গুটিয়ে যায় স্রেফ ১১৯ রানে। সর্বোচ্চ ৩৪ রান করেন ওপেনার মেহেদি মারুফ।
২৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে মেট্রোর সেরা বোলার পেসার শহিদুল ইসলাম।
জবাবে মেট্রোর ব্যাটিংও খুব একটা ভালো হয়নি। দিন শেষে তাদের রান ৭ উইকেটে ১৬১। ৪২ রানে এগিয়ে আছে তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রংপুর ১ম ইনিংস: ৩৪.১ ওভারে ১১৯ (মেহেদি ৩৪, রবিউল ১৭, অনিক ১১, মিম ১৮, তানবির ২, আরিফুল ৪, নবিন ৫, নিহাদ ১৮*, আব্দুল গাফফার ০, গালিব ৩, শাহিন ০; আবু হায়দার ১৩.১-২-৪১-২, শহিদুল ১২-৪-২৫-৪, আরিফুল ৩-০-৯-১, মানিক ৬-০-৪৪-২)
ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস: ৪০.৩ ওভারে ১৬১/৭ (নাইম শেখ ২২, সাদমান ৬, মাহফিজুল ২০, নাইম ইসলাম ৬, মার্শাল ৪৫, আল আমিন ৫, জাহিদুজ্জামান ১৬, আবু হায়দার ৩৫*; শাহিন ৯-২-৩৬-২, গালিব ৯-০-৫৪-১, আব্দুল গাফফার ১২-৪-৩৬-২, আরিফুল ৫.৩-২-৮-১, নবিন ৩-০-১৫-০, নিহাদ ২-০-১১-০)
তানভিরের ৫ উইকেট, সোহাগের ৪
প্রথম রাউন্ডে বাজে ব্যাটিংয়ে বড় ব্যবধানে হারা রাজশাহী বিভাগ এবারও প্রথম ধাপে ব্যাটিংয়ে ভালো করতে পারেনি। রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে বরিশাল বিভাগের স্পিনারদের দাপটে ২০৯ রানে অল আউট হয়েছে তারা।
মেহেরব হাসান ১১৫ বলে ৬৫ ও সাব্বির রহমান ১২৩ বলে করেন ৫৭ রান।
৫৯ রানে ৫ উইকেট নেন তানভির। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পঞ্চমবার পাঁচ উইকেটের স্বাদ পেলেন তিনি। অফ স্পিনার সোহাগ গাজী ৩৭ রানে নেন ৪টি।
দ্বিতীয় স্তরের এই ম্যাচে দিন শেষে বরিশালের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৪ রান। এখনও ১৭৫ রানে পিছিয়ে আছে তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
রাজশাহী ১ম ইনিংস: ৭৬.৩ ওভারে ২০৯ (হাবিব ৬, সাব্বির হোসেন ৮, জুনায়েদ ২৩, ফরহাদ ৪, সাব্বির রহমান ৫৭, মেহেরব ৬৫, শাখির ১, সানজামুল ৬, তাইজুল ২০, মোহর ৪*, নাহিদ ০; রাব্বি ১৫-২-৫৪-১, রুয়েল ৭-২-২৪-০, তানভির ১৮.২-৫৯-৫, মইন ১৮-৯-২৫-০, সোহাগ ১৮-৫-৩৭-৪)
বরিশাল ১ম ইনিংস: ১১ ওভারে ৩৪/১ (সায়েম ৭, ইফতেখার ৫*, ফজলে মাহমুদ ১৯*; নাহিদ ৪-০-১১-০, মোহর ২-১-৩-০, তাইজুল ৩-১-৭-১, মেহেরব ১-১-০-০, সানজামুল ১-০-১২-০)
শামীমের টানা দ্বিতীয় ফিফটি
লিগে টানা দ্বিতীয় ফিফটি করেছেন শামীম হোসেন। খুলনার বিপক্ষে তার দল চট্টগ্রাম প্রথম ইনিংসে অল আউট হয়েছে ২৪২ রানে।
দ্বিতীয় স্তরের এই ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে চট্টগ্রাম। এরপরই ক্রিজে যাওয়া শামীম ৬৪ বলে ৭ চার ও এক ছক্কায় করেন ৫০ রান।
মুমিনুল হক করেন ৮৪ বলে ৪৬ রান। ইয়াসিন আরাফাতের ব্যাট থেকে আসে ৬৭ বলে ৪৭।
খুলনার নাহিদুল ইসলাম, সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুন নেন ২টি করে উইকেট।
দিন শেষে খুলনার সংগ্রহ ১ উইকেটে ২০ রান। এখনও ২২২ রানে পিছিয়ে আছে তারা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম ১ম ইনিংস: ৭৬.৫ ওভারে ২৪২ (পিনাক ১২, সৈকত ২, মুমিনুল ৪৬, ইয়াসির ২, ইরফান ০, শামীম ৫০, নাঈম ৩২, মুরাদ ১৬, ইয়াসিন ৪৭, ফরহাদ ২৫, এনামুল ৪*; আল আমিন ১৬-৫-৩৭-১, জিয়াউর ৪-২-৫-১, আরিফুল ১০-২-৩১-১, নাহিদুল ১২.৫-৪-৩০-২, হালিম ১২-৩-৩৯-২, মিঠুন ৮-১-৪২-২)
খুলনা ১ম ইনিংস: ৮ ওভারে ২০/১ (সৌম্য ৩, এনামুল ১১*, অমিত ৫*; ফরহাদ ৩-০-৬-১, ইয়াসিন ৩-০-১১-০, নাঈম ১-০-২-০, এনামুল ১-০-১-৬)