বিপিএল
টুর্নামেন্টের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সফল বোলারকে দেখেশুনে খেলার পরিকল্পনায় সফল হয়ে এবারের বিপিএলের প্রথম সেঞ্চুরি উপহার দিলেন উসমান খান।
Published : 03 Jan 2025, 10:27 PM
আগের দিন ৭ উইকেট নিয়ে ইতিহাস গড়া তাসকিন আহমেদ এবার ম্যাচের দ্বিতীয় বলে ফেরালেন পারভেজ হোসেনকে। পরের চার বলে স্বস্তিতে খেলতে পারলেন না গ্রাহাম ক্লার্কও। নন স্ট্রাইকে দাঁড়িয়ে পুরো ওভার দেখলেন উসমান খান। নিজের করণীয়ও তিনি বুঝে গেলেন। সেই ভাবনার পথ ধরে আসরের প্রথম সেঞ্চুরিই করে ফেললেন চিটাগং কিংসের পাকিস্তানি ওপেনার।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার দুর্বার রাজশাহীকে প্রায় একাই হারিয়ে দিয়েছেন উসমান। কুয়াশাচ্ছন্ন দিনে ১৩ চারের সঙ্গে ৬ ছক্কায় তিনি খেলেছেন ১২৩ রানের ইনিংস। পরে রাজশাহী পুরো দল মিলে করতে পেরেছে মাত্র ১১৪ রান।
শুরু থেকেই ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ২১ বলে ফিফটি করেন উসমান। পরের পঞ্চাশ করতে তার লাগে আরও ২৭ বল। বিপিএলে মাত্র ১৩তম ইনিংসে পেয়ে যান দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দেখা। এই টুর্নামেন্টে একাধিক সেঞ্চুরি করা ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান তিনি।
দলের বড় জয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন উসমান। সেই স্বীকৃতি গ্রহণ করে তিনি জানান, লম্বা ইনিংস খেলারই পরিকল্পনা ছিল তার।
“খুব উপভোগ করেছি। উইকেট ভালো ছিল। আমার ভাবনা ছিল লম্বা ইনিংস খেলব। সেভাবেই চেষ্টা করেছি।”
সেই পরিকল্পনায় সফল হতে রাজশাহীর সেরা বোলারের ওভার দেখেশুনে খেলার চিন্তা করেন উসমান। যদিও তাসকিনের সামনে তার ব্যাটিংয়ে সেই ভাবনার ছাপ তেমন দেখা যায়নি।
তৃতীয় ওভারের দ্বিতীয় বলে স্ট্রাইক পেয়েই স্টাম্প ছেড়ে অনেক দূর থেকে খেলেন তিনি। পরের বলও স্টাম্প থেকে সরে গিয়ে খেলতে গিয়ে অল্পের জন্য গালিতে ক্যাচ হওয়া থেকে বেঁচে যান উসমান। দুই বলেই অবশ্য পান বাউন্ডারি।
এরপর ১৩ ওভার আর আক্রমণে আনা হয়নি তাসকিনকে। প্রথম তিন ওভারে ৯ বলে ১৫ রান করা উসমান পরের ১৩ ওভারে আরও ৫২ বল খেলে নেন ১১০ রান। এই সময়ে ১০টি চারের সঙ্গে মারেন ৬টি ছক্কা।
শতক ছুঁয়ে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলার পথে ক্লার্কের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে ৬৩ বলে ১২০ রানের জুটি গড়েন উসমান। পরে মোহাম্মদ মিঠুনের সঙ্গে তার ৩১ বলের জুটিতে আসে ৬৩ রান।
জুটি বেঁধে দলকে দুইশ ছাড়ানো স্কোর গড়ার পেছনে পরিকল্পনা জানাতে গিয়ে তাসকিনের ওভার দেখেশুনে কাটিয়ে দেওয়ার কথা বলেন উসমান।
“জুটিও ভালো ছিল। বিষয়টা এমন ছিল যে, তাসকিন আহমেদ ভালো বোলার, ওর ওভারগুলো কাটিয়ে দিতে হবে। দুই ওভার ভালো করেছিল। এরপর যখন ব্যাটে-বলে লাগতে শুরু করল, এটাই চিন্তা করেছি যে লম্বা খেলতে হবে।”
২০২৩ সালে প্রথমবার বিপিএল খেলতে এসে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জার্সিতে মাঠে নামেন উসমান। এবার ফ্র্যাঞ্চাইজি বদলালেও চট্টগ্রামেরই আরেক দলে খেলার আনন্দ তার কাছে একই।
“অনেক মজা করছি আমরা। (চট্টগ্রামে) এর আগেও আমি খেলেছি। ম্যানেজমেন্ট খুব ভালো তাই বেশ উপভোগ করছি।”