বাংলাদেশের সাবেক বোলিং কোচ এবার এসেছেন জিম্বাবুয়ের বোলিং কোচ হয়ে, সিলেটের উইকেটে বোলারদের পারফরম্যান্সে তিনি মুগ্ধ।
Published : 20 Apr 2025, 09:05 PM
২০১৯ সালে বাংলাদেশের বোলিং কোচ হিসেবে সাড়ে চার মাস দায়িত্বে ছিলেন শার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট। তখন সিলেটে আসার সুযোগ হয়নি তার। এবার জিম্বাবুয়ের বোলিং কোচ হিসেবে বাংলাদেশে এসে সিলেটের অভিজ্ঞতা নিলেন তিনি। কিছুট চমকেও গেলেন। এই দেশে এরকম গতিময় ও বাউন্সি উইকেটটও আছে!
সবসময়ই যে সিলেটের উইকেট এরকম নয়, তা অবশ্য ল্যাঙ্গাভেল্টের জানার কথা নয়। ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নানা সময়ই নানা চেহারায় দেখা গেছে এই মাঠের উইকেটকে। তবে এবার বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্টের উইকেটে রাখা হয়েছে কিছুটা ঘাস। উইকেট বেশ শক্তও। কিছুটা মুভমেন্ট যেমন আছে, তেমনি আছে বাউন্সও।
সেই উইকেটে বাংলাদেশকে ১৯১ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ে। বেশির ভাগ আউটে অবশ্য বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের দায়ই বেশি। তবে জিম্বাবুয়ের বোলারদের কৃতিত্ব তো দিতে হবে। দুই পেসার ব্লেসিং মুজারাবানি ও ভিক্টর নিয়াউচি মিলে উইকেট নিয়েছেন পাঁচটি, দুই স্পিনার ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ওয়েসলি মাধেভেরে মিলে পাঁচটি।
প্রথম সেশন শেষে অবশ্য দুই দল প্রায় সমতায়ই ছিল। বাংলাদেশের রান ছিল ২ উইকেটে ৮৪। দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৪০ রানে আউট হওয়ার পর থেকেই ব্যাটসম্যানদের উল্টো যাত্রার শুরু। ব্যর্থতার পথচলায় দুইশ রানও করতে পারেনি স্বাগতিক দল।
জিম্বাবুয়ের বোলিং কোচ তাতে দারুণ খুশি। তার কণ্ঠে ফুটে উঠল সেই তৃপ্তি।
“জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের জন্য দিনটি ছিল দারুণ। প্রথম সেশনে বোলাররা একটু বেশি শর্ট বল করেছে, ব্যাটসম্যানদের যথেষ্ট খেলাতে পারেনি। দ্বিতীয় সেশনে স্পিনাররা এসেছে, নিয়াউচি ভালো বল করেছে, ভালো কিছু ওভার করেছি আমরা এবং শান্তর উইকেট ধরা দিয়েছে। এরপর ছোটখাটো একটা ধস নেমেছে ওদের ব্যাটিংয়ে। এরপর লেজটা মুড়িয়ে দিয়েছে স্পিনাররা।”
“সব মিলিয়ে আমরা শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকতে পেরেছি লম্বা সময়। উইকেটও ভালো ছিল। আমার দেখা বাংলাদেশের সবচেয়ে গতিময় উইকেট এটিই। সিলেটে আগে কখনও আসিনি। তবে খেলার এখনও অনেক বাকি আছে। আত্মতুষ্টির সুযোগ নেই।”
একসঙ্গে কিছুদিন কাজ করায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কয়েকজন সম্পর্কে ল্যাঙ্গাভেল্টের কিছু ধারণা ছিল আগে থেকেই। তবে তিনি কৃতিত্ব দিলেন তার বোলারদেরই।
“দলে অনেক পরিবর্তন দেখছি। আমি যাওয়ার পর নতুন অনেকেই এসেছে। কয়েকজনকে অবশ্য আমি চিনি। তবে দিনশেষে কৃতিত্ব বোলারদের। ওরা লম্বা সময় ধরে ঠিক জায়গায় বল রাখতে পেরেছে। টেকনিক্যালি আমরা বলতে পারি, ব্যাটসম্যানরা কীভাবে খেলবে। তবে বোলারদেরকে তো কাজটা করতে হবে। আজকে তারা তা পেরেছে।”