‘অনৈতিক কাজে বাধ্য করানোর’ সত্যতা মেলেনি: ইডেন অধ্যক্ষ

ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারির মধ্যে এক পক্ষের কর্মসূচিতে এই অভিযোগ তোলা হয়েছিল।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Oct 2022, 01:35 PM
Updated : 6 Oct 2022, 01:35 PM

ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রীদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ‘অনৈতিক’ কাজে বাধ্য করার অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য।

ছাত্রলীগের কোন্দলের মধ্যে এই অভিযোগ ওঠার পর তদন্ত চালানোর কথা জানিয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সত্যতা না পাওয়ার কথা বলা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাতে ইডেন মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ও তৎপরবর্তীকালে অন্যান্য বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির ঘটনাসমূহ এবং বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত কিছু শিক্ষার্থীর বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কলেজের সিনিয়র শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ জিয়াউল হক, অধ্যাপক কাজী আতিকুজ্জামান, অধ্যাপক সুফিয়া আখতার ও অধ্যাপক মেহেরুন্নেসা মেরীর সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।

“প্রতিবেদনে কোনো শিক্ষার্থীকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে তদন্ত কমিটি জানিয়েছেন।” 

গত ২৫ সেপ্টেম্বর রেষারেষির জের ধরে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি তামান্না জেসমিন রীভা ও সাধারণ সম্পাদক রাজিয়া সুলতানার সমর্থকদের সঙ্গে সহ-সভাপতিদের সমর্থকরা সংঘাতে জড়ায়।

Also Read: ছাত্রলীগ নেত্রীকে ‘মারধর’, মধ্যরাতে উত্তপ্ত ইডেন কলেজ

Also Read: ইডেনে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মারামারি, আহত ১০

Also Read: ইডেনে ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত, ১০ সহ-সভাপতিসহ বহিষ্কৃত ১৬

দুই পক্ষের মারপিটে কলেজ শাখার সভাপতিসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। এরপর ওই দিন রাতে ইডেন কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদ।

একইসঙ্গে সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের জন্য ১৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কৃতদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক না থাকলেও ১০ জন সহ-সভাপতি রয়েছেন। তারা সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের বিরোধিতা করছিলেন।

দুই পক্ষের সংঘাত চলাকালে বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেত্রী সামিয়া আক্তার বৈশাখীসহ কয়েকজন অভিযোগ তুলেছিলেন, রীভা ও রাজিয়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌন ব্যবসায় বাধ্য করতেন।

তখন এক মানববন্ধনে বোরকায় মুখ ঢাকা এক শিক্ষার্থীর হাতে এই অভিযোগ সম্বলিত প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়৷

এসব অভিযোগ ও বিশৃঙ্খলার পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ সেপ্টেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন অধ্যক্ষ সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য৷ কলেজের শিক্ষকদের মধ্য থেকে চারজনকে নিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়।

বৃহস্পতিবারের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “এছাড়া সিট বাণিজ্য ও মারামারির ঘটনাসহ অন্যান্য অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কলেজ প্রশাসন বিধি অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।”