একাত্তরে বটতলায় পতাকা উত্তোলন নতুন পর্বের শুরু করেছিল: ঢাবি উপাচার্য

দিনটিকে নতুন প্রজন্মের কাছে জিইয়ে রাখতে ‘পতাকা উত্তোলন দিবস’ উদযাপন অব্যাহত রাখার কথা বলেছেন মো. আখতারুজ্জামান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 2 March 2023, 12:45 PM
Updated : 2 March 2023, 12:45 PM

মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস স্মরণের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন সংলগ্ন বটতলায় জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।

একাত্তরের এই দিনেই প্রথমবারের মত মানচিত্রখচিত বাংলাদেশের পতাকা উড়ানো হয়েছিল এই বটতলায়।

দিনটিকে স্মরণ করে উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে তৎকালীন ছাত্র নেতারা ১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র করেই মুক্তিযুদ্ধসহ অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়িত হয়েছে।

“ইতিহাসে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পাওয়া যাবে না, যে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি জাতীয় পতাকা নির্মিত হয়েছিল এবং সেই পতাকাটি একটি বৈরি পরিবেশে, নানা প্রতিকূলতার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে উত্তোলন করেছে- এর মাধ্যমে একটি ঐতিহাসিক পর্বের সূত্রপাত ঘটিয়েছিল।”

দিনটিকে নতুন প্রজন্মের কাছে জিইয়ে রাখতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পতাকা উত্তোলন দিবস উদযাপন অব্যাহত রাখার কথা বলেন উপাচার্য।

“এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে একটি মাইলফলক। ইতিহাসের মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনার জন্ম দিয়েছে এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা, ছাত্র নেতারা,” বলেছেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করেন। পরে এর পটভূমি তুলে ধরে বক্তব্য দেন তিনি।

সংগীত বিভাগের শিক্ষক আজিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভূইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদা বক্তব্য দেন।

অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির স্বাগত বক্তব্য দেন; ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার।

আলোচনা পর্ব শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগ ও নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় গান ও নৃত্য অনুষ্ঠিত হয়েছে।