“বিকালে সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়কারীর সঙ্গে অধ্যক্ষদের মিটিং রয়েছে। এই মিটিংয়ে যদি পজিটিভ রেজাল্ট না আসে আমরা আবারো কঠোর কর্মসূচি দেব,” বলেন আন্দোলনকারীদের এক প্রতিনিধি।
Published : 20 Jun 2023, 02:29 PM
সাত দফা দাবিতে ঢাকার নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সোয়া ২টা পর্যন্ত তারা নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করে রাখেন। তাতে আজিমপুর থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি পর্যন্ত মিরপুর সড়কে দীর্ঘ যানজট তৈরি হয়।
এর মধ্যে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সাথে দেখা করতে যান। পরে দুপুর সোয়া ২টার দিকে কর্মসূচি স্থগিত করেন তারা।
প্রতিনিধি দলের একজন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার মাহমুদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা আজ কর্মসূচি স্থগিত করছি। বিকাল ৪টায় সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়কারীর সঙ্গে অধ্যক্ষদের মিটিং রয়েছে। এই মিটিংয়ে যদি পজিটিভ রেজাল্ট না আসে আমরা আবারো কঠোর কর্মসূচি দেব।”
ইডেন মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওদের সাত দফা নিয়ে ১৪ তারিখে আমরা মিটিং করেছিলাম। তখন থেকেই ওদের সাত দফার মধ্যে ৫ দফা নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। ২ ও ৩ নম্বর দফা নিয়ে আমাদের আরো আলোচনা করতে হবে।
“আজ বিকেলে সাত কলেজের প্রধান সমন্বয়কারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামালের সঙ্গে আমাদের অধ্যক্ষদের বৈঠক রয়েছে। ওখানে আমরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলব। আজ যে আমাদের মিটিং আছে, এটা কিন্তু শিক্ষার্থীরা জানে। তারপরও কেন তারা বিক্ষোভ করছে, এটা আমার বোধগম্য নয়।”
এর আগেও গত ৪ জুন সাত দফা দাবিতে ইডেন মহিলা কলেজের ফটক আটকে বিক্ষোভ দেখায় শিক্ষার্থীরা।
তাদের দাবিগুলো হল-
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ভবনে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির কারণ ব্যাখ্যা করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
যেসব শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছে যে তারা নন-প্রমোটেড, তাদের মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
বিলম্বে ফল প্রকাশের কারণ ব্যাখ্যা ও সর্বোচ্চ তিন মাসের মধ্যে ফলাফল প্রকাশ করতে হবে।
সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক কে বা কারা? কোথায় তাদের সমস্যাগুলো উপস্থাপন করবে তা ঠিক করে দিতে হবে।
অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।
শিক্ষক, ক্লাসরুম সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
সিজিপিএ শর্ত শিথিল করতে হবে।