“ছাত্রীরা যে দাবিগুলো জানিয়েছে সেগুলো খুব জরুরি,” বলেছেন উপাচার্য।
Published : 15 Aug 2023, 12:47 AM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে আবাসন সংকট নিরসনে অবস্থান নেওয়া শিক্ষার্থীরা ৯ ঘণ্টা পর সরে গেছেন।
সোমবার দুপুর দেড়টা থেকে হলটির একদল শিক্ষার্থী উপাচার্যের বাসার ফটকের সামনে অবস্থান নেন। রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপাচার্যের আশ্বাস পেয়ে তারা সেখান থেকে সরে যান।
এ সময় উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, “আমরা তোমাদের সমস্যা নিয়ে ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছি। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা সমস্যা সমাধান করব। তোমরা এখন হলে ফিরে যাও।”
এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপাচার্যের কার্যালয়ে ডাকা হয় আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের। সেখানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চারজন, তিনজন আবাসিক শিক্ষক ও একজন সহকারী প্রক্টরও তাদের সাথে ছিলেন। তবে সেখানে তাদের মূল দাবি ৩০০ শিক্ষার্থীকে অন্য হলে স্থানান্তরের বিষয়ে আশ্বাস না পাওয়ায় তারা আবারো এসে অবস্থান নেন।
আবাসন সংকট: ঢাবি উপাচার্যের বাসার সামনে কুয়েত মৈত্রীর শিক্ষার্থীরা
এ সময় নিজের কার্যালয় থেকে বাসভবনে প্রবেশের জন্য গাড়ি নিয়ে আসেন উপাচার্য। তখন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাকসুদুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর শিক্ষার্থীদের গেইট ছাড়ার জন্য অনুরোধ করলেও অবস্থান ছাড়েননি তারা। ২০-২৫ মিনিট গাড়িতে অপেক্ষা করে আবার গাড়ি ঘুরিয়ে আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে কার্যালয়ে ফিরে যান উপাচার্য। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপাচার্য দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা সরে যান।
শিক্ষার্থীরা জানান, মৈত্রী হল ছোট হলেও প্রতিবছর অধিক ছাত্রী এখানে অ্যালোটমেন্ট দেওয়া হয়। ফলে ছাত্রীদের অন্যান্য হলে ছয়মাসের মধ্যে বৈধ আসন পেলেও মৈত্রী হলে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীরা চতুর্থ বর্ষে উঠেও এখনও আসন পাচ্ছে না। এর পাশাপাশি ২০২০-২১, ২১-২২, ২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সবার আসন অনিশ্চিত অবস্থায় আছে।
আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক নুসরাত জাহান বলেন, “হলের মূল ভবনে পাঁচটি অতিথি কক্ষে চাপাচাপি করে ১০০ শিক্ষার্থী বার্ষিক চার হাজার টাকা প্রদান করে অবস্থান করেন। অথচ তাদের জন্য মাত্র তিনটি ওয়াশরুম রয়েছে।
“ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত সিকদার মনোয়ারা ভবনের তিনতলার ১৫টি অতিথি কক্ষ যেখানে বর্তমানে ১১০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছে এবং তাদের জন্য মাত্র দুইটি ওয়াশরুম আছে। দোতলায় ২৪ শিক্ষার্থীর জন্য একটি ওয়াশরুম রয়েছে। এতে তারা বর্ণনাতীত কষ্টে আছেন।”
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি সরেজমিনে দেখেছি ওখানে জীবন যাত্রার মান কোনোক্রমেই গ্রহণযোগ্য না। সুযোগ-সুবিধার অনেক ঘাটতি রয়েছে।
“ছাত্রীরা যে দাবিগুলো জানিয়েছে সেগুলো খুব জরুরি। তাদের জীবনমান উন্নয়নে আমাদের আন্তরিক প্রয়াস থাকা জরুরি। হল প্রশাসনকেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যাতে দ্রুত তাদের সমস্যাগুলো সমাধান করা যায়।"