শিক্ষার্থীদের দাবি ‘অত্যন্ত যৌক্তিক’ বলে মন্তব্য করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান।
Published : 14 Aug 2023, 07:03 PM
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কুয়েত মৈত্রী হল থেকে অতিরিক্ত ৩০০ শিক্ষার্থীকে আগামী এক মাসের মধ্যে অন্য হলে সরিয়ে নেওয়া, হলের আসন সংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে সেখানে শিক্ষার্থীদের বরাদ্দ দেওয়াসহ কয়েকটি দাবিতে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছে হলের কিছু শিক্ষার্থী।
সোমবার দুপুর দেড়টা থেকে প্রায় অর্ধশত শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে জড়ো হয়। এ সময় তাদের হাতে বিভিন্ন দাবিতে লেখা পোস্টার দেখা যায়। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে বলে শিক্ষার্থীরা সে সময় ঘোষণা দেন।
আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত জাহান বলেন, তাদের হল ছোট হলেও প্রতি বছর অনেক বেশি ছাত্রীকে এই হলে পাঠানো হয়। অনান্য হলে ছাত্রীরা হলে ওঠার ছয় মাসের মধ্যে ‘বৈধ’ আসন পেলেও, মৈত্রী হলের ছাত্রীরা সেটা পান না।
“মৈত্রী হলে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রীরা চতুর্থ বর্ষে উঠেও এখনও আসন পাচ্ছেন না।ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত হলের সিকদার মনোয়ারা ভবনের তিন তলার ১৫টি অতিথি কক্ষে ১১০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান করছেন এবং তাদের জন্য মাত্র দুটি ওয়াশরুম আছে। দোতলায় ২৪ শিক্ষার্থীর জন্য একটি ওয়াশরুম রয়েছে। এভাবে একটি হলে শিক্ষার্থীরা বসবাস করতে পারে না।"
শিক্ষার্থীদের দাবি, মৈত্রী হল থেকে অতিরিক্ত অন্তত ৩০০ শিক্ষার্থীকে অন্য হলে এক মাসের মধ্যে স্থানান্তর করতে হবে, হলের আসন সংখ্যার সঙ্গে সমন্বয় রেখে শিক্ষার্থীদের বরাদ্দ দিতে হবে এবং মূল ভবনের প্রতি রুমে ছয়জনের বেশি বরাদ্দ দেওয়া যাবে না।
এসব দাবি মেনে নিয়ে ৭ দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
নুসরাত জাহান বলেন, “আমাদের যে তিন দফা দাবি রয়েছে, সে দাবিগুলো মেনে নেওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।“
এর আগে হলে আবাসন সংকট নিরসনে রোববার উপাচার্যের কাছে তিন দফা দাবি নিয়ে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।
পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসে উপাচার্য ‘অসহযোগিতাপূর্ণ’ আচরণ করেছেন অভিযোগ তুলে এ অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি মৈত্রী হলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে হল পরিদর্শন করেছি। তাদের দাবিগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক। তাছাড়া তাদের একটি ভবন ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় আমরা আগেই বন্ধ করে দিয়েছি।
"এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে তাদের সেখানেও অবস্থান করতে হচ্ছে। আগামী বছর থেকে মৈত্রী হলের আসন কমিয়ে দিতে হবে। আমাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে যা কিছু করা যায়, তা করব।বিষয়টি দেখার জন্য ইতোমধ্যে প্রধান প্রকৌশলীকে বলে দিয়েছি।“