শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের বাইরে অন্যান্য সব ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
Published : 05 Nov 2024, 10:56 PM
দেশের বেসরকারি স্কুল-কলেজগুলোতে ‘গলাকাটা’ ফি আদায়ের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এবার তাতে ‘লাগাম’ দিল সরকার।
সরকারি কর্মকর্তা, অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষকদের সমন্বয়ে দুইটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে, যারা মহানগর ও জেলা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বা মাসিক বেতন নির্ধারণ করে দেবে।
শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের বাইরে অন্যান্য সব ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।
শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন নির্ধারণে দুই কমিটি গঠন ও অন্যান্য ফি বেঁধে দিয়ে 'বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল, স্কুল এন্ড কলেজ, উচ্চমাধ্যমিক কলেজ ও ডিগ্রী কলেজের উচ্চমাধ্যমিক স্তর) এর টিউশন ফি নীতিমালা-২০২৪' জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ২৭ অক্টোবর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের স্বাক্ষরিত নীতিমালাটি জারি করা হয়। জারির তারিখ থেকে নীতিমালাটি কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
গত রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে নীতিমালাটি প্রকাশ করা হয়।
নীতিমালা প্রকাশের বিষয়টি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে নিশ্চিত করেছেন।
“বেসরকারি মাধ্যমিক শাখা থেকে এ নীতিমালাটির কাজ করা হয়েছে,” বলেন তিনি।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় এ নীতিমালা তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ওই সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেই কাজটিই শেষ করল।
টিউশন ফি নির্ধারণ যেভাবে
মহানগরের কমিটি সিটি করপোরেশন ও মহানগর এলাকার এমপিওভুক্ত ও নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাসিক বেতন নির্ধারণ করবে। অপরদিকে জেলা কমিটি জেলা সদর, পৌর এলাকা ও উপজেলা পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাসিক বেতন নির্ধারণ করবে।
অভিভাবকদের সামাজিক ও আর্থিক অবস্থা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ধরণ ও অবস্থান বিবেচনায় রেখে মাসিক বেতন ঠিক করবে এই দুই কমিটি। আর নীতিমালায় বেঁধে দেওয়া হারে অন্যান্য ফি আদায় করতে হবে স্কুল-কলেজগুলোকে।
একজন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃত্বে গঠিত মহানগর কমিটিতে সদস্য হবেন জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক, এমপিওভুক্ত কলেজের একজন অধ্যক্ষ, নন-এমপিও কলেজের একজন অধ্যক্ষ, এমপিওভুক্ত স্কুলের একজন প্রধান শিক্ষক, নন-এমপিও স্কুলের একজন প্রধান শিক্ষক, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।
এই কমিটির সদস্য সচিব হবেন মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক।
জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত জেলা কমিটিতে সদস্য থাকবেন উপজেলা পর্যায়ের এমপিওভুক্ত কলেজের একজন অধ্যক্ষ, নন-এমপিও কলেজের একজন অধ্যক্ষ, এমপিওভুক্ত স্কুলের একজন প্রধান শিক্ষক, নন-এমপিও স্কুলের একজন প্রধান শিক্ষক, উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ওই কমিটিতে সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
সংশিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে প্রতিনিধি নির্বাচন করে অক্টোবর মাসের মধ্যে কমিটির সভাপতিদেরকে জানাবেন।
প্রতিবছর ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রতিষ্ঠানভিত্তিক মাসিক বেতন নির্ধারণ করতে হবে। দরিদ্র অসহায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টিতে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ফুল ফ্রি ও হাফ ফি'র ব্যবস্থা করতে হবে।
কমিটির নির্ধারণ করা মাসিক বেতনের তথ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নোটিস বোর্ডে প্রদর্শন করতে হবে। নির্ধারিত মাসিক বেতন আদায়ের বিষয় জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনিটর করবেন এবং সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডকে অবহিত করবে।
কমিটির সদস্য সচিব মাসিক বেতন নির্ধারণের খসড়া প্রস্তাব কমিটির সভায় উপস্থাপন করবেন। কমিটির সভায় নেওয়া চূড়ান্ত প্রস্তাবে কমিটির সব সদস্যকে স্বাক্ষর করতে হবে।
অন্যান্য ফি কত
মহানগর, জেলা ও উপজেলা সদর এবং মফস্বল পর্যায়ের এমপিও ও নন-এমপিও স্কুল ও কলেজের জন্য মোট ১২টি ক্যাটাগরিতে ফি নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে নীতিমালায়।
নীতিমালা অনুযায়ী, মহানগর পর্যায়ের এমপিওভুক্ত স্কুলগুলো মাসিক বেতন, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফি এবং স্কাউটস, গার্লস গাইড, বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্ট ফি ছাড়া বছরে ২৩১৫ টাকা ফি নিতে পারবে একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে। স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের টিফিন সরবরাহ করলে এ খাতে মাসিক ১৫০ টাকা হারে বছরে আরও ১৮০০ টাকা নিতে পারবে।
জেলা ও উপজেলা সদর পর্যায়ের এমপিওভুক্ত স্কুলগুলো মাসিক বেতন, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফি এবং স্কাউটস, গার্লস গাইড, বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্ট ফি ছাড়া বছরে ১৭০০ টাকা ফি নিতে পারবে একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে। স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের টিফিন সরবরাহ করলে এ খাতে মাসিক ১৫০ টাকা হারে বছরে আরও ১৮০০ টাকা নিতে পারবে।
মফস্বল পর্যায়ের এমপিওভুক্ত স্কুলগুলো মাসিক বেতন, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফি এবং স্কাউটস, গার্লস গাইড, বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্ট ফি ছাড়া বছরে ১৩০৫ টাকা ফি নিতে পারবে শিক্ষার্থীরদের কাছ থেকে। স্কুল কর্তৃপক্ষ টিফিন দিলে সেজন্য মাসে ১০০ টাকা করে বছরে আরও ১২০০ টাকা নিতে পারবে।
মহানগর পর্যায়ের নন-এমপিও স্কুলগুলো মাসিক বেতন, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফি এবং স্কাউটস, গার্লস গাইড, বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্ট ফি ছাড়া বছরে ৩৮২৫ টাকা ফি নিতে পারবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের টিফিন সরবরাহ করলে এ খাতে মাসিক ২০০ টাকা হারে বছরে আরও ২৪০০ টাকা নিতে পারবে।
জেলা ও উপজেলা সদর পর্যায়ের নন-এমপিও স্কুলগুলো মাসিক বেতন, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফি এবং স্কাউটস, গার্লস গাইড, বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্ট ফি ছাড়া বছরে ২৫৫৫ টাকা ফি নিতে পারবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ টিফিন সরবরাহ করলে মাসিক ১৫০ টাকা হারে বছরে আরও ১৮০০ টাকা নিতে পারবে।
মফস্বল পর্যায়ের নন-এমপিও স্কুলগুলো মাসিক বেতন, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফি এবং স্কাউটস, গার্লস গাইড, বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্ট ফি ছাড়া বছরে ১৭৬০ টাকা ফি নিতে পারবে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে। স্কুল কর্তৃপক্ষ টিফিন সরবরাহ করলে এ খাতে মাসিক ১০০ টাকা হারে বছরে আরও ১২০০ টাকা নিতে পারবে।
এমপিও ও নন-এমপিও স্কুলগুলো প্রতি বিষয় ও পত্রের তিন ঘণ্টার অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার জন্য ৪০ টাকা ও এর কম সময়ের পরীক্ষার জন্য ৩০ টাকা হারে ফি নিতে পারবে। স্কাউটস, গার্লস গাইড, বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্ট ফি নির্ধারণ করবে শিক্ষা বোর্ড।
মহানগর পর্যায়ের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো মাসিক বেতন, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফি, অধিভুক্তি ফি এবং স্কাউটস, গার্লস গাইড, বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্ট ফি ছাড়া বছরে ৩৬১০ টাকা ফি নিতে পারবে একজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে।
জেলা ও উপজেলা সদর পর্যায়ের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো মাসিক বেতন, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফি, অধিভুক্তি ফি এবং স্কাউটস, গার্লস গাইড, বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্ট ফি ছাড়া বছরে ২৫৭৫ টাকা ফি নিতে পারবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে।
মফস্বল পর্যায়ের এমপিওভুক্ত কলেজগুলো মাসিক বেতন, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফি, অধিভুক্তি ফি এবং স্কাউটস, গার্লস গাইড, বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্ট ফি ছাড়া বছরে ১৭৩৫ টাকা ফি নিতে পারবে।
মহানগর পর্যায়ের নন-এমপিও কলেজগুলো মাসিক বেতন, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফি, অধিভুক্তি ফি এবং স্কাউটস, গার্লস গাইড, বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্ট ফি ছাড়া বছরে ৪৩৩০ টাকা ফি নিতে পারবে।
জেলা ও উপজেলা সদর পর্যায়ের নন-এমপিও কলেজগুলো মাসিক বেতন, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফি, অধিভুক্তি ফি এবং স্কাউটস, গার্লস গাইড, বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্ট ফি ছাড়া বছরে ২৯৯৫ টাকা ফি নিতে পারবে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে।
মফস্বল পর্যায়ের নন-এমপিও কলেজগুলো মাসিক বেতন, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার ফি, অধিভুক্তি ফি এবং স্কাউটস, গার্লস গাইড, বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্ট ফি ছাড়া বছরে ১৯৯০ টাকা ফি নিতে পারবে প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে।
এমপিও ও নন-এমপিও কলেজগুলো প্রতি বিষয় ও পত্রের তিন ঘণ্টার অভ্যন্তরীণ পরীক্ষার জন্য ৫০ টাকা ও চার ঘণ্টা সময়ের পরীক্ষার জন্য ৬০ টাকা হারে ফি নিতে পারবে। স্কাউটস, গার্লস গাইড, বিএনসিসি ও রেডক্রিসেন্ট ফি নির্ধারণ করবে শিক্ষা বোর্ড। অধিভুক্তি ফি শিক্ষাবোর্ড বা বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করবে। কলেজ থেকে শিক্ষার্থীদের পরিবহন সুবিধা দেওয়া হলে সেই ফি একাডেমিক কাউন্সিল অনুমোদন করবে৷
হিসাব সংরক্ষণ ও নিরীক্ষা
নীতিমালায় বলা হয়েছে, মাসিক বেতন এবং অন্যান্য খাতে নেওয়া ফি স্কুল-কলেজগুলোকে তফসিলী ব্যাংকে নির্দিষ্ট হিসাবে রাখতে হবে। কোনো একক খাতে বছরে আদায় দশ লাখ টাকার বেশি হলে ওই খাতের জন্য আলাদা ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে।
আদায় করা টাকা খাতভিত্তিক ব্যয় করতে হবে এবং এক খাতের অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করা যাবে না। সব ফি আদায় ও ব্যয় ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে করতে হবে স্কুল-কলেজগুলোকে।
অর্থ আদায় ও ব্যয় নিরীক্ষাযোগ্য বলে গণ্য হবে। হিসাব সংরক্ষণের সাধারণ নীতিমালা ও পদ্ধতি অনুসরণ করে পৃথক পৃথক খাতভিত্তিক হিসাব রেজিস্ট্রারে সংরক্ষণ করতে হবে। প্রতি বছর দুইবার- জুন ও ডিসেম্বসে ক্যাশবই ও ব্যাংক বিবরণী সমন্বয় করতে হবে।
সব হিসাবের সফট এবং হার্ড কপি নূন্যতম ২০ বছর সংরক্ষণ করতে হবে স্কুল-কলেজগুলোকে। দায়িত্ব হস্তান্তরকালে প্রতিষ্ঠান প্রধান কর্তৃক দায়িত্ব গ্রহণকারী শিক্ষককে লিখিতভাবে হিসাব বুঝিয়ে দিতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই জারি করা 'বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি সংক্রান্ত নীতিমালা-২০২৩' প্রতিষ্ঠানের আয় ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণে অনুসরণ করতে হবে।
কমিটিতে অভিভাবক প্রতিনিধি না থাকায় ক্ষোভ
মাসিক বেতন নির্ধারণের দুই কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব না রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অভিভাবকরা।
‘অভিভাবক ঐক্য ফোরাম’ নামের একটি সংগঠনের সভাপতি মো. জিয়াউল কবীর দুলু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অতীতের মতো সরকারি আমলা, কর্মকর্তা আর শিক্ষক নিয়ে গঠিত কমিটি অগ্রহণযোগ্য। এরা অতীতে ভাগ-বাটোয়ারা করে মিলিমিশে অভিভাবকদের পকেট কেটেছে, এখনও এই নীতিমালায় সেই সুযোগ আইনগতভাবে করে দিয়েছে।
“নীতিমালা সংশোধন করে অবশ্যই ২ জন অভিভাবক প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।”
তিনি বলেন, “প্রয়োজনে সরকার বা শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা বিভাগীয় কমিশনার বা জেলা প্রশাসক বা ইউএনও অভিভাবক সদস্য নির্ধারণ করে দেবেন। কমিটিতে অংশীজনের অংশগ্রহণ থাকা দরকার।”
এ প্রসঙ্গে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব সিদ্দিক জোবায়ের বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি আমাদের আলোচনায় আছে।”