বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সুপারগ্রেড কার্যকর এবং স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তনেরও দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
Published : 20 May 2024, 05:44 PM
সার্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয় স্কিমের’ প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তার আওতামুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশন।
একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য সুপার গ্রেড কার্যকর এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছে দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই সংগঠন।
সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানান ফেডারেশনের সভাপতি অধ্যাপক মো. আখতারুল ইসলাম এবং অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভূইয়া।
আগামী ২৫ মের মধ্যে দাবি মানা না হলে ২৬ মে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষকরা মানববন্ধন কর্মসূচিতে যাবেন বলে সম্মেলনে জানানো হয়।
এছাড়া আগামী ২৮ মে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত কর্মবিরতি এবং ৪ জুন অর্ধদিবস কর্মবিরতি কর্মসূচিও ঘোষণা দেওয়া হয় এই সংবাদ সম্মেলন থেকে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা কর্মবিরতির আওতামুক্ত থাকবে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমের আগের চারটি স্কিমের সঙ্গে ‘প্রত্যয় স্কিম’ নামের একটি প্যাকেজ চালু করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে সব ধরনের স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং তাদের অধীনস্থ অঙ্গ প্রতিষ্ঠানগুলোতে ২০২৪ সালের ১ জুলাই পরবর্তী সময়ে যোগ দেওয়া কর্মকর্তা বা কর্মচারীরা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনায় অন্তর্ভুক্ত হবেন।
ফেডারেশনের মহাসচিব অধ্যাপক মো. নিজামুল হক ভূইয়া সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, “এই স্কিমের ফলে ১ জুলাইয়ের আগে ও পরে চাকরিতে যোগদান করা ব্যক্তিদের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বৈষ্যম্য তৈরি হবে। যেটা সংবিধানের সমতার পরিপন্থি। প্রত্যয় স্কিমে মূল বেতন থেকে ১০ শতাংশ অর্থ কেটে নেওয়া হবে, যেটা আগে করা হত না। এ স্কিমে আনুতোষিক শুন্য।
“বর্তমানে পেনশনার ও নমিনি আজীবন পেনশনপ্রাপ্ত হন, কিন্তু নতুন এই স্কিমে পেনশনাররা ৭৫ বছর পর্যন্ত পেনশনপ্রাপ্ত হবেন। বিদ্যমান পেনশন ব্যবস্থায় প্রাপ্ত ৫ শতাংশ হারে ইনক্রিমেন্ট পেতেন, সবর্জনীন পেনশন ব্যবস্থায় সেটা সুস্পষ্ট করা হয়নি।”
প্রধানমন্ত্রী যেদিন সার্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন সেদিন এই ‘প্রত্যয়’ স্কিমটি ছিল না দাবি করে ফেডারেশনের মহাসচিব বলেন, “হঠাৎ করেই একটি মহল নিজেদের সুযোগ সুবিধা অক্ষুণ্ণ রেখে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের উপর এ ধরনের একটি বৈষম্যমূলক ব্যবস্থা চাপিয়ে দিয়েছেন।”
ফেডারেশনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জিনাত হুদাসহ ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।