এ কমিটির চার নেতার নাম প্রকাশ করে শিগগির পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হয়।
Published : 20 Feb 2025, 12:33 AM
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে; যেটির আহ্বায়ক হয়েছেন ইউরোপিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এম জে এইচ মঞ্জু।
বুধবার রাতে এ কমিটির চার নেতার নাম প্রকাশ করে শিগগির পূর্ণাঙ্গ কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশের ঘোষণা দেওয়া হয়।
রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাত ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে এ কমিটি ঘোষণা করেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সদস্য রাশিদুল ইসলাম রিফাত।
তিনি বলেন, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে সদস্য সচিব নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আতিক শাহরিয়ার, মুখ্য সংগঠক ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি, উত্তরার ওমর ফারুক এবং মুখপাত্র হয়েছেন ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবিনা।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নে কমিটির আহ্বায়ক এম জে এইচ মঞ্জু বলেন, ৬৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ‘কমিশনের’ মাধ্যমে তাদের নির্বাচিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ কমিটি করতে সবার মতামত নিতে এ কমিশন করা হয়।
এখন চারজনের নাম প্রকাশ করা হলেও সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধীদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়েছে, যা কয়েকদিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে।
কমিটির চার শীর্ষ নেতাকে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সদস্য রিফাত রশীদ বলেন, "দেশের গণমানুষের আকাঙ্ক্ষা ও জুলাইয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৫ জন শহীদসহ আনুমানিক ২ হাজারের অধিক শহীদ ও অর্ধলক্ষ্য আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আগামীর বাংলাদেশ বিনিমার্নে বৈষম্য বিরোধী দ্বায় আন্দোলন, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে বদ্ধপরিকর।"
তিনি বলেন, ”বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১৮ জুলাই বেলা সাড়ে ১১টায় নর্দান ইউনিভার্সিটির শহীদ আসিফকে প্রথম শহীদ ও সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটিকে সর্বোচ্চ শহীদের ইউনিভার্সিটি হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে।”
আহ্বায়ক এম জে এইচ মঞ্জু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোটাবিরোধী আন্দোলনসহ বহু আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। শুধু জুলাইয়ে তাদের অবদান আছে সেটা ভাবা যাবে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এ কমিটিকে নিয়ে আমাদের সর্বোচ্চ প্রত্যাশা রয়েছে।"
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নাইম আবেদিন বলেন, "আজকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি শাখার বিভিন্ন পদে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করেছে। আমি তাদেরকে নিয়ে অনেক আশাবাদী।"
সংগঠনের আরেক কেন্দ্রীয় সদস্য জাহিদ আহসান বলেন, "জুলাই গণ অভ্যুত্থানে আমরা একটি নতুন রাজনৈতিক জনগোষ্ঠী পেয়েছি। এরমধ্যে অন্যতম হল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থীদেরকে রাজনীতিতে ধরে রাখতে হবে। তাদেরকে রাজনীতিতে যুক্ত করা আমাদের সবচেয়ে বড় একটি দায়িত্ব।
”বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরকে নির্বাচনে নিয়ে না আসা পর্যন্ত নির্বাচনই হওয়া উচিত না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী যদি নির্বাচন অংশগ্রহণ করতে পারে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা কেন পারবে না?"
এসময় তিনি সব সংগঠনকেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের রাজনীতিতে নিয়ে আসার অনুরোধ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশের নতুন দলের সঙ্গে এ প্ল্যাটফর্মের সম্পর্ক কেমন হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে রিফাত রশিদ বলেন, "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজনৈতিক সংগঠন নয়। বাংলাদেশের নতুন রাজনৈতিক পরিসর তৈরি করার উদ্দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কাজ করে যাচ্ছে। এ প্ল্যাটফর্ম এ কাজ অব্যাহত রাখবে। নতুন ছাত্র সংগঠন সেই নতুন রাজনৈতিক পরিসর সৃষ্টির একটি অংশ।"