ফ্রিল্যান্সিংসহ তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের রপ্তানি আয় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস)-এর মাধ্যমে দেশে আনতে সুযোগ পাওয়ার পর এবার এই লেনদেনের সনদ দেওয়ার ক্ষমতা পেল ব্যাংকের অথোরাইজড ডিলার (এডি) শাখাগুলো।
বুধবার এ বিষয়ে পরিপত্র জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের তা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দেশের এমএফএস (মোবাইল ব্যাংকিং) সেবাদাতাদের মাধ্যমে আসা আইটি খাতের রপ্তানি আয়ের বিপরীতে লেনদেনের তথ্য বিবরণীর বিপরীতে সনদ দিতে পারবে এডি শাখা। বৈদেশিক বাণিজ্যে লেনদেন করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন নেওয়া বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখাগুলো এডি শাখা হিসেবে পরিচিত।
শুধু রপ্তানি আয়ের যেটুকু ‘এনক্যাশমেন্ট’ অর্থাৎ ‘নগদায়ন’ করা হয়েছে, তার বিপরীতে এই সনদ দিতে পারবে এডি শাখাগুলো। ব্যাংকের কাছ থেকে এই সনদ সংগ্রহ করে গ্রাহককে সরবরাহ করবে এমএফএস কোম্পানিগুলো। গ্রাহক ওই সনদ তার আয়কর বিবরণীতে সংযুক্ত করতে পারবে আয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে।
পরিপত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে রপ্তানি আয় সংক্রান্ত তথ্য দিয়ে সনদ তৈরি হবে। যেখানে রপ্তানি আয়ের সুবিধাভোগী, অর্থাৎ প্রাপকের ওয়ালেট নম্বর, টাকার পরিমাণ, বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ ইত্যাদি তথ্য অবশ্যই সংযুক্ত থাকবে। ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় সনদ তৈরি হওয়ায় কিউআর কোড সুবিধাও রাখতে হবে ওই সনদে।
এর আগে ২০২১ সালের ফ্রেবুয়ারি মাসে এমএফএস হিসাবের মাধ্যমে শুধু আইটি খাতের রপ্তানি আয় সীমিত পরিসরে দেশে আনার সুযোগ দিয়ে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রপ্তানি আয় পেলেও তা আয়কর বিবরণীতে সংযুক্ত করতে বিপত্তি দেখা দেয় আইটি খাতের ব্যবসায়ী ও ফ্রিল্যান্সারদের। আয়ের প্রমাণপত্র দেওয়ার সুযোগ না থাকায় এ বিপত্তি দেখা দেয়। সেই বাধা দূর করতে বাংলাদেশ ব্যাংক রপ্তানি আয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে এই সনদ দেওয়ার অনুমতি দিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালানাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গত সেপ্টেম্বরের শেষে এমএফএস হিসাবের গ্রাহক সংখ্যা ১৮ কোটি ৫২ লাখের বেশি। বিভিন্ন ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি ও যৌথ মালিকানায় পরিচালিত হচ্ছে বিকাশ, রকেট, এমক্যাশ, উপায়সহ ১৩টি এমএফএস সেবা। যার মালিকানার কমপক্ষে ৫১ শতাংশ রয়েছে ব্যাংকের হাতে।
ডাক বিভাগের সেবা ‘নগদ’ও একই ধরনের সেবা দিচ্ছে। তবে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির এই সেবা এখনো চূড়ান্ত অনুমোদন পায়নি; বাংলাদেশ ব্যাংকের সাময়িক অনুমোদন নিয়ে চলছে নগদ।