নতুন ওষুধ আইন হচ্ছে, সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছর জেল

খসড়ায় বলা হয়েছে, এ আইন ভাঙলে তদন্ত করবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা, বিচারের জন্য প্রত্যেক জেলা সদরে একটি করে আদালত থাকবে।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 August 2022, 11:03 AM
Updated : 11 August 2022, 11:03 AM

লাইসেন্স ছাড়া ওষুধ আমদানি, ভেজাল ওষুধ তৈরির মত অপরাধে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানার বিধান রেখে নতুন একটি আইন করার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে 'ওষুধ আইন, ২০২২' এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।

পরে সচিবালয়ে ব্রিফিংয়ে এসে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এটা ‘অনেক বড় আইন’; মোট ১০৩টি ধারা এ আইনে রাখা হয়েছে।

তিনি জানান, ওষুধ প্রশাসন কীভাবে চলবে, ওষুধের মান কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, সেসব ঠিক করার জন্য একটি নির্বাহী পর্ষদ থাকবে।

“বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ওষুধ উৎপাদন, বিক্রি, মজুদ, বিতরণ ইত্যাদির জন্য কীভাবে লাইসেন্স প্রদান করা হবে, ফি কী হবে, লাইসেন্সপ্রাপ্তির যোগ্যতা কী থাকবে- এগুলো তারা ঠিক করবে।"

লাইসেন্স নেওয়ার পর কেউ ‍যদি আইন লঙ্ঘন করে, সেক্ষেত্রে লাইসেন্স স্থগিতের সুযোগ রাখা হয়েছে আইনে।

সচিব বলেন, “কেউ যদি তার লাইসেন্সে প্রাপ্ত যেই জিনিসগুলো উৎপাদন করার কথা, তার বাইরে কিছু করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কী অ্যাকশন নেওয়া যাবে, সেগুলো মেনশন করে দেওয়া আছে।"

কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষের নিবন্ধন ছাড়াই কোন ধরনের ওষুধ উৎপাদন করলে কী শাস্তি হবে, ওষুধ মজুদের ক্ষেত্রে নিয়ম কী হবে- সেসব বিষয়ও খসড়ায় বলা হয়েছে।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “সরকারি ওষুধ, ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ওষুধগুলো কোনোভাবেই যেন ট্রানজেকশনের মধ্যে না আসে। লাইসেন্স ছাড়া কোনো ওষুধ আমদানি করা যাবে না।”

এ আইন ভাঙলে ‘ব্যাপক’ শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, লাইসেন্স ছাড়া কেউ ওষুধ আমদানি করলে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং অনধিক ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড হতে পারে। এ আইনে এটাই সর্বোচ্চ শাস্তি।

নিবন্ধন ছাড়া কেউ ওষুধ উৎপাদন করলে, উৎপাদন করে আমদানি-রপ্তানি, বিক্রি, বিতরণ, মজুদ অথবা প্রদর্শন করলেও ১০ বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানা হবে।

ভেজাল ওষুধ তৈরি, বিক্রি, মজুদ করলেও একই মাত্রায় শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে খসড়ায়। তাছাড়া সরকারি ওষুধ চুরি করে যদি কেউ বিক্রি করে, তাহলেও ১০ বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে।

আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, এসব অপরাধের বিচারের জন্য প্রত্যেক জেলা সদরে একটি করে আদালত থাকবে। ড্রাগ অথরিটিই তদন্ত করবে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ১৯৮২ সালের 'ড্রাগ অর্ডিন্যান্স’ এবং ১৯৪০ সালের ড্রাগ অ্যাক্ট দিয়ে এতদিন চলছিল। পাশাপাশি ১৯৮৪ সালের ওষুধ নীতিমালাও অনুসরণ করা হচ্ছিল। পুরনো আইনগুলোকে সমন্বিত ও হালনাগাদ করে এখন নতুন আইন হচ্ছে।