ভোজ্যতেল কিনতে ট্যারিফ কমিশনের নির্ধারিত দামে আন্তর্জাতিক বা দেশীয় সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করা যায় কিনা, কমিটি তা পর্যালোচনা করবে।
Published : 14 Jun 2023, 12:20 PM
দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করে ভোজ্যতেল কিনতে একটি ‘গাইড লাইন’ করবে সরকার।
সেজন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গত ৪ জুন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবকে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের ‘ভোজ্যতেল ক্রয়ের লক্ষ্যে গাইড লাইন প্রস্তুতকরণ সংক্রান্ত কমিটি’ গঠন করেছে। প্রজ্ঞাপনটি বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে।
ভোজ্যতেল কিনতে ট্যারিফ কমিশনের নির্ধারিত দামে আন্তর্জাতিক বা দেশীয় সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি করা যায় কিনা, কমিটিকে তা পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে।
কমিটির পর্যালোচনায় পাওয়া ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতি বছরের চাহিদা অনুযায়ী ভোজ্যতেল কিনতে একটি ‘গাইড লাইন’ করা হবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যন্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য), ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে সদস্য করা হয়েছে এই কমিটিতে।
এছাড়া আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রক, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি, সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের মহাপরিচালক/পরিচালক এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব/যুগ্মসচিবকেও এই কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
কমিটিকে ৩০ দিনের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে দাখিল করতে বলা হয়েছে। কমিটি প্রয়োজন অনুসারে সভা ডাকবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এই কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা প্রায় ২৪ লাখ টন। এর মধ্যে সরিষা, তিল ও সূর্যমুখী থেকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন হয় ৩ লাখ টন, যা চাহিদার সাড়ে ১২ শতাংশ। বাকি ভোজ্যতেল আমদানি করতে হয়।
আমদানি করা তেলের বেশিরভাগটা আবার আসে ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে, বেসরকারি উদ্যোগে, যা মূলত সয়াবিন ও পাম তেল। সরকার ভোজ্য তেল কেনে মূলত ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে বিক্রির জন্য।
বিদেশ থেকে কেনার পাশাপাশি দেশীয় সরবরাহকারী কোম্পানির মাধ্যমেও ভোজ্যতেল কেনে টিসিবি। দরপত্রের মাধ্যমে সরবরাহকারী বাছাইয়ের পর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে তা অনুমোদন করা হয়।
নীতিমালা হলে ঠিকাদারকে তেল সরবরাহ করতে হবে ট্যারিফ কমিশনের নির্ধারিত দামে। তবে ঠিকাদার বাছাই কীভাবে হবে, সে বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে কিছু জানানো হয়নি।