আগের দফায় ৩৩ টাকা কেজি দরে গম কেনার পর চলতি নভেম্বরে আরেকটু কম দামে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে গম কিনতে পারছে সরকার।
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে প্রতিকেজি ৩২ টাকা ৬০ পয়সা দরে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৫০ হাজার টন গম কেনার একটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান জানান, আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে চতুর্থ দফায় সংযুক্ত আরব আমিরাতের গ্রেইনফ্লাওয়ার ডিএমসিসির কাছ থেকে ৫০ হাজার টন গম কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়া ইউক্রেইন যুদ্ধের কারণে গমের দাম বেড়ে কেজি প্রায় ৬০ টাকায় উঠে যাওয়ার ফলে দেশে রুটি-পরোটা, বিস্কুটসহ খাদ্যপণ্যের দাম চড়তে থাকে। এখন সরকারি কেনাকাটায় গমের যে দর পাওয়া যাচ্ছে তাতে পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরে আসছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
যুদ্ধ শুরুর আগে দেশের বাজারে গমের দাম ছিল প্রতিকেজি ২৬ টাকা থেকে ২৮ টাকার মধ্যে।
এদিন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালের সভাপতিত্বে ক্রয় কমিটির বৈঠকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মোট ২৬টি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক শেষে অতিরিক্ত সচিব মাহবুব বলেন, এবার গম কিনতে মোট খরচ হচ্ছে প্রায় ১৬৩ কোটি টাকা, প্রতিকেজির দাম দাঁড়াচ্ছে ৩২ টাকা ৬০ পয়সা।
গত অক্টোবরেও আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৩৩ টাকা কেজি দরে ৫০ হাজার টন গম কিনেছিল সরকার। এর আগের মাসে রাশিয়া থেকে ৩৫ টাকা কেজি এক লাখ টন গম কেনা হয়েছিল।
এদিনের বৈঠকে প্রতি ইউনিট ১৬ দশমিক ৩৪ ডলারে সুইজারল্যান্ডের টোটাল এনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ারের কাছ থেকে এক কার্গো বা ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট খরচ হবে ৭১৩ কোটি এক লাখ ৭৪ হাজার ৬৮৮ টাকা।
এদিন টিসিবির জন্য ১৬৯ টাকা লিটার দরে এক কোটি ১০ লাখ লিটার সয়াবিন তেল, ১০১ টাকা ৬৯ পয়সা কেজি দরে ১০ হাজার টন মসুর ডাল, ১০০ টাকা কেজি দরে ১৫ হাজার টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এই তিন কেনাকাটায় মোট খরচ হচ্ছে ৩৮৭ কোটি ৬৮ লাখ ৫৫ হাজার টাকা।
এছাড়া বৈঠকে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও দেশি বহুজাতিক কোম্পানি কাফকোর কাছ থেকে তিন প্রস্তাবে ৯০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতিকেজি সারের দাম দাঁড়াচ্ছে ৪২ টাকার কিছু বেশি।
অতিরিক্ত সচিব জানান, বৈঠকে ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলায় ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার একটি সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পেরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কেসিওপিয়া ফ্যাশন, জিঝি ক্লিন এনার্জি ও কেসিওপিয়া অ্যাপারেলস এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এখান থেকে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুৎ সরকার ১১ টাকা ৫ পয়সা দরে কিনবে।