দেশে ১২ লাখ ৪৩ হাজার ডিজেল পাম্প রয়েছে। এক দশক ধরে চেষ্টার পরও সোলার সেচ পাম্প স্থাপন হয়েছে চার হাজারটি।
Published : 11 Mar 2024, 06:59 PM
ডিজেলচালিত সেচ পাম্পের বদলে সৌর সেচ পাম্প চালুতে দুটি লাভ দেখছে সরকার। এতে ডিজেলের ব্যবহার কমলে সাশ্রয় হবে বৈদেশিক মুদ্রা, অন্যদিকে কার্বন নিঃসরণ কম হওয়ায় রক্ষা পাবে পরিবেশ।
সোমবার টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলা হয়।
আলোচনায় বলা হয়, দেশে ১২ লাখ ৪৩ হাজার ডিজেল পাম্প রয়েছে। এক দশক ধরে চেষ্টার পর সোলার সেচ পাম্প স্থাপন হয়েছে কেবল চার হাজার। এসব পাম্পের বৈদ্যুতিক সক্ষমতা ৬৫ দশমিক ২২ মেগাওয়াট।
স্রেডা হিসাব করে দেখেছে, শুকনো মওসুমে চাষাবাদে ৪৩ শতাংশ খরচই যাচ্ছে সেচ বাবদ।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “সোলার ইরিগেশন পাম্পের ব্যাপক প্রসারে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালাতে হবে। ডিজেল পাম্পের ব্যবহার কমাতে পারলে কার্বন নিঃসরণ কমবে। একই সঙ্গে পরিবেশ সংরক্ষণের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে।”
ডিজেল পাম্পগুলোকে সৌর শক্তির পাম্পে রূপান্তর করা কঠিন চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এজন্য সুনির্দিষ্ট টার্গেট নিয়ে আমাদের সামনের দিকে আগাতে হবে।
“প্রতিটি ডিজেল পাম্প বছরে ১ হাজার ২৩ লিটার ডিজেল ব্যবহার করে। এভাবে ১২ লাখ ৪৩ হাজার ডিজেল পাম্পের জন্য জন্য প্রচুর পরিমাণে ডিজেল ব্যবহার করতে হচ্ছে, যা একদিকে বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় অন্যদিকে পরিবেশের জন্যও ক্ষতিকর।”
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, “সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার আলোকে সোলার ইরিগেশন পাম্পের ব্যবহার বাড়াতে হবে। কপ-২৮ এ ঘোষণাকৃত লস অ্যান্ড ডেমেজ ফান্ড থেকে প্রতিশ্রুত অর্থায়নের উদ্যোগ নিতে হবে।
“প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ঈদের পর একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হবে যাতে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে কার্যকর ভূমিকা রাখা যেতে পারে।”
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান, স্রেডার চেয়ারম্যান মুনীরা সুলতানা, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান অজয় কুমার চক্রবর্ত্তী, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইনও উপস্থিত ছিলেন।