জ্বালানি খাতে ও কার্বন নিঃসরণ কমাতে আরও বিনিয়োগে আগ্রহী এক্সিলারেট এনার্জি

“শীর্ষ মার্কিন কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে ব্যবসার সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী,” বলেন স্টিভেন কোবোস।

প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাত করেন এক্সেলারেট এনার্জির প্রধান নির্বাহী স্টিভেন কোবোস। ছবি: পিআইডি

গণআন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার পতন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে মুহাম্মদ ইউনুসের দায়িত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশ মার্কিন কোম্পানিগুলোর বিনিয়োগ ‘আগ্রহ বেড়েছে’ বলে মন্তব্য করেছেন ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্টিভেন কোবোস।

তিনি বলেছেন, তার কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জিও বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে এবং কার্বন নিঃসরণ কমানোর প্রক্রিয়ায় আরও বিনিয়োগের পরিকল্পনা করেছে। বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) সরবরাহ বাড়াতে এবং তা নির্বিঘ্ন রাখতে আগ্রহী তারা।

আমেরিকান কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি ইতোমধ্যে বাংলাদেশের দুটি অফশোর ‘ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটে’ বিনিয়োগ করেছে, যা প্রতিদিন ১ দশমিক ১ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করে। এটি দেশের মোট গ্যাস সরবরাহের প্রায় ৩৪ শতাংশ।

মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন এক্সিলারেট এনার্জির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টিভেন কোবোস। তাদের সাক্ষাতের বিস্তারিত পরে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো হয়।

স্টিভেন কোবোস অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্ব গ্রহণের জন্য মুহাম্মদ ইউনূসের প্রশংসা করে বলেন, এর ফলে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশের প্রতি বিনিয়োগকারীদের আস্থা বাড়বে।

তিনি বলেন, “আপনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে বাংলাদেশে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর আগ্রহ অনেক বেড়েছে। ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সদস্যসহ শীর্ষ মার্কিন কোম্পানিগুলো দক্ষিণ এশিয়ার এ দেশে ব্যবসার সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী।”

প্রধান উপদেষ্টা বাংলাদেশে মার্কিন কোম্পানির বিনিয়োগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, তার সরকার বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ ও ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে।

কোবোস ও তার প্রতিনিধি দলের উদ্দেশে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “আপনারা সঠিক সময়ে এসেছেন”।

জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশন উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস ইউএস-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানিসহ কাউন্সিলের ৫০ সদস্যকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান তিনি।

যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে স্টিভেন কোবোসের সঙ্গে ছিলেন এক্সেলারেট এনার্জির কর্মকর্তারা। বাংলাদেশে সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসও সাক্ষাতে ছিলেন, যিনি এক্সেলারেট এনার্জির কৌশলগত উপদেষ্টা হিসেবে যোগ দিয়েছেন।

এক্সিলারেট এনার্জির ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেরেক ওয়াং ও র‍্যামন ওয়াংডি এবং কান্ট্রি ম্যানেজার হাবিব ভুঁইয়াও ছিলেন।

এছাড়া এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মুরশেদ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী এবং জ্বালানি সচিব সাইফুল ইসলাম সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন।