সরকারের নানামুখি পদক্ষেপের কারণে পাট নিয়ে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেছেন, “বর্তমানে পাটের উৎপাদন ও পাট পণ্য ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে। অনেকে পাট ও পাট পণ্য উৎপাদনে এবং রপ্তানি করে নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন করছেন।
“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব হাই কমিশনার/রাষ্ট্রদূতকে পাটজাত পণ্য প্রদর্শন এবং বাজার সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন। যার ফলে পাট নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছে।”
রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে 'জুট প্রোডাক্টস বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল-জেপিবিপিসি’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিচ্ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজার ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন করে ইউরোপসহ বিভিন্ন দেশে পাটজাত পণ্য রপ্তানি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটজাত পণ্যকে ২০২৩ সালের 'বর্ষপণ্য' হিসেবে ঘোষণা করেছেন।
এ খাতের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জুট প্রোডাক্টস বিজনেস প্রোমোশন কাউন্সিল গঠন করেছে।
টিপু মুনশি বলেন, “পাট খাতের বৈশ্বিক রপ্তানি আয়ের ৭২ শতাংশ এখন বাংলাদেশের দখলে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে কেবল ব্যাগের চাহিদা ১০ কোটি থেকে ৭০ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। অন্যান্য পাট পণ্যের চাহিদা রয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা।”
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে পাট ও পাট পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ১১৩ কোটি ডলার আয় হয়েছে।
পলিথিন ব্যাগের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগের ব্যবহার বাড়াতে দেশবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “পাটের ব্যাগ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে থাকে। যদিও পলিথিন ব্যাগের তুলনায় পাটের ব্যগের দাম একটু বেশি, তবে পরিবেশবান্ধব।”
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও বিজনেস কমিশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।