ওই কারখানাগুলোর টিআইএন ঠিক আছে কি না তা যাচাইয়ে এনবিআরকে সহায়তা করার নির্দেশ
Published : 12 Feb 2024, 09:50 PM
বিজিএমইএর নির্বাচনে ভোটার হিসেবে আপত্তি ওঠা ৪২৯টি পোশাক কারখানার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এফবিসিসিআইকে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে হাই কোর্ট।
ওই কারখানাগুলোকে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি ওই কারখানাগুলোর ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর (টিআইএন) ঠিক আছে কি না তা যাচাইয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে সহায়তা করতে বলা হয়েছে।
সোমবার এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে এ আদেশ দেয় বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ।
রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান খান।
গত ১৯ ডিসেম্বর তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বিজিএমইএর দ্বিবার্ষিক নির্বাচনের (২০২৪-২০২৫) আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৯ মার্চ ভোটগ্রহণ হবে।
এ নির্বাচনে বরাবরের মতই ফোরাম ও সম্মিলিত পরিষদের ব্যানারে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। ভোটাররা নতুন পরিচালনা পর্ষদের জন্য ৩৫ জন পরিচালক নির্বাচিত করবেন। তাদের মধ্য থেকে সংগঠনের সভাপতি ও অন্যান্য অফিস বেয়ারার ঠিক করা হবে।
গত ১৮ জানুয়ারি নির্বাচনের প্রাথমিক ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছিল নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড। তাতে ২ হাজার ৫৬৩ ভোটার সংখ্যা প্রকাশ পায়।
বিজিএমইএ নির্বাচন: কয়েকশ ‘ভুয়া ভোটার’ থাকার অভিযোগ ফোরামের
সেখানকার ৪২৯টি প্রতিষ্ঠানের টিআইএন নম্বর এনবিআরের ওয়েবসাইটে না পাওয়ার কথা জানিয়ে আপত্তি তোলে ফোরাম প্যানেল। এসব ভোটারকে বাদ দিতে নির্বাচনি আপিল বোর্ডে আবেদনও করা হয়। এরপর ৩০ জানুয়ারি প্রকাশিত চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় ৬৭ ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হয়।
আপত্তি ওঠা বাকি কারখানাগুলোর নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালের কাছে আবেদন করে ক্ষুব্ধ পক্ষটি। গত ৩১ জানুয়ারি আবেদন দেওয়ার পর শুনানির জন্য তা না আসায় ৫ ফেব্রুয়ারি আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালের মহাসচিবের কাছে তাগাদাপত্র দেওয়া হয়। এরপরও সেই শুনানি না হওয়ায় হাই কোর্টে রিট মামলা করেন ফোরামের দলনেতা সুরমা গার্মেন্টেসের পরিচালক ফয়সাল সামাদ।
রিটকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, “বিজিএমইএর সদস্য হতে হলে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কারখানার টিআইএন নম্বর থাকতে হবে। রিটার্নও হালনাগাদ থাকতে হবে। যেসব কারখানার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে. সেগুলোর কারো কারো হয়তো কারখানা ছিল। তাদের অনেকে নানা কারণে ব্যবসার বাইরে আছেন।”
তিনি বলেন, “যেসব কারখানার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে সেগুলো থেকে ৭০ থেকে ৮০ জনের নাম বিজিএমইএ নির্বাচনের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনাল বাদ দিয়েছে। এরপর সংক্ষুদ্ধ হয়ে রিটকারী এফবিসিসিআইয়ের ট্রাইব্যুনালে আপিল করেছেন। কিন্তু সেখানে তারা আপিল নিষ্পত্তিতে বিলম্ব করছেন।
“এজন্যই আদালতে রিট করা হয়েছে। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দিলেন। পাশাপাশি এই বিলম্বকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের জবাব দিতে বলেছেন।”
ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “বিজিএমইএ বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্যিক সংগঠন। এ সংগঠনের নির্বাহী কমিটিতে যারা যাবেন, তারা যাতে বৈধ ভোটার দিয়ে নেতা নির্বাচিত হতে পারেন- সেজন্য কোর্ট এ আদেশ দিয়েছেন।”