চীনের ১৫টি কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ১৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন অর্থাৎ এক হাজার তিনশ ৬০ কোটি ডলারের চুক্তি সই হয়েছে।
Published : 14 Oct 2016, 08:04 PM
‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ক
চীনে শুল্কমুক্ত সুবিধা চাইলেন রাষ্ট্রপতি
অংশীদারিত্বের নতুন দিগন্তে চীন-বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র সচিব
চীনা প্রেসিডেন্টের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য প্রস্তুত জাতীয় স্মৃতিসৌধ
চীনের সঙ্গে সংসদীয় সম্পর্ক বাড়াতে চান স্পিকার
রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে শুক্রবার বিকালে বাংলাদেশ-চায়না বিজনেস ফোরামের যৌথ বৈঠকের পর দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে এসব চুক্তি হয় বলে এফবিসিসিআই সভাপতি মাতলুব আহমাদ জানান।
চীনের ১৫টি কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশের ১৫টি কোম্পানির মধ্যে ১৯টি চুক্তি হয়েছে বলে জানালেও এসব চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশ করেননি তিনি।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে ঢাকা এসেছেন দেশটির ৮৬ সদস্যের ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল।
বিকালে তাদের সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের এই বৈঠক আয়োজন করে এফবিসিসিআই ও চায়না কাউন্সিল ফর দ্য প্রমোশন অব ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড-সিসিপিআইটি।
বৈঠকে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা বক্তব্য রাখেন, বিভিন্ন বিষয়ে মত বিনিময় হয় তাদের।
বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব হেদায়েত উল্লাহ আল মামুনের উপস্থিতিতে ওই সব চুক্তি সই হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি মাতলুব ছাড়াও বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের মধ্যে ইনসেপ্টা ফার্মাসিটিকেলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মুক্তাদির, অ্যাপিলিয়ন গ্রুপের রেজাউল কবির বক্তব্য রাখেন ।
অপরদিকে সিসিপিআইটির ভাইস চেয়ারম্যান চ্যান ঝউ, চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের প্রেসিডেন্ট ওয়াং জু শেং, টিবিয়ান ইলেকট্রিক অ্যাপারেটর কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান ঝাওয়াংশি বক্তব্য দেন।
বৈঠকের পর মাতলুব আহমেদ বলেন, “আমাদের মধ্যে ১৯টি চুক্তি সই হয়েছে। আশা করছি, পরবর্তীতে এ সংখ্যা বেড়ে ৫০টির মতো হতে পারে। চীনের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে নিশ্চয় লাভবান হবেন।”
সিসিপিআইটির ভাইস চেয়ারম্যান চ্যান ঝউ বলেন, “অবকাঠামোগত উন্নয়নে বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশে বিনিয়োগ ব্যাংকের মধ্যেই রয়েছে। আমরা আস্থা নিয়ে এ দেশের বিনিয়োগ পার্কে বিনিয়োগ করব। আমাদেরই এই প্রতিনিধি দলে অনেক উদ্যোক্তা রয়েছেন, যারা এদেশে বিনিয়োগ করতে চান।
“চামড়া, অবকাঠামো, তৈরি পোশাক, ওষুধ, অটোমোবাইলসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের কথা চিন্তা করছি আমরা। চীনের অর্থায়নে বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য চীনে রপ্তানি করে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্য বৈষম্য দূর করা সম্ভব।”
বাংলাদেশের জ্বালানি খাতে সহযোগিতার প্রস্তাব করে এই চীনা ব্যবসায়ী বলেন, “আমাদের দেশের প্রযুক্তি ও দক্ষতা বাংলাদেশের সঙ্গে শেয়ার করতে চাই। এফবিসিসিআই ও সিসিপিআইটি’র মাধ্যমে নতুন প্ল্যাটফর্ম তৈরি হয়েছে, যার মাধ্যমে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারবেন।
দুই দিনের সফরে শুক্রবার সকালে ঢাকা পৌঁছান চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শি’র নেতৃত্বে উভয় দেশের প্রতিনিধি দলের দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে ২৭টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।